রথযাত্রা। পর্ব :-০২

in hive-129948 •  3 months ago 

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি রথযাত্রার সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


1000002261.jpg


আসলে কেন জানি কোন মেলায় ঘুরতে গিয়ে যখন আমি বাচ্চাদের খেলনা দেখতে পাই তখন আমার সেই শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। আসলে এখন যদি আমরা পুনরায় আবার সেই শৈশবকালে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে হয়তোবা এই খেলনা নিয়ে আবার পুনরায় খেলাধুলা করতে পারতাম। আসলে বর্তমান সময়ের মত এত ধরনের খেলনা আমাদের সময় ছিল না। এছাড়াও আমাদের সময়ে অর্থাৎ আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা এতটা ভাল ছিল না। তখন আমাদের যদি আমাদের মা-বাবা একটা খেলনা কিনে দিত তাহলে সেই খেলনাটা আমরা প্রায় সারা বছর ধরে খেলতাম। আর পরবর্তীতে অপেক্ষা করতাম যে কবে আবার পুনরায় মেলা হবে এবং মা বাবা আমাদের আবার খেলনা কিনে দেবে।


1000002262.jpg


আসলে এইসব ছোট ছোট খেলনা গুলো আমাদের শৈশব স্মৃতিকে বারবার মনে করিয়ে দেয়। যদিও পরবর্তীতে আপনারা যে ছবিটি দেখতে পেয়েছেন এই ছবির যে খেলনা গুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো কিন্তু কাচের তৈরি। আসলে মানুষ এই কঠিন কঠিন কাজগুলো যে কতটা সহজে করে তা কিন্তু আপনারা প্রথমে দেখলে বুঝতে পারবেন না। হয়তোবা আপনারা প্রথমে দেখলে বুঝবেন যে কি করে মানুষ এই ধরনের খেলনা তৈরি করে। আসলে আমার কাছে মনে হচ্ছিল এই ধরনের খেলনাগুলো শুধুমাত্র ঘরে তুলে রাখার জন্য। কেননা সামান্য একটু আঘাত পেলেই এই খেলাগুলো ভেঙ্গে যাবে এবং কাঁচ সারা বাড়িতে সরিয়ে যাবে। যদিও খেলনা গুলো দেখতে খুব সুন্দর ছিল।


1000002263.jpg



আসলে আমার গিন্নির কাছে মেলা মানে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকসের দোকান ঘুরে দেখা এবং জিনিসপত্র যাচাই করা। আসলে ঘরের মধ্যে এত ধরনের জিনিস রয়েছে তা থাকার সত্বেও সে পুনরায় মেলায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস কেনার চেষ্টা করে। আসলে মাঝে মাঝে আমার তো ভীষণ রাগ হয়। কিন্তু যেহেতু আমি সারা সপ্তাহের প্রায় সময়টা তার কাছে থাকি না এবং তাকে একটু ভালোভাবে সময় দিতে পারি না আর এজন্য আমি তাকে কোন কিছু না বলেই তার চাহিদার মত প্রায় সবকিছুই কিনে দিই। আসলে তার চাহিদা গুলো যখন আমি পূরণ করতে পারি তখন আমার মনের দেখতে খুব ভালো লাগে এবং গিন্নির মনটাও খুব ভালো হয়ে যায়।


1000002264.jpg


আসলে ছোটবেলায় যখন আমরা এই ধরনের হাওয়াই মিঠা খেতাম তখন মনে হতো যে এত বড় একটা জিনিস আমরা কি খেতে পারব। আসলে ছোটবেলা এই ধরনের হাওয়াই মিঠা দেখলে আমাদের খুব লোভ হতো এবং মা-বাবা আমাদেরকে কিনে দিত। আসলে মনে হয় যেন এখন যদি মা-বাবা আমাদের হাত ধরে সেই মেলায় ঘুরতে নিয়ে যেত এবং বিভিন্ন ধরনের আবদারের জিনিস কিনে দিত তাহলে কি মজা হত। আসলে আমার মনটা চায় যে আমি যদি আবার পুনরায় সেই শৈশবকালে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কি মজাটাই না হতো। যাই হোক এই ধরনের মিঠাই তৈরিতে তারা বিভিন্ন ধরনের রং ব্যবহার করে। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।


1000002265.jpg



আসলে মেলা হবে আর সেখানে বিভিন্ন ধরনের জিলাপি, বাদাম এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান হবে না তাই কি কখনো হয়। আসলে বাদাম কিনে খেতে খেতে মেলা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। যদিও কিছুদিন আগে আমার একটু দাঁতের সমস্যার জন্য আমি এখন তেমন আর বেশি কোন খাবার খেতে পাচ্ছি না। আসলে ডাক্তার বলেছেন যে কয়েকদিন কোন ধরনের বাইরের খাবার যেন আমি না খাই। আসলে এজন্য আমার মনে মনে বাদাম দেখে খুব লোভ হচ্ছিল কিন্তু খেতে পারছিলাম না। আর এই জন্য আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। আসলে আমি যখন বিভিন্ন খাবারের দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন সত্যিই খুব মনে মনে কষ্ট হচ্ছিল এবং লোভও হচ্ছিল।


ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm



আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আমার নিজেরও মেলায় গেলে শৈশবের কথা অনেক বেশি মনে পড়ে যায়। বিশেষ করে মেলায় থাকা খেলনা গুলো দেখলে একটু বেশি মনে পড়ে শৈশবের স্মৃতি। ছোটবেলায় যখন মেলায় যেতাম তখন খেলনা কেনার জন্য অনেক বায়না ধরতাম। আর খেলনা যদি কিনে দিত তাহলে আমার থেকে খুশি আর কেউই হত না। আসলে ইচ্ছে করে সেই শৈশবে ফিরে যেতে। আজ আপনি অনেক সুন্দর করে রথযাত্রার দ্বিতীয় পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেটার মধ্যে মেলার সৌন্দর্য দেখলাম। দাদা শুধু বৌদি না প্রত্যেকটা মেয়ে মেলায় গেলে ঘুরে ঘুরে শুধু কসমেটিক্স এর দোকান গুলো দেখে, আর কসমেটিক্স কিনে থাকে। এই পর্বের মাধ্যমেও কিছু মুহূর্ত শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।

মেলায় ঘুরতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি তো খুবই ভালোবাসি এই মেলায় ঘুরাঘুরি করতে। আর বাচ্চাদের কিউট কিউট খেলনা গুলো দেখলে, সেই ছোটবেলায় আমি নিজেও হারিয়ে যাই। ছোটবেলার সেই মুহূর্তগুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল। কতই না স্মৃতি রয়েছে এই সমস্ত খেলনা কে নিয়ে। আপনি মেলা থেকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখে ভালো লেগেছে আমার কাছে। এখন অপেক্ষায় থাকলাম রথযাত্রার তৃতীয় পর্বটা পড়ার জন্য।

রথের মেলা বাঙালির কাছে এক নস্টালজিয়া। আমিও রথের মেলা নিয়ে রথের দিন পোস্ট করেছিলাম। মাহেশের কাছে থাকার দরুণ রথের মেলার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে মিশে থাকি। মেলার পাঁপড় ভাজা আর জিলিপি না খেলে যেন বছরটাই কাটে না। আপনার পোস্ট খুব সুন্দর হয়েছে। তবে আজকাল মেলাও কেমন যান্ত্রিক হয়ে গেছে। ডিজিটাল জীবনে সবকিছুর রিয়ালিটিটা যেন হারিয়ে ফেলেছি আমরা। জয় জগন্নাথ। ভালো থাকুন।