কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আমরা মানুষেরা সব সময় বলে থাকি যে, কোন একজন ব্যক্তি আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। মানে আমাদের সাথে কটু কথা, উচ্চস্বরে কথা, ঝগড়া করা, বাজে ব্যবহার করা ইত্যাদি কেউ যদি আমাদের সাথে বলে থাকে সাধারণত আমরা এইসব ব্যবহারকেই খারাপ ব্যবহার বলে থাকি। এই সব বাজে ব্যবহার এবং ঝগড়া আমাদের মনে অনেক বেশি আঘাত করে, যার ফলে আমরা সেই মানুষটার থেকে দূরে সরে আসি যে মানুষ আমাদের সাথে এমন ভাবে ঝগড়া করে এবং বাজে ব্যবহার করে। আমাদের মন থেকে সরতে সরতে তারা পুরোই মনের বাইরে বেরিয়ে যায় এবং খারাপ লাগার জায়গা তৈরি করে ফেলে। আমরা বলতে পারি যে এই মানুষটি আমাদের সাথে ঝগড়া করেছে বা খারাপ ব্যবহার করেছে কিন্তু এমনও কিছু ব্যবহার আছে যা আমরা বলতেও পারবো না আবার সহ্য করাও যায় না। কিছু কিছু মানুষ এমন আছে যারা ঝগড়া করে না, উচ্চস্বরে কথা বলে না, বাজে ব্যবহার করে না এমন কি কোন কটু কথাও বলতে শোনা যায় না তবুও প্রতিনিয়ত এইসব ব্যক্তি মনে আঘাত করতে থাকে তাদের বাজে, অহংকারী এবং সর্বজ্ঞান সম্পন্ন আচরণের দ্বারা। এরা মনে করে এরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞানী এবং বাকি সবাই মূর্খ।
আসলে এইসব ব্যক্তি ঝগড়া বা কোন কটু কথা না বললেও তাদের আচরণে এবং চলাফেরার মাধ্যমে এমন ভাব দেখিয়ে দেবে যে আপনি বুঝতেই পারবেন যে এই ব্যক্তিটি অপছন্দ করছে এবং আপনাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো এইসব ব্যক্তি এমন ব্যবহার করে যে খারাপ ব্যবহার করছে সেটা পুরো প্রকাশ পায়। তবুও এসব মানুষকে কিছুই বলা যায় না বা সে যে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে সেটা মুখে বলাও যায় না। কারণ এইসব ব্যবহারের কোন প্রমাণ থাকে না। তবে কটু কথা বা ঝগড়াঝাঁটি থেকে বেশি বেদনাদায়ক হয় এইসব আচরণ। এইসব ব্যক্তি মানতেই চায় না যে তাদের আচরণ এতটা খারাপ যে অন্য মানুষের মনে আঘাত করে। এইসব মানুষ প্রতিনিয়ত অন্য মানুষকেই দোষারোপ করবে যে তার চিন্তাভাবনা ভালো নয় কিন্তু নিজের আচরণ পরিবর্তন করতে তারা মোটেও রাজি নয়। আসলে এইসব মানুষ কিছুটা স্বার্থপর এবং নির্দয় প্রকৃতির হয়ে থাকে। কারণ এরা শুধু প্রয়োজনে মানুষের সাথে মিশে এবং প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে সে মানুষের কাছ থেকে সরে যায় আর নিজেকে নিয়েই প্রতিনিয়ত ব্যস্ত থাকে।
এইসব মানুষ প্রয়োজন পড়লে অন্য মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করবে এবং প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই তাদের সাথে এমন বিরক্তিকর আচরণ করবে যেন জীবনে তাদের কোন প্রয়োজনই নেই। তারাই উল্টো সেই ব্যক্তিকে বিরক্ত করছে। আসলে আমরা প্রায় শুনতে পাই কিছু টক্সিক মানুষের কথা। এই মানুষগুলো কিছুটা সেই প্রকৃতির টক্সিক মানুষের গণ্ডির মধ্যেই পড়ে। যারা প্রতিনিয়ত মনে করে আমরা যেটা করছি সেটাই সঠিক এবং অন্যরা যেগুলো কাজ করে সেগুলো ভুল। আসলে মুখে কটু কথা না বলেও যে খারাপ ব্যবহার করা যায় মানুষের সাথে সেই ব্যাপারটা এরা কখনোই বোঝেনা। আসলে প্রত্যেকটা মানুষই চায় তাদের প্রিয়জনের কাছ থেকে অনেক বেশি সময়, ভালোবাসা এবং গুরুত্ব। এছাড়াও তার প্রিয়জন যেন তাদেরকে একটু সময় দেয় এবং তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনে শুধু এটুকুই প্রিয় মানুষটার কাছে চাওয়া থাকে। তবুও কিছু কিছু মানুষ এমন ব্যবহার করে যেন কি না কি তাদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। এসব মানুষ প্রতিনিয়ত তাদের কাছের মানুষ দের ইগনোর করতে থাকে এবং নিজের লাইফে খুব ব্যস্ততা দেখায় অথচ কোন এক সময় যদি সে মানুষগুলোকেই ইগনোর করা হয় তাহলে তারা মনে করে তাদের ওপরে অন্যায় করা হচ্ছে।
আমাদের সকলকে বুঝতে হবে যে খারাপ ব্যবহার শুধু খারাপ কটু বাক্য প্রয়োগের মাধ্যমে হয় না। খারাপ ব্যবহার খারাপ আচরণের মাধ্যমেও কারোর মনে আঘাত করা যায় বা কারো খারাপ লাগার জায়গা তৈরি করা যায়। তাই আমাদের উচিত আমাদের সঠিক আচরণ শেখা, আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা করা আমাদের কাছের মানুষ এবং প্রিয় মানুষের সাথে সবসময় সুন্দর ভাবে আচরণ করা যেন তারা কোনোভাবেই মনে আঘাত না পায়। প্রত্যেকটা মানুষেরই নিজস্ব কাজ থাকে তবে কোন মানুষ এতটাও ব্যস্ত হয়ে থাকে না সারাদিন যে, তাদের প্রিয় মানুষকে সময় দিতে পারবে না। ব্যস্ততা এবং অহংকারী আচরণ ত্যাগ করে আমাদের সব সময় সবাইকে ভালোবেসে ভালো আচরণের মাধ্যমেই সবার সাথে মিশা উচিত। "অহংকার পতনের কারণ" তাই আমরা যদি প্রতিনিয়ত মানুষকে অহংকার দেখাতে থাকি তাহলে আমাদের চারপাশে মানুষ আমাদের অহংকারী আচরণে কষ্ট পেয়ে আমাদের থেকে দূরে সরে যাবে। তাই আমাদের উচিত আমাদের সব রকম আচার-আচরণ ভালো করা শুধুমাত্র ঝগড়া না করে বা কটু কথা না বললেই যে মানুষ তাকে ভালবাসবে এমনটা নয় পাশাপাশি ভালো আচার-আচরণ থাকাটাও অনেক বেশি প্রয়োজন।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit