কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমরা ইকো পার্কের সুন্দর মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে করতে হেটে চলেছি। চারপাশে অনেক সুন্দর সুন্দর দেখার জিনিস রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট স্ট্যাচু করা রয়েছে যা দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। এত সুন্দর পরিবেশে ঘুরতে বেশ ভালই লাগে। ঘুরতে ঘুরতে সামনে দেখতে পেলাম গোল করে অনেক বড় একটি জায়গা আলাদা করে ঘেরা রয়েছে। একটু কাছে গেলাম ভালো করে দেখার জন্য। সেখানে অনেক রকমারি পাথর রাখা রয়েছে। আর তার সাথে রয়েছে বিভিন্ন রকমের মুখমণ্ডল। ভূতের মত ভয়ংকর কিছু মুখমণ্ডল আবার প্রাচীন কিছু মানুষের মুখমন্ডল আর কিছু কেরালার ঐতিহ্যবাহী নাচের মুখমন্ডল আরো কিছু অদ্ভুত ধরনের মুখমন্ডল, এই মুখমন্ডল গুলো দেখতে একটু ভয়ঙ্কর ধরনের। আর এই মুখমন্ডলের কাছাকাছি রয়েছে বিভিন্ন মাঝারী উচ্চতার গাছ। গাছপালা মুখমণ্ডল এবং পাথর সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সুন্দর করে সাজানো রয়েছে ওই জায়গাটি। দেখে একদম অন্যরকম একটু অনুভব হলো। একদম অন্যরকম, বলা যায় অচেনা কিছু জিনিস দিয়ে সেখানে সাজানো হয়েছে।
আমরা এই সুন্দর জায়গাটি দেখে আবার হাঁটা শুরু করলাম। এমন সময় আমার কাকি শাশুড়ির মনে পড়লো যে আমরা মিষ্টি হাব থেকে পোড়া দই খেয়েছিলাম যা ভীষণ সুস্বাদু ছিল। আর সে এই পোড়া দই আবার আমার কাকা শশুরকে খাওয়াতে চায়। এমন কথা শুনে আমরা সেই দিকে এগোতে লাগলাম যেদিকে আমরা মিষ্টি খাব। আসলে পার্কের একদম বেরোনোর গেটের পাশেই সেই মিষ্টির দোকানটি। আসলে এটি একটি মিষ্টির দোকান নয় বলা যায় এটি একটি মিষ্টির মল। যেমন শপিংমলে ছোট ছোট বিভিন্ন দোকান থাকে আর সেখানে বিভিন্ন জিনিস পাওয়া যায় তেমন এখানে বড় বিল্ডিং এর মধ্যে ছোট ছোট মিষ্টির দোকান আছে এই পুরোটাই একটি মিষ্টিরমল যার নাম মিষ্টি হাব। তো আমরা ইকোপার্ক থেকে বাইরের গেটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে এলাম, গেট থেকে বেরোতে বাঁদিকে মিষ্টি হাব। এই মিষ্টি হাবটি এত সুন্দর দেখতে যে দেখলে মনেই হয় না যে এখানে শুধু মিষ্টি পাওয়া যায়। অসম্ভব সুন্দর করে বাইরের ডেকোরেশন করা। এমনকি বসার জন্য বেঞ্চ করে রাখা রয়েছে।
সামনে সুন্দর পিলার ডিজাইন করে তার মাঝে মাঝে আবার সুন্দর সাদা রংয়ের কাগজ ফুল গাছ লাগানো। মিষ্টি হাব এর বাইরের পরিবেশটাই এত সুন্দর যে সেখানেই বসে থাকার ইচ্ছা হয়। আমার কাকী শাশুড়ি বাইরে বসে এই কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলো। তারপর আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম মিষ্টি হাবের ভেতরে ঢোকার উদ্দেশ্যে। এখানকার গেট পুরো কাচের সেন্সর সিস্টেম তাই আমরা গেটের কাছাকাছি যেতেই গেট নিজে থেকে খুলে গেল এবং আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম। ভেতরে এত সুন্দর সুন্দর সব দোকান এবং প্রত্যেকটি দোকানে ভীষণ সুন্দর করে সাজানো মিষ্টিগুলো। এই মিষ্টি গুলো দেখলেই লোভ লেগে যাওয়ার মত। এই মিষ্টিগুলো যেমন দেখতে ঠিক তেমনি খেতে। ভীষণ সুন্দর এবং সুস্বাদু এখানকার মিষ্টি। আমরা বিভিন্ন দোকান দেখতে দেখতে চলে গেলাম সোজা সেই দোকানে যে দোকান থেকে আমরা প্রায় মিষ্টি খেয়ে থাকি। এই দোকানের মিষ্টি যেন একটু বেশি পছন্দ আমাদের। আমরা পোড়া দই নিয়ে নিলাম খাওয়ার জন্য। এই পোড়া দই এখানকার সব থেকে নামকরা এবং সুস্বাদু একটি মিষ্টি।
পোড়া দইয়ের স্বাদ এত সুন্দর যে একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। হালকা একটা স্মোকি ফ্লেভার আর সাথে একদম পারফেক্ট মিষ্টি। খুব বেশি খেলেও একদম গা গোলাবে না। আমরা দই খেয়ে আরেকটা পোড়া রসমালাই নিয়ে নিলাম। তবে দই এর থেকে রসমালাইটা একটু বেশি মিষ্টি ছিল। আমরা এখানে মিষ্টি খেয়ে একটু চারপাশটা ঘুরে দোকানগুলো দেখছিলাম বেশ সুন্দর পরিপাটি, পরিষ্কার এবং গোছানো সব দোকানগুলো। এবার আমরা সোজা বাড়িতে আসবো। কারণ আমাদের ঘোরাফেরা আজকে সম্পন্ন হয়েছে। অ্যাপে একটি গাড়ি বুক করে নিলাম বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর গাড়ি চলে এলো। তারপর উঠে পড়লাম বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে। তবে এখান থেকে বাড়ি যেতে প্রায় সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা। আর যদি ট্রাফিক জ্যাম হয় তাহলে তো তিন ঘন্টার বেশি লাগবে। তবে এই সময়টা আমাদের ভালোভাবেই চলে যায় কারণ আমরা বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে করতে সময়টা সুন্দরভাবে কাটিয়ে ফেলি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit