ইকোপার্ক ভ্রমণ। অন্তিম পর্ব।

in hive-129948 •  14 days ago 


কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


1000035978.jpg



ইকো পার্ক থেকে আমরা যখন বেরিয়ে এসেছি তখনই প্রায় দুপুর হওয়ার মুখে। তারপরে মিষ্টি হাব থেকে পোড়া দই এবং পোড়া মিষ্টি খেতে বেরোতে বেরোতেই দুপুর হয়ে গেছিল। তবে যেহেতু আমরা মিষ্টি খেয়েছিলাম তাই খিদে লেগে পারিনি। কিন্তু বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় দুই ঘন্টা লেগে গেছিল। এবং আমাদের সবার খুব খিদেও পেয়ে গেছিল। তাই আমার কাকি শাশুড়ি এবং কাকা শ্বশুর ঠিক করল যে আমরা বাইরে থেকেই খাওয়া দাওয়া করে তারপর ঘরে ফিরব। না হলে আবার বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া আরো অনেক বেশি ঝামেলা এবং বাড়ি থেকে ভেবেই বেরিয়েছিল যে দুপুরবেলা বাইরে থেকেই খাওয়া দাওয়া করা হবে। তেমন ভাবনা চিন্তা করেই আমরা আমাদের চেনা পরিচিত এবং পছন্দের একটা শপিং মলে গিয়ে সেখানকার আমাদের পছন্দের খাবার জায়গায় ঢুকে গেলাম দুপুরের খাওয়া দাওয়া করতে। এই জায়গাটি শপিংমলের মধ্যে হলেও ভীষণ সুন্দর এবং একটা আলাদাই পরিবেশ এখানকার। এখানকার প্রত্যেকটা কাউন্টারের খাবার অনেক বেশি সুস্বাদু এবং দেখতেও ভীষণ সুন্দর।

1000035977.jpg


এখানে খাওয়া দাওয়া করতে এবং সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে কারণ চারিদিকে অনেক মানুষজন রয়েছে যার কারণে একাকীত্ব বা বোর ফিল করার কোন সুযোগই নেই। আমরা সেখানে গিয়েই আমাদের পছন্দের টেবিলটিতে বসে পড়লাম। আমাদের কপাল এতটাই ভালো থাকে সবসময় যে আমরা যখনই যাই ওই টেবিলটি থাকা পাই। আর আমরা নির্দিষ্ট ওই টেবিলটিতে গিয়ে প্রতিবার বসে খাওয়া দাওয়া করি। এবারও গিয়ে ওই টেবিলটিতে বসে জিনিসপত্র রেখে তারপরে উঠে আমি আমার কাকী শাশুড়ি এবং ভাই মিলে গেলাম খাবার অর্ডার দিতে। খাবার অর্ডার দিয়ে আবার টেবিলে এসে বসলাম এবং সবাই মিলে গল্প করতে লাগলাম। গল্প করতে করতেই আমাদের ডাক আসলো যে আমাদের খাবার তৈরি হয়ে গেছে। ভাই গিয়ে খাবার নিয়ে আসলো এবং আমরা খাওয়া-দাওয়া শুরু করতে লাগলাম। প্রত্যেকটা খাবার এখানের ভীষণ সুন্দর এবং সুস্বাদু ছিল খেতে। চিকেনের দুই রকম আইটেম ছিল, দুই ধরনের নুডুলস ছিল, এবং তার সাথে ছিল দুই বড়বাটি ফ্রাইড রাইস এবং কোল্ড ড্রিংকস এছাড়াও পরবর্তীতে আরো কিছু অর্ডার করা হয়েছিল যা আমি একদমই খেতে পারিনি।

1000035985.jpg


যদিও এইসব আমরা সবাই মিলে ভাগ করে খেয়েছিলাম তার পরেও অনেক বেশি খাবার বেঁচে গেছিল। আসলে সবাই ভেবেছিল আমরা যেহেতু অনেক বেশি ক্ষুধার্ত ছিলাম তাই এই খাবারগুলো আমরা খেয়ে নিতেই পারব। কিন্তু খাওয়া শুরু করার পরে বোঝা গেল আমাদের খিদে যতই থাক না কেন পেটে জায়গা খুবই কম। তাই অল্প খেয়ে আমাদের পেটটা ভরে গেছিল। তবে খাবারের এই যে ফটোগ্রাফি গুলো তোলা হয়েছে এগুলো আমার আগে থেকে ফটোগ্রাফি করার কথা বলার একদমই প্রয়োজন হয়নি। কারণ আমার কাকি শাশুড়ি আমার থেকে অনেক বয়স্ক হলেও তিনি বর্তমান যুগে অনেক বেশি অ্যাডভান্স এবং এই জেনারেশনের সাথে এবং আমাদের সাথে অনেক বেশি খাপ খাইয়ে চলতে পারে। তাই খাবার আসার সাথে সাথেই আমাকে বলল যে, তাড়াতাড়ি খাবারের ফটোগুলো তুলে নাও অনেক বেশি খিদে পাচ্ছে। এবং সেও আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করছিল এই খাবারগুলো সুন্দর করে সাজাতে এবং ফটোগ্রাফি করার জন্য।

1000035986.jpg


খাবার খেতে খেতে আমরা অনেক গল্প করছিলাম এবং এই খাবারগুলো অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল, সে ব্যাপারেও আমার কাকা শশুরকে আমরা জানাচ্ছিলাম কারণ আমার কাকা শ্বশুর এই প্রথম এখানে খাবার খেতে এলো আমাদের সাথে। খাবার খাওয়ার পরেও আমাদের যেহেতু অনেক খাবার বেঁচে গেছিল তাই আমরা সেগুলোকে নষ্ট না করে প্যাকিং করে নিয়েছিলাম। খাবার নষ্ট করা একদমই উচিত নয় আর আমাদের কারোরই খাবার নষ্ট করা একদমই পছন্দ নয়। তাই অবশিষ্ট খাবার প্যাকিং করে নিতে আমাদের একটুও লজ্জা বা খারাপ লাগে না। আমরা খাবারগুলি প্যাকিং করে বেরিয়ে পড়লাম মলের মধ্যে আর একটু ঘোরাঘুরি করতে। ঘুরতে ঘুরতে মলের মধ্যেই একটি দোকানে গিয়ে আমার কাকী শাশুড়ি বেশ কিছু গয়না গাটি এবং সাজগোজের জিনিস কিনে নিল যা দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। কেনাকাটার পর আমরা আরো একটু ঘুরাঘুরি করে বেরিয়ে পড়লাম সেই শপিং মল থেকে। তারপর আবার গাড়িতে উঠে গল্প করতে করতে সোজা চলে এলাম বাড়িতে।

1000035988.jpg


ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm



আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

1000045889.jpg

1000045888.jpg

1000045887.jpg

1000045905.jpg

1000045906.jpg

1000045907.jpg

1000045908.jpg

1000045909.jpg

1000045910.jpg

Loading...

1000045916.jpg

1000045917.jpg

1000045936.jpg

1000045937.jpg

1000045938.jpg

Loading...