কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমরা মানুষেরা হলো গোষ্ঠীবদ্ধ জীব। তাই আমরা কখনো একা একা থাকতেই পারিনা। আর আমরা কখনো একা থাকার কথা কল্পনাও করতে পারি না। সেজন্য আমাদের একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর আমাদের জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে হয়। যার সাথে আমরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সারা জীবন একই সাথে জীবন কাটাবো। তবে আমাদের এই জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতন হতে হয় কারণ এই জীবনসঙ্গী আমাদের জীবনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই জীবন সঙ্গীর ওপর আমাদের বাকি জীবনটাই পুরো নির্ভর করে চলে। আমাদের জীবনসঙ্গী যদি ভুল নির্বাচন হয় তাহলে আমাদের জীবনটা পুরো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার আমাদের এই জীবনসঙ্গী যদি সঠিক নির্বাচন হয় এবং আমাদের যদি অনেক বেশি ভালোবেসে নিজের করে নেয়, আমাদের সঠিক পথে চালনা করে তাহলে আমাদের জীবন স্বর্গের থেকেও সুন্দর হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুবই সচেতন হতে হবে। এই পৃথিবীতে চারিদিকে অনেক অবিবাহিত ছেলে মেয়ে দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু তাই বলে যে কাউকে বিয়ে করা মোটেও উচিত নয়। কারণ প্রত্যেকটা মানুষের চিন্তা-ভাবনা অনেক আলাদা হয়ে থাকে।
আর তারই সাথে প্রত্যেকটি সংসারের নিয়ম কানুন এবং প্রত্যেকের জীবন অনেকটাই আলাদা হয়ে থাকে। আর সেই সাথে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনসঙ্গী কেমন হবে সেই ধরনের চাহিদা আলাদা থাকে। কিছু কিছু ছেলেরা এমন আছে যারা ঘরোয়া বউ চায় আবার কিছু কিছু ছেলেরা আছে যারা চাকরিজীবী বউ চায়। কিছু কিছু মেয়েরা এবং তার পরিবার এমন আছে যারা সরকারি চাকরি ছাড়া বিয়ে করতে চায় না। আবার কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা ব্যবসায়ী ছেলে পছন্দ করে। তবে সব থেকে বড় যে ব্যাপারটি সেটি হল মানসিকতা এবং চিন্তাভাবনার মধ্যে মিল থাকা। আসলে আমাদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে যদি আমাদের চিন্তাভাবনার মিল না থাকে তাহলে আমাদের সারা জীবন সেই ব্যক্তির সাথে কাটানো খুবই অসুবিধা জনক হয়ে ওঠে। দুটি ব্যক্তি যদি দুই রকমের চিন্তাভাবনা করে এবং ভিন্ন ধরনের তাদের মানসিকতা এবং চাহিদা থাকে তাহলে তাদের মধ্যে কখনোই মনের মিল হতে পারে না। কিছু মানুষ আছে যারা অনেক উঁচু চাহিদা রাখে অনেক টাকা-পয়সা ইনকামের স্বপ্ন দেখে এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে চায় কিন্তু সেই সব মানুষের জীবনসঙ্গী যদি তেমন না হয় অর্থাৎ অনেক অর্থ উপার্জনের চাহিদা না থাকে এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনের স্বপ্ন না দেখে তাহলে দুজনের আচার-আচরণ দু রকমের হয়ে থাকে।
আর এই জন্যই তাদের চিন্তাভাবনার মিল না থাকায় তারা সুখে শান্তিতে সারা জীবন কাটাতে পারবে না। কিন্তু যদি দুজন ব্যক্তি বিলাসবহুল জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখে এবং সেই জন্য দুজন মিলেই কঠোর পরিশ্রম করে তাহলে তারা দুজনে একসময় সফল হয়ে উঠবে। এবং চিন্তাভাবনা একই রকম থাকায় তাদের জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে। একটা ছেলে যদি সৎ প্রকৃতির হয়ে থাকে এবং তার জীবন সঙ্গী যদি অসৎ হয়ে থাকে তাহলে তাদের জীবন কখনোই সুখী হতে পারে না। কারণ সৎ ব্যক্তিরা সবসময় অল্পতে খুশি হয় এবং অসৎ ব্যক্তিদের চাহিদা যতই পূরণ করা হোক না কেন তাদের চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। তাই এমন জীবন সঙ্গী পেলে কখনোই সুখের সংসার করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। তাই একজন সৎ ব্যক্তিকে অবশ্যই আর একজন সৎ জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও জীবনসঙ্গীকে সর্বদাই সম্পর্কে বিশ্বস্ত থাকতে হবে। কারণ সম্পর্কে যদি বিশ্বস্ততা না থাকে এবং জীবন সঙ্গী যে কোন একজন যদি অপরজনকে সর্বদাই প্রতারণা করতে থাকে তাহলে যতই তাকে সম্পর্কে ভালো রাখার চেষ্টা করা হোক না কেন সে সম্পর্ক কখনোই ভালোভাবে চলতে পারবে না, এবং কোন এক সময় দেখা যাবে সে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবেই।
আসলে প্রত্যেকটা সম্পর্কে যেমন একে অপরকে বোঝার দরকার আছে তেমন নিজের জীবন সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও জীবনসঙ্গীর মানসিকতা এবং আচার-আচরণ চাহিদা বুঝে নেওয়ার দরকার আছে। জীবন সঙ্গীর ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যে ছেলেটি বা মেয়েটি উভয় যেন একটু সাংসারিক প্রকৃতির হয়। কারণ আজ-কাল কার সমাজে মানুষের যেমন জীবনের চলাফেরা এবং জীবন ধারা তাতে সংসারের অবনতি ছাড়া উন্নতির কোন লক্ষণই দেখা যায় না। আসলে আমাদের আধুনিক হওয়ার চেষ্টায় আমরা ভালো-মন্দ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি তাই জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আমাদের সর্বদাই একটু পুরনো যুগের চিন্তাভাবনা মাথায় রাখাই উচিত। ছেলে বা মেয়ে উভয় যদি অত্যাধিক আধুনিক না হয়ে একটু সাংসারিক চিন্তাভাবনা রাখে তবেই সংসারে সুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে জীবন সঙ্গী বলতে যেটা বোঝায় সেটার সঠিক অর্থ যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে আমাদের জীবন সঙ্গী নির্বাচন করতে এবং সুখে শান্তিতে জীবন সঙ্গীর সাথে জীবন কাটাতে কখনোই অসুবিধা হবে না। সুখে-দুখে, বিপদে, অভাব-অনাটনে, জীবনে চরমতম অসময়ে যে স্ত্রী অথবা স্বামী তার স্বামী বা স্ত্রীর পাশে থাকবে সেই হলো প্রকৃত অর্থে জীবনসঙ্গী। তাই আমাদের অনেক দেখে শুনে, ভালো করে বুঝে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আমাদের জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা উচিত।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনের সফলতার মুখ দেখতে হলে অবশ্যই লাইফ পার্টনার নির্বাচন করতে হবে মনের মত এবং দুজনার মধ্যে যেন মিল মাহাবত ও কথার মূল্যায়ন ঠিক থাকে। দুজনার যদি একত্রে একসাথে কোন কিছু করা যায় তাহলে জীবনের সাফল্যতা এবং ইনজয় করা যায়। তাই লাইফে আসল পার্টনার হতে হবে যথার্থ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে যেকোনো মানুষ যদি সঠিক জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে পারে, তাহলে তার জীবনটা মধুর মনে হয়। কিন্তু জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ভুল করলে,জীবনটা নরকে পরিণত হয়। তাই জীবনসঙ্গী নির্বাচনে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত আমাদের। কারণ বর্তমান যুগে মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়াটা খুব কঠিন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit