বান্ধবীর সাথে বিকালে চা আড্ডা।

in hive-129948 •  last month 


কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


1000033768.jpg



সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সারাদিন অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই দিন কাটে। দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়ার পর একটু অবসরে নিজস্ব কিছু টুকটাক কাজ করার সময় বের করি। দুপুরবেলা ঘুমানোর অভ্যাস আমার কোনদিনই ছিল না আর এখনো নেই। তাই এই সময় একান্তই নিজস্ব একটু সময় কাটাই এবং নিজস্ব কিছু কাজকর্ম করি। রোজকার মতো আজকেও তেমনি দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পরে নিজস্ব কিছু কাজ করছিলাম এমন সময় আমার একমাত্র বান্ধবী যে আমার বাড়িতেই থাকে সে ফোন করলো। বান্ধবীর ফোন তুলতেই সে আমাকে বলল তার নাকি ঘরে ভালো লাগছে না তাই সে ঘুরতে যেতে চায়। আমার কাজও যেহেতু প্রায় হয়ে এসেছিল তাই আমিও ভাবলাম এখন যেহেতু আর কোন কাজ নেই তাই বেরোনোই যায়। তাই আমরা দুজন ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমাদের পাশের যে টি গার্ডেনটি আছে সেখানেই আড্ডা দিতে যাব। এর আগে টি গার্ডেনের বর্ণনা একটি পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলাম। আমরা মূলত বাড়ির কাছে কোথাও আড্ডা দিতে যেতে হলে অথবা কিছু হালকা মুখরোচক খাবার খেতে হলে এই টি গার্ডেনেই যাই।

1000033767.jpg


ঝটপট আমরা দুজনই তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম টি গার্ডেনের উদ্দেশ্যে। যেহেতু বাড়ির কাছে তাই হেঁটে হেঁটে গল্প করতে করতে চলে গেলাম। টি গার্ডেনে ঢুকতেই দেখলাম আগে যে ছোট গেট দিয়ে ঢুকতাম সেই গেটটি এখন নেই বড় গেটটি থেকেই এখন ঢুকতে হবে। এছাড়াও আগে কোন টিকিট কাটার নিয়ম ছিল না কিন্তু বর্তমানে ১০ টাকা করে টিকিট কেটে তারপর টি গার্ডেনে ঢুকতে হবে। আমরা নিয়ম অনুসারে ১০ টাকায় টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম। এই টি গার্ডেনে যেহেতু প্রায় সময় আমরা যেয়ে থাকি তাই এবার ঘোরাঘুরি না করে সোজা গিয়ে বসে পড়লাম আমাদের নির্দিষ্ট টেবিলে যেখানে আমরা সব সময় বসি। টেবিলে বসে আমরা দুধ চা এবং তার সাথে কিছু খাবার অর্ডার দিলাম। আমরা গল্প করতে করতেই খাবার চলে আসলো। আমরা খাবার খেতে খেতে বিভিন্ন ধরনের গল্পে জুড়ে দিলাম। বলে রাখা ভালো এর মধ্যে সবথেকে অন্যতম একটি টপিক ছিল আর আমাদের এই টপিক শুরু হল পাশের টেবিলের বসে থাকা দুটি মেয়ে এবং তাদের দুই ছেলেকে নিয়ে। আমরা অনুমান করছিলাম তারা হয়তো দুই বান্ধবী হবে এবং দুই বান্ধবী তাদের দুই ছেলেকে নিয়ে এসেছে এখানে একটু সময় কাটাতে।

1000033770.jpg



আমরাও মূলত তাদের দেখে এটাই ভাবছিলাম আমাদেরও যখন ভবিষ্যতে সন্তান হবে তখন আমরা এভাবে আসবো আমাদের সন্তানদের নিয়ে। বর্তমানে আমাদের জীবন যেমন চলছে তার থেকে কতটা পরিবর্তন হয়ে যাবে সন্তান হওয়ার পরে, এসব কথা আলোচনা করতে করতেই আমরা খাবার টাবার খেয়ে চা এ চুমুক দিতে লাগলাম। চা খেতে খেতে হঠাৎ করে আমার মাথায় একটি সন্দেহ হতে লাগলো। আবার বলা যায় কিছুটা কৌতুহল মনে আসলো, আসলে এই টি গার্ডেনে চায়ের দাম ১৫, ২০ এবং ২৫ টাকা। আর আমরা যখনই আসি ২০ টাকার চা অর্ডার করি, আর এবারও কুড়ি টাকার চা টাই অর্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কেমন সন্দেহ হলো যে কুড়ি টাকার চায়ের ভার এবং ১৫ টাকার চায়ের ভার আলাদা দেখতে হলেও তাতে একই পরিমাণ চা ধরে। আর এই সন্দেহ আসতেই আমার সন্দেহটা ভুল না ঠিক সেটা দেখার জন্য আমি আরেকটা ১৫ টাকার চা অর্ডার দিয়ে দিলাম। আর ১৫ টাকার চা নিয়ে আসতে আমি সেই ভার ধরে আমার আগে খাওয়া ২০ টাকার চায়ের কাপের মধ্যে ঢেলে দিলাম। আর সত্যিকারের ব্যবসা কাকে বলে সেদিন আমি ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। কাপ দেখতে আলাদা হলেও চায়ের ভারে একই পরিমাণ চা ধরে।


1000033800.jpg



শুধুমাত্র দেখার পরিবর্তনের জন্য ভাঁড়ের দাম বেশি কম কিন্তু পরিমাণ একই। এটা দেখে আমরা রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম, যে ব্যবসা কাকে বলে এদের কাছ থেকেই শেখা উচিত। যাইহোক তবে আমাদের আরো কিছু খাবার ইচ্ছা হয় আমরা এবার নতুন কিছু অর্ডার দিই যা আমরা এখানে আগে খাইনি। তাই আমরা আরো দুটো আইটেম অর্ডার দিলাম এবং আরও একটি করে চা অর্ডার দিয়ে টেবিলে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পরে আবার আমাদের অর্ডার গুলো দিয়ে দিল এবং এই খাবারগুলো অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। তবে এখানকার চিকেন পকোড়া একটুও খেতে ভালো নয়। যা আমরা প্রথমবার অর্ডার দিয়েছিলাম এবং খেয়ে খুবই খারাপ লেগেছিল বলে আমরা স্বাদটা আবার পরিবর্তন করার জন্য দ্বিতীয়বার অর্ডার দিয়েছিলাম। তবে দ্বিতীয়বার অর্ডার দেওয়া খাবারগুলো খেতে সুস্বাদু হওয়ায় আমরা বেশি খুশি হয়ে গেছিলাম। আমরা এখানে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন খাবারের দাম দিতে যাই তখন ওই কাকু আমাদের আবার দুটো চকলেট ভালোবেসে খেতে দেয়। যেহেতু আমরা প্রায়ই এখানে আসি তাই এখানকার কাকু এবং দাদাদের সাথে আমাদের অনেক বেশি চেনা পরিচিতি হয়ে গেছে। আমরা দুজন দুটো চকলেট খেতে খেতে গল্প করতে করতে বাড়ি চলে আসি।

ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm



আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

1000035806.jpg

1000035805.jpg

1000035804.jpg