কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
বড় কালী মায়ের দর্শন করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে এলাম। বড় কালী মায়ের সামনেই শুধু ভিড় ছিল। এগিয়ে যখন সামনে এসে দাঁড়ালাম, একদম পুরো ফাঁকা। বড় মায়ের দর্শন করে মনটা অনেক ভালো লাগছে। এবার আমরা হাঁটতে হাঁটতে আরেকটু সামনে গিয়েই আরেকটি কালী মায়ের দর্শন পেলাম। এই কালী মায়ের প্রতিমা টি তুলনামূলক অনেকটাই ছোট করেছে। কিন্তু এই মাকেও পড়ানো হয়েছে রুপার গয়না। মায়ের গলায় গাঁদা, জবা, রজনীগন্ধা ফুলের বেশ বড় বড় মালা পড়ানো হয়েছে। মায়ের মুখ দেখতে ভারী মিষ্টি এবং গোলগাল হয়েছে। মায়ের মাথার ওপরে ছোট ছোট ফুলের আকার করে কাগজ কেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভালোই লাগছে দেখতে, এছাড়াও মায়ের সামনে তিনটা সুন্দর ঝুমুর লাগানো আছে। আর তার চারপাশে ফুলের আকার করে কাপড় ঝুলিয়ে রেখেছে।
আরেকটু সামনে হাঁটতেই দেখতে পেলাম আরেকটি মায়ের প্রতিমা। দেখে একটু অবাক হলাম এই কালী মায়ের প্রতিমাতে কোনরকম স্বর্ণের অথবা রুপার গয়না পরানো নেই। এই প্রতিমা টি রাস্তার অনেকটাই কাছে তাই হয়তো পড়ানো হয়নি, আবার অন্য কোন কারণও থাকতে পারে। বেশি কিছু না ভেবে মায়ের প্রতিমা দর্শন করতে লাগলাম। কিন্তু মাকে দেখে মনে হচ্ছে মা মনে হয় ডায়েট কন্ট্রোল করছে। অনেক রোগা হয়ে গেছে। শিব ঠাকুর কে একটু স্বাস্থ্যবান দেখাচ্ছে আর কালী মাকে অনেক রোগা লাগছে দেখতে। শিব ঠাকুর এবং কালী মা দুজনকে দেখেই মনে হচ্ছে সাপটিকে দেখে তারা যেন ভয় পেয়ে গেছে। তাই ভয়ংকর ভাবে বড় বড় চোখ করে সাপের দিকে তাকিয়ে আছে। সামনে দুটো ঝুমুর লাগানো এবং ঝুমুরের পাশে কাপড় দিয়ে সুন্দর করে ফুলের আকার দেওয়া হয়েছে। অনেক সুন্দর লাগছে এই ঝুমুর দুটি দেখতে।
আমরা মায়ের প্রতিমা দর্শন করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম, সামনেই আরেকটি প্রতিমা। দেখে অবাক হলাম এই কালী মায়ের প্রতিমা টি আবার অনেক বড় করেছে। হ্যাঁ দাঁড়িয়ে আমি একটু ভাবছিলাম, যে এমন কেন করল কিছু বড় কিছু ছোট প্রতিমা করা হয়েছে। যাইহোক এসব ভেবে তো আর লাভ হবে না কেউ আমাকে এর উত্তর দিতে পারবে না আমিও কাউকে জিজ্ঞাসা করতে পারব না তাই ভেবে মায়ের প্রতিমা ভালো করে দেখতে লাগলাম। এখানে দেখলাম মাকে কিছু রুপার গয়না পড়ানো হয়েছে। মাথার মুকুট, নাকে নথ, গলায় কিছু হার, এবং পায়ে কড়া রুপার পড়ানো হয়েছে। পিছনে দেখতে পাচ্ছি কয়েকটি বেনারসি শাড়ি দিয়েছে। মাকে প্রণাম জানিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। দেখতে পেলাম আরও একটি মায়ের প্রতিমা। আবার এই প্রতিমাকে দেখলাম কোনরকম স্বর্ণের বা রুপার গয়না পরানো হয়নি। শুধুমাত্র সোনালী রঙের নকল যে সোলার গয়না সেটাই করানো হয়েছে।
মায়ের প্যান্ডেলটির সামনে যে ছাদ করেছে সেটা মায়ের মুখের সামনে নিচু হয়ে গেছে তাই মুখটা কিছুটা ঢেকে গেছিল। অনেকটা সামনে এসে মায়ের মুখ দর্শন করতে পারলাম। কালী মায়ের এই প্রতিমাতে ফুলের মালা অনেক কম পড়ানো হয়েছে। দেখে খুবই খারাপ লাগছিল, তবুও আমার কিছু করার নেই তাই ভেবেই এগিয়ে গেলাম। এই একই রাস্তায় পরপর লাইন দিয়ে কালী মায়ের এই প্রতিমা গুলি পূজা করা হয়। তাই পরপর দেখতে দেখতে চলে আসলাম রাস্তার এক প্রান্তে। এসে দেখি এখানে একটা পিঠের দোকান বসেছে। অনেক রাত হয়ে গেছে আর কিছু খেতেও ইচ্ছা করছিল তাই পিঠে দেখে লোভ সামলাতে না পেরে চলে গেলাম পিঠে খেতে। পিঠেটা খেতে বেশ ভালোই ছিল কিন্তু আগের মতো অতটাও সুস্বাদু খেতে হয়নি। আসলে এখনকার জিনিসপত্র অতটা ভেজাল হয়ে গেছে যে আগের মত কোন খাবারেই স্বাদ নেই। পিঠে খাওয়া শেষ করে আমরা আবার হাঁটতে শুরু করলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit