কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা ? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
বেশ কিছুদিন ধরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি।তাই কেমন যেন ভালো লাগছে না আর বাড়িতে। ইচ্ছে করছে কোনো এক জায়গা থেকে একটু ঘুরে আসি। কিন্তু একা একা তো আর কোথাও যেতে ভালো লাগে না। তাই আমার এক বান্ধবীকে ফোন করলাম। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে সে আমার সাথে ঘুরতে যেতে পারবে কি না? সে তো এক পায়ে রাজি থাকে সব সময়। ঘুরতে যেতে সে ও আমার মতই খুব ভালোবাসে। আমি বলা মাত্র সে রাজি হয়ে গেল। কিন্তু কোথায় যাবো সেটা এখন ভাবার বিষয়। অনেক ভাবনা চিন্তার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম চন্দননগর স্ট্যান্ডে যাব। সেইমতো আমরা ঘরের সব কাজ শেষ করে নিলাম।
কাজ সব শেষ করে আমরা ঝটপট রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। চন্দননগর স্ট্যান্ড টি গঙ্গার ওপার। সেই জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমরা একটি অটোতে করে ফেরিঘাট গিয়ে নামলাম। ফেরিতে করে গঙ্গা পাড়ি দিয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম চন্দননগর স্ট্যান্ড। চন্দননগর স্ট্যান্ডে আমি এর আগে কখনো যাইনি। আমার বান্ধবী অবশ্য আগে গেছিল তার হাজবেন্ড এর সঙ্গে। সেজন্য তার সব রাস্তা চেনা ছিল, তাই বলা যায় সেই আমাকে চিনে নিয়ে গেছিল। আর চারিদিকটা ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিল। আমরা একটু হাঁটতেই সামনে দেখলাম একটি আইসক্রিমের দোকান। আমি আইসক্রিম খেতে খুব পছন্দ করি। তাই আমরা চলে গেলাম প্রথমেই আইসক্রিম কিনতে। আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে আমরা হাঁটা শুরু করলাম এবং চারিদিকটা উপভোগ করতে লাগলাম।
চারপাশের পরিবেশটা এতটাই সুন্দর তার সাথে আবার গঙ্গার হাওয়া আসছে। পরিবেশটা খুবই রোমাঞ্চক হয়ে উঠেছে। আমি আর আমার বান্ধবী এখানে এসে খুবই রিলাক্স ফিল করছিলাম। গঙ্গার পাড়ে মানুষের বসার জন্য সুন্দর করে বেঞ্জ করে রাখা আছে। এখানে সবাই এসে সুন্দর সময় কাটায় এবং প্রাকৃতিক সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করে। আমরাও একটা সুন্দর জায়গা দেখে একটি বেঞ্চিতে বসলাম। সামনে গঙ্গা নদী বয়ে যাচ্ছে আর সঙ্গে সুন্দর হাওয়া। এরই মাঝে দেখতে পেলাম দুজন নৌকা চালিয়ে গঙ্গা দিয়ে যাচ্ছে। আমারও কেমন জানি ইচ্ছা করে উঠল আমিও যদি যেতে পারতাম নৌকাতে করে। বেশ কিছুক্ষণ নদীর পাড়ে এইভাবে বসে বসে আমার আবেগি মন অনেক কিছু ভাবতে থাকলো। আর আমি চারিদিকের সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে লাগলাম।
অনেকটা সময় বসার পর আমরা আবার উঠে সামনের দিকে হাঁটতে লাগলাম। সামনেই দেখলাম একটি পাপড়ি চাট দোকান। আমার বান্ধবী বলল এই দোকানের পাপরি চাট নাকি অনেক সুন্দর খেতে। তাই আমরা পাপরি চাট খাওয়ার উদ্দেশ্যে দোকানের দিকে এগিয়ে গেলাম। পাপড়ি চাট দেখতে যেমন সুন্দর লাগছিল খেতেও কিন্তু তেমনি সুস্বাদু হয়েছিল। পাপড়িগুলো খুব মুচমুচে ছিল। আমরা গঙ্গা নদীর পাশে বসেই পাপরি চাট খাওয়া শেষ করলাম। তারপর আরো কিছুক্ষণ বসে আমার বান্ধবীর সঙ্গে একটু গল্প গুজব করছিলাম। বিকেল গড়িয়ে যেই সন্ধ্যা নামার সময় হল তখন আমরা বাড়িতে ফেরার কথা ভাবলাম। সেইমতো ফেরিতে করে নদী পার করে বাড়িতে এসে পৌঁছলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit