কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
"পরীক্ষা" এমন একটা জিনিস যা আমাদের জীবন থেকে যেতেই চায় না। আমরা প্রতিনিয়ত কোন না কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষা দিয়েই চলেছি। সেই ছোটবেলায় প্রথম যখন স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় আসলো তখন ও স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য আমাদের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। আর সেই থেকে শুরু হয়েছে আমাদের পরীক্ষা দেওয়া। প্রতিবছর বছর স্কুলে এবং কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হতে হয়েছে । জীবনটাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সেও আমাদের প্রতিনিয়ত প্রতিক্ষেত্রে পরীক্ষা নিয়ে গেছে এবং এখনো পর্যন্ত পরীক্ষা নিয়ে চলেছে, আর মৃত্যু পর্যন্ত এই পরীক্ষা চলতেই থাকবে। স্কুলের পড়াশোনায় এবং কলেজের পড়াশোনায় একটা সিলেবাস থাকে এবং বই খাতা থাকে যার মাধ্যমে আমরা পড়াশোনা করে কিছু জ্ঞান অর্জন করে তার মাধ্যমে পরীক্ষা দিতাম। কিন্তু জীবনে প্রতিনিয়ত যে পরীক্ষা দিতে হয় সেই পরীক্ষায় আমাদের না আছে কোন বই খাতা, না আছে নির্দিষ্ট কোন সিলেবাস। আর যে বিষয়ে আমরা পরীক্ষা দিই সে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান আছে কি নেই সেটাও আমাদের জানা থাকে না। শুধুমাত্র সময়ের সাথে সাথে পরীক্ষা দিয়ে চলতে হয়।
স্কুল-কলেজের পরীক্ষায় ফেল করলে আরো একবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু জীবনের পরীক্ষায় একবার ফেল করলেই জীবনের মোড় ঘুরে যায় আর কোন কোন ক্ষেত্রে জীবন নষ্ট হওয়ার ও সম্ভাবনা থাকে। তাই জীবনের এই পরীক্ষা খুবই কঠিন হয়ে থাকে। তবে আমরা স্কুল কলেজের পরীক্ষা চাইলে নাও দিতে পারি, অথবা ইচ্ছা করলেই পড়াশোনা বন্ধ করে এই প্রতিবছর পরীক্ষা দেওয়ার কষ্ট অথবা টেনশন থেকে মুক্তি পেতে পারি। কিন্তু আমাদের জীবনে এমন কোন সুযোগ নেই যে আমরা এই পরীক্ষাগুলি দেওয়া বন্ধ করতে পারব। আমাদের সামনে বিভিন্ন রূপে বিভিন্নভাবে এই পরীক্ষা নামক বস্তুটি চলে আসে যা আমরা অনেক সময় বুঝতেও পারি না। যেমন ছোটবেলা থেকে প্রত্যেকের পড়াশোনা করে পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করে নিতে হয়েছে। তারপর ছেলেদের আবার চাকরির পরীক্ষা, যেটা ছেলেদের জীবনের সবথেকে বড় পরীক্ষা যার মাধ্যমে তাদের জীবন সুন্দর হয়ে যেতে পারে আবার জীবন খারাপ হয়ে যেতে পারে।
এরপর আবার আসে পরিবারের মানুষকে সুখে রাখার পরীক্ষা। প্রতিনিয়ত পরিবারের মানুষ এমনভাবে আশা করে থাকে যে তাদের প্রয়োজন, চাহিদা পূরণ করা তোমারই কাজ আর এই কাজে যদি তুমি ফেল হয়ে যাও তাহলে তোমাকে ফেল করার সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় ব্যাপারটা আরো জটিল হয়ে দাঁড়ায়। কারণ মেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে নিয়েও প্রতিনিয়ত পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। তারপর নিজে কিছু করার ইচ্ছা অর্থাৎ অর্থ উপার্জন করে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাকে প্রতিনিয়ত কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। তারপর যে তারা বিয়ে করে নিজের জীবনটা একটু সুরক্ষিত করবে সেটাও হয়ে ওঠে না। প্রতিনিয়ত মেয়েদের সংসার সুখে রাখার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। আসলে প্রত্যেকটি মানুষ সারা জীবনই অনেক কঠিন কঠিন পরীক্ষা দিয়ে চলেছে। কোন কোন সময় এই পরীক্ষায় পাশ করেছে আবার কোন কোন সময় এই পরীক্ষায় ফেল করেছে।
স্কুল-কলেজে যেমন যেকোনো পরীক্ষার ফলাফল তাড়াতাড়ি আমরা পেয়ে যাই তেমন জীবনের এই পরীক্ষায় পরীক্ষার ফলাফল খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় না। আর যখন আমরা বুঝি যে জীবনের এই পরীক্ষাটি ভুল দিয়ে ফেলেছি তাই এর ফলাফলটি খারাপ হয়েছে তখন অনেক দেরি হয়ে যায় আর শোধরানোর কোন উপায় থাকে না। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত খুব ভাবনাচিন্তার মাধ্যমে আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাহলে আমাদের জীবনের পরীক্ষায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম হতে পারে। তবে জীবনে কিছু খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সময় আসে যেটা আমাদের খুবই ভালোভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে, না হলে জীবনটাই পুরো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এই পরীক্ষা হতে পারে স্কুল-কলেজের পরীক্ষা অথবা হতে পারে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পরীক্ষা। আসলে ভগবান আমাদের প্রতিনিয়ত এক একটা বিভ্রান্তির মুখে ফেলে দেয় এবং দেখতে থাকে যে আমরা সেই সময় কি সিদ্ধান্ত নি। তাই সব ক্ষেত্রেই আমাদের কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল সেটা ভাবনা চিন্তা করে বুঝতে হবে এবং জীবনের প্রত্যেকটা পরীক্ষায় সুন্দরভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। তাহলে জীবনটা সুন্দরভাবে সাজিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনটাই মানে পরীক্ষার জায়গা। এখানে শুধু স্কুল কলেজের পরীক্ষা বলে নয় জীবনের পরীক্ষাটা সবচেয়ে বড়। স্কুল-কলেজে ফেল করলে আবার পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে পাস করা যায়। কিন্তু মানুষের জীবন চলার পথে বেশ কিছু পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় যে পরীক্ষার মধ্যে জীবনের ভাগ্য নির্ধারণ থাকে। অনেকে সেই ভাগ্য নির্ধারণ করতে যায় পতিত হয় এমনকি জীবন শেষ হতে পারে। যাহোক আপনার লেখা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বেশি দারুণভাবে লিখেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরে সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপনি। কিভাবে চিন্তা করলে সত্যি আমাদের জীবনটাকে শুধরানো যায় এবং সঠিক পথে চালানো যায়। স্কুল লাইফের পরীক্ষার ফেল আর জীবন লাইফের পরীক্ষার খেলে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit