কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আজকে আমি আমার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে চলেছি। সেটা আমার অভিজ্ঞতার সাথে আমার মন খারাপেরও একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর আমার এই মন খারাপের ব্যাপারটা তারাই খুব ভালোভাবে জানবে এবং ফিল করতে পারবে যারা আমার মত একই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। আসলে ব্যাপারটা হল যাদের পায়ের আকার আমার মত বড় এবং যাদের পায়ের আকার অনেক বেশি ছোট তারাই একমাত্র বুঝবে জুতো কিনতে গেলে কতটা কষ্ট পেতে হয় আর তার সাথে কথাটা পরিশ্রম দিতে হয় একটি জুতো কেনার জন্য। কারণ আমার পা এর আকার এতটাই বড় যে সবথেকে বড় সাইজের জুতোটা আমার প্রয়োজন হয়। আর এই সব থেকে বড় সাইজের জুতো সব সময় দোকানে প্রস্তুত থাকেনা। তেমনি যাদের পায়ের সাইজ অনেক বেশি ছোট তাদেরও জুতো কিনতে গেলে একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমি দেখেছি বেশিরভাগ সময় আমার যে জুতো পছন্দ হয় দোকানদারকে যদি বলি, সেই জুতোর আমার পায়ের সাইজের দেখাতে তাহলে বেশিরভাগ সময় এটাই উত্তর আসে যে, 'এর থেকে বড় সাইজ হবেনা'। আর এই উত্তর শুনলে মনে যে কত বেশি কষ্ট হয় সেটা বলে বোঝানোর মত নয়।
আসলে এমন একটা সময় যায়নি যে সময় আমি জুতো কিনতে গিয়ে এক দোকানে ঢুকেই জুতো পছন্দ করে আমার পায়ের মাপের জুতো পেয়েছি। প্রতিটা সময় আমার যখন জুতো কেনার প্রয়োজন হয় তখন পুরো বাজার ঘুরে তারপরে হয়তো কপাল ভালো থাকলে কোন একটি দোকানে পছন্দের জুতোর সাইজ পেয়ে যাই। আবার কিছু কিছু সময় এমন হয় যে পুরো বাজার ঘুরে জুতো না পেয়ে অন্য আরো বাজার দেখতে যেতে হয়। যে সেখানে আমার পায়ের মাপের জুতো পাওয়া যাবে কিনা। আমার মনে আছে আগের বছর দূর্গা পুজোর আগে পুজোতে পড়ার জন্য জুতো কিনতে গিয়ে কোথাও আমার পায়ের মাপের জুতো পায়নি। অবশেষে একটা দোকানে একটি জুতো পছন্দ হয়ে যায়, কিন্তু সেখানেও আমার পায়ের মাপের জুতো ছিল না। সেই সময় আমার কপাল ভালো থাকায় দোকানদার বলল যে আমি যদি অর্ডার দিয়ে যাই তাহলে সে আমাকে আমার পায়ের মাপের জুতো বানিয়ে দিতে পারবে এবং বাড়িতে জুতোটি পৌঁছে দিয়েও আসবে। আমি শুনে তো খুবই খুশি হয়ে গেছিলাম আর জুতো অর্ডার দিয়ে এসেছিলাম এবং পরবর্তীতে বাড়ি বসেই জুতোটি পেয়ে গেছিলাম। কিন্তু এবার জুতো কেনার সময় হল অনেক বেশি ঝামেলা।
কারণ এবার বেশ কয়েকটা বাজারে জুতো দেখেও আমার পায়ের জুতা না পাওয়ায় মন খারাপ হয়ে গেছিল। আর এবার আমার জুতোটা কিনতে আসতে এতটাই দেরি হয়ে গেছে যে অর্ডার দিয়ে গেলেও দেরি হয়ে যাবে কারন আমার দুই দিনের মধ্যেই একটি বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ রয়েছে। তাই মন খারাপ হলেও হাল না ছেড়ে অনেক কষ্টে আরো বেশ কয়েকটা বাজারে ঘুরে অবশেষে একটি জুতো পেলাম সেটা আমার পায়ের সাইজের ছিল। যেই জুতাটা পেলাম সাথে সাথে কিনে নিয়ে নিলাম। একটি জুতো কিনতে গিয়ে এত হয়রানি হতে হয় সেটা আমি ছোটবেলায় বুঝতাম না। কারণ তখন আমার পায়ের আকার ছোট ছিল তাই জুতো পাওয়া যেত। বড় হয়ে বুঝতে পারলাম জীবনে বড় বড় সমস্যা যেমন থাকবে তেমন ছোট ছোট সমস্যা আমাদের হেনস্থা করতে পিছুপা হয় না। আসলে কেনাকাটা করতে সবার ভালো লাগে আমারও অনেক বেশি ভালো লাগে, কিন্তু সেই সব কেনাকাটা যদি ভালোলাগার মতো হয় তাহলে ভালো লাগে যদি পছন্দের জিনিস ওখানেই ফেলে রেখে আসতে হয় সাইজের কারণে বা অন্য কোন সমস্যার কারণে তাহলে মোটেও ভালো লাগে না।
আর আমি যবে থেকে বড় হয়েছি এবং আমার শরীরের গ্রোথ নির্দিষ্ট সীমায় এসে থেমে গেছে সেই থেকে আমার এই জুতো কেনার জ্বালাটা জীবনে যেন চিরস্থায়ী হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে ভয় লাগে আমার পায়ের আকার যদি আরও বড় হতো তাহলে হয়তো আমার দোকানে যাওয়াই লাগতো না। প্রতিবার জুতো প্রয়োজন হলে অর্ডার দিয়ে তৈরি করতে হতো। তবে আমার অন্যান্য সবকিছু কেনাকাটা করতে যতটা ভালো লাগে জুতো কিনতে যেন আমার খুবই বিরক্ত লাগে। আর এটা ভেবেই দুঃখ লাগে যে সারা বাজার ঘুরে পছন্দের জুতোটা তো সেই দোকানেই রেখে আসতে হবে আমার পায়ের সাইজে হবে না বলে। আর সেই জন্যই অন্যান্য জিনিস কিনতে গেলে আমার অতি সহজে ঝটপট কেনা হয়ে গেলেও জুতো কিনতে গেলে আমার একদিনে কখনোই কেনা হয় না। কম করে দু - তিন দিন কয়েকটা বাজার ঘোরাঘুরি করে তারপর জুতো কেনার এনার্জি ফুরিয়ে ফেলে কোনো রকমে একটা ভালো জুতো কিনতে পারলে বাঁচি এরকম একটা মনোভাব নিয়ে পায়ের সাইজের একটা সুন্দর জুতো নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাঝে মাঝে কিছু কেনাকাটা করতে গেলে অনেক দোকান ঘোরাঘুরি করা লাগে। আপনি জুতা কিনতে গিয়ে প্রথম দোকানে নিজের পছন্দমত জুতা পেয়ে গেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। কিন্তু এবার দুইদিন বাদে বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠান আর আপনার জুতা পছন্দমত হচ্ছে না। সামনে কোন অনুষ্ঠান থাকলে সব কিছুরই একটু তাড়াহুড়া হয়। তবে অবশেষে আপনি জুতা পেয়েছেন এটা যেন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনার এই পুরো জুতা কেনার মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুধু জুতা কেন আপু যে কোন জিনিস কিনতে গেলে পারফেক্ট হয় না অনেক কষ্ট হয় ঘুরে ঘুরে কিনতে। তবে জুতা কিনতে একটু বেশি কষ্ট হয় আপনি তা ঠিক বলছেন। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit