সোর্স


আসলে আমরা প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি। আসলে আমরা যদি সবার মত একই রকম কাজ করতে থাকি তাহলে আমাদের সাথে এবং সেই মানুষগুলোর সাথে কোন পার্থক্য থাকবে না। অর্থাৎ মানুষ আমাদেরকে আলাদাভাবে কখনো মনে রাখবে না। এই পৃথিবীতে যারা সৃজনশীল কাজকর্ম করে তাদেরকে কিন্তু সবাই অনেক বেশি ভালোবাসে এবং মনে রাখে সবসময়। কেননা সৃজনশীল কাজকর্ম হলো নতুন ধরনের কাজ যেটি নিজের থেকে সৃষ্টি হয় এবং মানুষ সেই কাজকর্ম দেখে যদি তার ভালো লাগে তাহলে সে সেই একই রকম ভাবে করার চেষ্টা করে। কেননা মানুষ পৃথিবীতে যে জিনিসটা সহজ সেই জিনিসটা করতে চায়। আর এই সহজ উপায় যদি আপনি বের করতে পারেন তাহলে আপনি মানুষের কাছ থেকে আলাদা ভাবে ভালোবাসা পাবেন।


একটা জিনিস আমরা সবসময় খেয়াল করে দেখি যে এই পৃথিবীতে যারা বিজ্ঞানী মানুষ তারা কিন্তু সবসময় সৃজনশীল কাজকর্ম করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। কেননা এই মানুষগুলো কখনো অন্যের তৈরি করা কোন কিছু ব্যবহার করার চেষ্টা করে না এবং চেষ্টা করে যে কি করে নিজের তৈরি জিনিস গুলো ব্যবহার করে কোন কাজকে সমাধান করা যায়। আসলে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করলে তারা যখন নতুন নতুন ধরনের যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করে এবং এই যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করার ফলে কাজকর্ম অনেক বেশি সহজ হয়ে যায় তখন আমাদের কাছে তারা একজন গুণী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। আমার কাছে মনে হয় যে এই পৃথিবীতে আমরা এত সুখে শান্তিতে থাকার প্রধান কারণ হলো এই বিজ্ঞানী।


কেননা বিজ্ঞানীদের এই সৃজনশীল কাজ কর্মের কারণে আজ আমরা কিন্তু এতটা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারছি। আসলে সুখে শান্তিতে বসবাস করার জন্য যেসব জিনিসের প্রয়োজন সেই সব জিনিস কিন্তু আমরা নিজেরা কখনো তৈরি করিনি তাই লোকজন আমাদেরকে কখনো চেনে না। এছাড়াও আপনি যদি আপনার মনের ভিতর থেকে কোন কিছু বের করে এসে সেই জিনিসটাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করে দেখিয়ে দিতে পারেন তাহলে মানুষ আপনার সেই সৃজনশীল কাজকর্ম দেখে আপনার গুনগান করবে। আসলে সৃজনশীল কাজকর্ম বলতে এখানে সাধারণত মানুষ তার নিজের মনের ভেতর থেকে যে জিনিসটাকে তৈরি করে সমাজের মাঝে নিয়ে আসে এবং সমাজের লোকের কাছে সেটি নতুন বলে গ্রহণযোগ্য হয়।


এর জন্য একটা বিষয় আমরা সবসময় মাথায় রাখবো যে আমি পৃথিবীতে আমাদের নিজেদের সুযোগ সুবিধা গুলো যদি আমরা নিজেরাই সমাধান করতে পারি এবং সমাধান করার জন্য যদি সৃজনশীল কাজকর্ম করতে পারি তাহলে কিন্তু মানুষ আমাদেরকে দেখতে যেমন ভালবাসবে তেমনি অন্য দিক থেকে আমরা এই পৃথিবীতে সৃজনশীল কাজকর্মের জন্য সবার কাছে পরিচিতি লাভ করতে পারব। আসলে এই সৃজনশীল কাজকর্মের মাধ্যমে মানুষের ভিতরের সুপ্ত প্রতিভা গুলো সব সময় প্রতিফলিত হয়। তাইতো আমরা একটা বিষয়ে অবশ্যই লক্ষ্য করব যে কেউ যদি কোন কিছু তৈরি করতে যায় অথবা কোন আলাদা পথে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন আমরা কিন্তু তাকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করব। কেননা তারা কিন্তু জীবনে কখনো একটা ভালো জিনিস আমাদের সমাজের মাঝে নিয়ে আসতে পারে।

আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।