কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি মিলন মেলা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সেই ছোটবেলা থেকে আমার যন্ত্রপাতির উপরে একটা অন্য আলাদা ধরনের নেশা রয়েছে। আর এই নেশার জন্য আমি সবসময় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কিনতে অনেক বেশি পছন্দ করি। এছাড়াও আমার বাড়িতে কিন্তু আমার বাইক ঠিক করার প্রায় সব ধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। আসলে চেষ্টা করি যখন নতুন নতুন যন্ত্রপাতি বাইরে দেখতে পাই তখন কিন্তু আমি আস্তে আস্তে করে সেই যন্ত্রপাতিগুলো কিনে ঘরে নিয়ে আসি। ঠিক প্রতিটা মেলায় এমন কতগুলো দোকান ওঠে যেখানে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ঘরের যাবতীয় জিনিস এসব দোকানে পাওয়া যায়। আসলে এতক্ষণ পর আমি আমার একটা মনের মত করে দোকান পেলাম। কেননা এই দোকানগুলোতে আমার বিভিন্ন জিনিস ধরতে এবং পর্যবেক্ষণ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আসলে এসব দোকানে কিন্তু প্রায়ই বেশিরভাগ জিনিস পুরনো ফেলে দেয়া বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র থেকে তৈরি হয়। যদিও এই জিনিসগুলো অন্যান্য ভালো জিনিস অপেক্ষা অনেক বেশি ভালো। যাইহোক এই জিনিসগুলো যখন আমি এক একটা করে হাতে ধরে দেখছিলাম তখন গিন্নি একটু তাড়াহুড়ো করছিল। কেননা ওর তো আর এই দোকানটা বেশি একটা পছন্দ নয়। তাইতো ওর মনের মত দোকানে যেহেতু যাওয়া হচ্ছে না তাই ও একটু বেশি তাড়াহুড়া করছে। যাইহোক আমি ওর কথায় কর্ম পথ না করে নিরিবিলি ওই দোকানের বিভিন্ন জিনিসপত্রগুলো দেখছিলাম। আসলে পরবর্তীতে যখন ওকে আমি ডাক দিলাম যে তোমার সংসারের কোন জিনিসের কি প্রয়োজন আছে কিনা তখন সে একটু মুচকি হেসে আমার কাছে এসে সেও কিন্তু বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র গুলো দেখতে শুরু করল।
এরপর আমরা দুজনে মিলে ওই দোকানের যেসব প্রয়োজনে জিনিস আমাদের বাড়িতে প্রয়োজন হয় সেই জিনিসগুলো দেখতে শুরু করলাম। কিন্তু একটা জিনিস শুনে অবাক হলাম যে এই দোকানের প্রায় প্রতিটা জিনিসের দাম তুলনামূলক হারে একটু বেশি। কেননা যে জিনিসগুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই জিনিসগুলো কিন্তু প্রায় সব কিছুর দাম আমাদের জানা রয়েছে। আসলে প্রতিটা জিনিসের দাম এতই বেশি যে আমি ওই দোকানে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে চাইলাম না। কারণ আপনারা যে হাতে ছুরিটা দেখতে পাচ্ছেন আমি ভাবলাম যে এটার দাম হয়তোবা তিন থেকে চারশো টাকা হবে। কিন্তু উনি আমার কাছে ৮ থেকে ৯ শ টাকা চাইলেন এই ছুরিটার দাম। যাইহোক আমি কোনভাবে সময় কাটিয়ে ওই দোকান থেকে চলে আসলাম। কেননা এত দাম দিয়ে জিনিস কেনার কোন মানে নেই।
আসলে এই মেলার দোকানগুলো প্রায় আলাদা সবগুলো হলেও প্রতিটা দোকানের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। কেননা আপনি যেখানে চুরির দোকান দেখতে পাবেন সেই চুড়ি কিন্তু আপনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে একই ধরনের জিনিস দেখতে পাবেন। এছাড়াও কানের দুল থেকে শুরু করে গলার মালা অব্দি সবকিছু কিন্তু আপনারা সব মেলার প্রায় দোকানে একই রকম দেখতে পাবেন। আর এজন্য আমরা যখন পুনরায় শেষ গলি দিয়ে বাড়ির দিকে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন আসার সময় যে দোকানগুলোর সামনে দাড়াচ্ছিলাম সেই দোকানগুলোর জিনিসগুলো কিন্তু এর আগে আমাদের দেখা ছিল। যেহেতু আমাদের একটু সময় কাটাতে হবে তাই আমরা কোন একটা দোকানে বাদ দিলাম না। সবকটা দোকান একদম আস্তে আস্তে নিরিবিলি দেখতে দেখতে বাড়ির দিকে আসতে শুরু করলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit