কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি রথযাত্রার সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু আমরা বিভিন্ন দোকানে ঘুরেফিরে বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনছিলাম তাই আমার একটু বেশি কষ্ট হয়ে গেল। আর এজন্য আমরা কোন একটা বসার জায়গা দেখে সেখানে বসে পড়লাম। এরপর আমরা একটা দোকান থেকে একটু ঘুগনি খেয়ে নিলাম। আসলে লোকটির ঘুগনির স্বাদ অপেক্ষা তার মুখের কথা অনেক বেশি। কেননা লোকটি বলছিল যে তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে ঘুগনি বিক্রি করছেন। কিন্তু উনার ঘুগনির স্বাদ মোটেও ভালো নয়। আসলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা আবার পুনরায় চারিদিকে ঘোরার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। আসলে এরপর আমরা একটা মাটির তৈরি বিভিন্ন দেবদেবীর দোকানে গেলাম। আসলে ছোটবেলায় যখন আমরা কোন মেলায় ঘুরতে যেতাম তখন কিন্তু মা-বাবা আমাদের এই ধরনের মাটির তৈরি মূর্তি কিনে দিত।
আসলে এই মূর্তিগুলো আমরা ছোটবেলায় বাড়িতে মাটি দিয়ে তৈরি করার চেষ্টা করতাম। আসলে ভালো না হলেও কিন্তু আমরা সবাই মিলে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরি করতাম। আসলে এইসব জিনিস গুলো দেখলে আমাদের সেই শৈশব কালের কথা আবার পুনরায় মনে পড়ে যায়। তখন আবার ফিরে যেতে চাই সেই শৈশবকালে। যেহেতু বিভিন্ন বাচ্চাকাচ্চারা আবদার করছিল এই মাটির তৈরি বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি কেনার জন্য। আসলে দোকানটি দেখে মনে হচ্ছিল যে এখানে সব দেবদেবীর মিলন ঘটেছে। যাইহোক আমি ওই দোকানের একটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।
এরপর পাশের আরেকটি দোকানে গেলাম। সেখানে শুধুমাত্র আমাদের সেই জগন্নাথ দেবের মূর্তি ছিল। যেহেতু এই রথের মেলাটি এই জগন্নাথ দেবের পুরনো কাহিনী উপলক্ষে হয় তাই সেখানে এই জগন্নাথ দেবের ছোট ছোট মূর্তি পাওয়া যাবে না সেটি কখনো হতে পারে না। আমারও মনে হচ্ছিল যে আমি কিছু মূর্তি কিনে নিই। কিন্তু বাড়িতে যেহেতু বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি এবং মূর্তি ছিল তাই আমরা আর কোন মাটির মূর্তি কিনলাম না। আসলে ছোটবেলাতে যখন এই রথ হত তখন কিন্তু আমরা এই রথের দিনে এই রথ নিয়ে চারিদিকে ঘুরে বেড়াতাম। আসলে এখন যেহেতু আমাদের সেই শৈশব কালকে চলে গেছে তাই পরবর্তীতে চেষ্টা করব যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আসবে তাদের জন্য এই রথের ব্যবস্থাটা করার।
আসলে হঠাৎ করে তখন একটা বাচ্চা মেয়েকে দেখতে পেলাম। সে একটি পুতুল হাতে করে এই রথের মেলা ঘুরে দেখছিল। আসলে তখন আমি বাচ্চা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তুমি কি পুতুলটি আমাকে দেবে? আসলে তখন মেয়েটি বলল না। যেহেতু আমি সামনে হাঁটছিলাম এবং মেয়েটিকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করছিলাম। আসলে বর্তমান প্রজন্মটা অনেক বেশি আপডেট আগের থেকে। কেননা আগেরকার সময়ে আমরা অপরিচিত কোন লোকের সঙ্গে কথা বলতে সবসময় ভয় পেতাম। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা অনেক বেশি আপডেট এবং তারা সবকিছু বোঝে। তখন বাচ্চাটির মা বলল যে তুমি ওই আঙ্কেলটিকে তোমার পুতুল দিয়ে দাও আমি তোমাকে একটা নতুন পুতুল কিনে দেবো। এরপর মেয়েটি সম্মতি হলো পুতুলটি আমাকে দিয়ে দেয়ার জন্য।
আসলে বর্তমান প্রজন্মকে যদি আমরা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারি তাহলে তারা ভবিষ্যতে অনেক ভালো হবে এবং দেশের জন্য সব সময় কাজ করবে। এছাড়াও কোথাও মেলা হবে আর সেখানে বাচ্চাদের খেলনা কোন জিনিসপত্র থাকবে না সেটি কখনো হতে পারে। আসলে মেলার এক সাইডে বিভিন্ন ধরনের বাচ্চার বিভিন্ন রাইড দেখতে পেলাম। যদিও আমি কখনো এই ধরনের বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনায় উঠিনি। আসলে প্রথম দেখাতে বাচ্চাদের ভালো লাগলেও কিন্তু এটি বাচ্চাদের জন্য একটু বেশি বিপদজনক। কেননা এই ধরনের খেলনার জিনিস গুলোতে কোন ধরনের কোন নিরাপত্তা কখনোই থাকে না। আর অবশেষে একটা পাপড়ের দোকান দেখতে পেলাম। সেখানে গরম গরম পাপড় বিক্রি করা হচ্ছিল। সেখান থেকে একটি পাপড় কিনে নিয়ে আবার পুনরায় মেলা দেখতে লাগলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই ফটোগ্রাফিক পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit