সোর্স

আসলে এই পৃথিবীতে ভালো মানুষের সংখ্যা কিন্তু খুবই কম। আজকে এই কথাটি বলার প্রধান কারণ হলো, আমরা সব সময় আমাদের চারিপাশে বিভিন্ন ধরনের লোকজনকে দেখতে পাই সব সময়। কিন্তু এই চারিপাশের লোকজন দেখে আমরা কখনোই বিচার বিবেচনা করতে পারি না যে কে ভালো আর কে মন্দ। আসলে মানুষকে বিচার করাটা কিন্তু বড়ই কঠিন। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা সেই মানুষটির সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করব অথবা ভালো কোন সম্পর্কে আবদ্ধ হবো ততক্ষণ পর্যন্ত ওই মানুষটির ভিতরে কি আছে তা আমরা কখনোই বুঝতে পারব না। আসলে মানুষের সাথে মানুষের বহুদিনের সম্পর্ক থাকলেও কিন্তু মানুষ মানুষকে সঠিকভাবে চিনতে পারেনা। আসলে মানুষকে চেনা কিন্তু বড়ই কঠিন।


কারণ আপনার মনের ভিতরে কি আছে তা আপনি ছাড়া আর বাইরের কোন ব্যক্তি বোঝার ক্ষমতা নেই। আপনি উপর দিক থেকে ভালো থাকার মুখোশ পরে এবং ভিতরে আপনার মনটি খারাপ রয়েছে সে শুধুমাত্র আপনি বুঝতে পারবেন। আসলে মানুষ মানুষকে কখনোই চিনতে পারেনা। আপনি একটি মানুষকে ছোটবেলা থেকে চেনেন এবং উনাকে চিনতে আপনার পুরো জীবনটা চলে যাবে। কিন্তু তাও আপনি সেই ব্যক্তিটাকে সম্পূর্ণ চিনতে পারবেন না। তাহলে কি আমরা কখনোই মানুষ চিনতে পারব না। আসলে আপনি মানুষ চিনতে পারবেন তখনই যখন আপনি বড় কোনো ধরনের বিপদে পড়বেন। আসলে একমাত্র বিপদে পড়লেই আপনি আপনার কাছের মানুষকে সবসময় চিনতে পারবেন।


কাছের মানুষ আপনার বিপদে কখনোই আপনাকে ছেড়ে দূরে চলে যাবে না। কিন্তু কাছের মানুষ ছাড়া অন্য সবাই আপনার থেকে দূরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখাবে। কিন্তু তাও আপনাকে সেই বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে তারা কখনোই এগিয়ে আসবে না। আসলে এভাবেও কিন্তু সঠিকভাবে মানুষ চেনা যায় না। কারণ এই পৃথিবীতে অনেক বেশি উদাহরণ রয়েছে যেখানে মানুষ মানুষকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেও সে আবার সেই ব্যক্তির ক্ষতি করে অন্যভাবে। মাঝে মাঝে তো আমরা নিজেদেরই সঠিকভাবে চিনে উঠতে পারিনা। কারণ এক এক সময় আমাদের মন এক এক জিনিসের দিকে ঝুঁকে পড়ে। আসলে এই পৃথিবীতে এত মানুষের ভিড়ে হাতে গোনা কয়েকজন ভাল মানুষ রয়েছে।


তাহলে কি আপনি এই পৃথিবীর পুরো মানুষদের যাচাই করে নেবেন এবং যাচাই করার পর ভালো মানুষকে আপনি আপনার জীবনে বেছে নেবেন। আসলে এটি মোটেও সম্ভব নয়। তাইতো আমাদের সব সময় এই পরিবেশে সবার সঙ্গে মেলামেশা রাখা গেলেও সেটি কিন্তু দূরত্ব বজায় রেখে রাখতে হবে। কারণ আপনি যখন একটা মানুষের খুব কাছাকাছি হয়ে যাবেন তখনই সে আপনার ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজবে যদি না সে ভালো মানুষ না হয়। আসলেই পৃথিবীতে একমাত্র আমার কাছে মনে হয় মা-বাবা ছাড়া অন্য কেউ আমাদের ভালো চাইতে পারে না। আসলে যারা ভালো চায় তাদের অবশ্যই কোনো না কোনো স্বার্থ রয়েছে। স্বার্থ ছাড়া এই পৃথিবীতে মানুষ খুঁজে পাওয়া বড়ই কঠিন।


আসলে পৃথিবীতে সবার মনে কোন না কোন স্বার্থ থাকে। কারো ভালোবাসা পাওয়ার স্বার্থ আবার কারো ক্ষতি করার প্রচেষ্টা থাকে সবসময়। আপনি যদি আপনার মনের কথা কোনো ভালো মানুষকে বলেন অথবা শেয়ার করেন তাহলে আপনি মনে হয় আপনার সেই মনের ব্যথা একটু হলেও কমাতে পারলেন। কিন্তু সেই ব্যক্তিটি যদি খারাপ হয় তাহলে আপনি আপনার মনের কথা যদি সেই খারাপ ব্যক্তির কাছে শেয়ার করেন তাহলে কিন্তু আপনার সেই কষ্ট সেই ব্যথা বেদনা কমবে না বরং দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। তাইতো একটা কথা আছে না, কথা মনে রাখলে নাকি গুণ, আর কথা অন্যের কাছে বললেই নাকি খুন। তাইতো বর্তমান সময়ে মনের কথা বলার মত একজন ভাল মানুষকে খুঁজে পাওয়া বড়ই মুশকিল।


আসলে ছোটবেলা থেকে আমরা আমাদের সকল চাওয়া পাওয়া সব কিছু মা-বাবার কাছে শেয়ার করতাম। তারাই একমাত্র ভরসাযোগ্য লোক ছিল যাদের কাছে। আমরা নিঃসন্দেহে আমরা আমাদের মনের কথা শেয়ার করতে পারতাম। আর মা বাবা কখনো চায় না যে তার সন্তানের ক্ষতি হোক। তারা সবসময় সন্তানকে বিপদাপদের হাত থেকে রক্ষার জন্য আমাদের সবসময় আড়াল করে রাখতো। বাইরে থেকে যতই ঝড় বৃষ্টি হয়ে যাক না কেন তারা কখনোই আমাদের বিন্দুমাত্র বুঝতে দিতেন না। কিন্তু মা বাবার অনুপস্থিতিতে এই পৃথিবীটা আমাদের কাছে বড়ই কঠিন হয়ে যায়। আসলে মা-বাবার পরে আমরা কাছে পাই আমাদের সহধর্মিনীকে। আর এই সহধর্মিনী যদি ভালো হয় তাহলে আপনি হয়তোবা এই জন্মে বেঁচে গেলেন। আর সহধর্মিনী যদি খারাপ হয় তাহলে আপনাকে সারা জীবন দুঃখ-দুর্দশার ভিতরে সময় কাটাতে হবে।

আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।