কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বাসন্তী পূজার আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে যতই সময় যাচ্ছে ততই মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। এরপর আমরা যেসব দোকানে ফাঁকা দেখেছিলাম সে সব দোকান একদম লোকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। তাইতো আমি আর গিন্নি দোকানের সামনে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। তাই আমি গিন্নিকে রেখে একটু পিছনে এসে দাঁড়ালাম। আগে যেমন একটি বাচ্চা ছেলে একটি জিনিস কেনার জন্য জেদ করছিল ঠিক একইভাবে অন্য আরেকটি বাচ্চাকে দেখলাম যে একটা পুতুল কেনার জন্য তার মার সাথে জোরে চিৎকার চেঁচামেচি করছে। আসলে তার মা বাবা ছেলের চাহিদাকে পূরণ করছিল না। তখন পাশ থেকে মা বলছিল যে তুই যতই চিৎকার করিস না কেন তোকে আমি জিনিসটি কিনে দেবো না।
কারণ বাচ্চাটির বাড়িতে নাকি একই রকমের অনেকগুলো পুতুল রয়েছে। যাইহোক বাচ্চাটি এত জোরে চিৎকার চেঁচামেচি করছিল যে মা সেই দোকান থেকে তেমন কিছু আর কিনতে পারেনি। আসলে আগেরকার সময় এরকম কখনোই ছিল না। আমাদের মা-বাবা যদি চোখ রাঙিয়ে কোন একটা জিনিস বারণ করত তাহলে আমরা সেই জিনিসটা আর দ্বিতীয়বার কখনো করতাম না। কিন্তু যদিও বর্তমানে বাচ্চাগুলো অনেক স্মার্ট এবং অনেক বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। আসলে বর্তমানের বাচ্চাগুলোকে তেমন আর বেশি কোন কিছু শেখানোর দরকার হয় না। এছাড়া অনেক কিছু আছে যা আমরাও পারি না কিন্তু সেই সব বাচ্চারা অনায়াসে করতে পারে।
আসলে কিছুক্ষণ পরে অনুষ্ঠান হবে এজন্য ওই ক্লাব কমিটির সদস্যরা মাঠের ভিতরে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসছিলেন। এছাড়াও আমরা আগেই দেখতে পেয়েছি যে মাঠের এক পাশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের স্টেজে করা হয়েছে। আমার মনে হয় লোকজন বেশি ভিড় করছে এই অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য। কারণ কোন জায়গায় ছোটখাটো অনুষ্ঠান হলে অনেক লোকের ভিড় জমে। যদিও আশেপাশে তেমন কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে না তাই সবাই মিলে পরিবারকে নিয়ে এই মাঠে আসছে অনুষ্ঠান দেখার জন্য।
এরপরে আমরা আরেকটি কসমেটিক্সের দোকানে গেলাম। আসলে আমার কাছে কোন কসমেটিকসের দোকানের কোন পার্থক্য মনে হয় না। কারণ সব দোকানে একই রকম কসমেটিকসের প্রোডাক্ট পাওয়া যাচ্ছে। শুধুমাত্র এই পার্থক্য যে কোন কোন দোকানে কোন প্রোডাক্টের দাম কম এবং কোন কোন দোকানে কোন প্রোডাক্টের দাম বেশি। যাই হোক আমরা এক এক করে প্রায় অনেক দোকান ঘুরতে লাগলাম।
আসলে আমার গিন্নি ধৈর্য দেখে আমার সত্যিই অবাক লাগে। কারণ সে প্রতিটা দোকানে গিয়ে বেছে বেছে জিনিস দেখা এবং জিনিস ক্রয় করা সত্যিই একটা ধৈর্যের ব্যাপার। যদিও আমি পিছনে অনেক বেশি বিরক্ত হচ্ছিলাম। আর এদিকে ওনার কেনা মোটে শেষ হয় না। যাইহোক আমিও আর বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করলাম না কারণ আরো বেশি দোকান নেই। তাইতো আমি চুপচাপ এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।
আসলে একদিকে যেমন অনেক বেশি গরম পড়েছে আবার অন্যদিকে লোকের ভিড় এজন্য আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছিল। এমনিতেই আমি কাজ করে সবে বাড়িতে ফিরেছি, এখনো সেই কাজের জামাকাপড় চেঞ্জ করতে পারেনি। আর এদিকে আমার গিন্নি অনেক বেশি দেরি করায় আমার আস্তে আস্তে মেজাজটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। যাইহোক আমি তার প্রতি আর রাগ করলাম না কারণ আমি গিন্নীকে নিয়ে বেশি একটা বাইরে বের হতে পারি না।
এরপরে আমরা একদম শেষ দোকানটিতে চলে এলাম। অর্থাৎ এখানে কসমেটিকসের সকল দোকান শেষ হয়ে গেছে। আর মন্দিরের পাশে এসে দেখলাম যে একটি স্থানে যজ্ঞ করার জন্য একটি বেল গাছ লাগানো হয়েছিল। যদিও এখানে পূজোর আরম্ভ করা হয়েছিল তাই এই জায়গাটিকে একটু আলাদাভাবে রাখা হয়েছিল। যেহেতু মন্দিরের ভিতরে যজ্ঞ করা নিষেধ তাই বাইরে বসে পুরোহিতকে আগুন জ্বালিয়ে যজ্ঞ করতে হয়।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 16/04/2024
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit