বেশ কয়েকদিন যাবত থেকে আবারও শুরু হয়েছে লোডশেডিং ৷ মাঝখানে এই লোডশেডিং কমে গেলেও গত কয়েক দিন ধরে আবারও শুরু হয়েছে এই লোডশেডিং ৷ আর বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া যেনো কোনো কিছুই চলে না ৷ এর আগে তো গরমের জন্য মানুষের বেহাল অবস্থা হয়েছিলো তবুও বিদ্যুৎ নাই ৷ এবার অবশ্য সেই প্যারা নাই কারণ শীত কাল চলে আসতেছে খুব বেশি গরম নেই ৷ মানিয়ে নেওয়া যায় এই হালকা পাতলা গরম ৷ কিন্তু এই বিদ্যুৎ দিয়ে তো কেবল ফ্যান চলে না ৷ আরো অনেক কাজি এই বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় ৷ বিদ্যুৎ না থাকলে সবি যেনো বন্ধ ৷ এই বিদ্যুৎ ঘন্টার পর ঘন্টা না থাকার কারণে আমি বেশ ভালোই ভোগান্তিতে পরেছি এর আগের বার ৷ এবারও কিছুটা সমস্যায় পরেছি আমি গত কয়েক দিন আগে তারি ছোট একটা গল্প শেয়ার করবো ৷
কিছু দিন আগের ছোট একটি ঘটনা বলি ৷ আটারো বছর যাদের হয়েছে তাদের ভোট উঠার জন্য মাইক দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বলে গেছে পরিষদ থেকে ৷ আমার অবশ্য ভোট নেই ৷ যেহেতু আটারো বছর পেরিয়ে গেছে তাই আমিও ভাবলাম ভোট উঠাই ৷ আটারো বছর তো হয়ে গেলো ৷ ভোট উঠাবো ভেবে রেখেছি ৷ দুইদিন পর হঠাৎ স্যার চলে আসলো যারা যারা ভোট তুলবে তাদের কাগজ জমা নিচ্ছে ৷ আসলে সেই স্যারটা আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় টিচার ছিলো ৷ যেহেতু আমিও ভোট এবার তুলবো সেহেতু আমারও কাগজ স্যার কে জমা দিতে হবে ৷ সব কাগজ ঠিকঠাক ছিলো শুধু বাবার ভোটার আইডি কার্ড ফটোকপি ছিলো না ৷ সেটাও দরকার ৷ তাই ভাবলাম বাজার তো কাছেই গিয়ে ফটোকপি করে নিয়ে আসি ৷ স্যারকে বাড়িতে বসায় রেখে চলে গেলাম বাজার ৷ ফটো কপির দোকানে গিয়ে দেখি কারেন্ট নেই ৷ বসে আছি কারেন্ট এর অপেক্ষায় ৷ সময় সময়ের গতিতে যাচ্ছে কিন্তু কারেন্ট আসে না ৷ এভাবে মিনিটের পর ঘন্টা চলে যায় কিন্তু কারেন্ট আসে না ৷ সেদিন এই কারেন্ট এর জন্য স্যারকে অনেকক্ষণ বাড়িতে বসায় রেখেছি কিন্তু শেষমেশ কাগজ জমা দিতে পারিনি ৷
আবার আজকে সন্ধ্যায় কি পোস্ট লিখবো ভাবতে ভাবতে মনে হলো আর্ট পোস্ট লিখি ৷ অনেক দিন যাবত আর্ট পোস্ট শেয়ার করি নাহ ৷ তাই ভাবলাম আজ একটা আর্ট পোস্ট শেয়ার করলে ভালো হবে ৷ যেই ভাবা সেই কাজ ৷ আর্ট পোস্ট লিখার জন্য কিছু একটা আর্ট করতে হবে ৷ বেশ ভাবনা চিন্তার পর কি আর্ট করবো সেটাই ভেবে ফেললাম ৷ এখন শুধু আর্ট করবো তারপর পোস্ট করবো ৷ তো কাগজ কলম সহ আর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে টেবিলে বসসাম ওমনি কারেন্ট চলে গেলো ৷ আর আর্ট করতে পারলাম নাহ ৷ একটু বাইরে চলে গেলাম ঘুরাঘুরি করলাম ৷ সন্ধ্যা থেকে রাত হয়ে গেলো তবুও কারেন্ট নাই ৷ এক ঘন্টা পেরিয়ে দুই ঘন্টার দিকে সময় চলে গেলো তবুও কারেন্ট নাই ৷ এক সময় বিরক্ত হয়ে এই পোস্টটা লিখা শুরু করলাম তবুও কারেন্ট নাই ৷ এই পোস্টটা লিখা শেষের দিক তবুও কারেন্ট নাই ৷ শেষমেশ এই পোষ্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ারও করে ফেললাম তবুও কারেন্ট নাই ৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ৷
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের ছোটোবেলায় ছিলো লোডশেডিং এর জমানা। প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা লোডশেডিং! তখন সেসব খারাপ লাগলেও এখন নস্টালজিক লাগে। পোস্টটা দেখেই মনে পড়ে গেল ছোটোবেলাটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মতামত মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা এখন নিত্য দিনের ব্যাপার। এক সপ্তাহ আগে মিরপুর আমার বাসায় দিনে এক ঘন্টার জন্য লোডশেডিং ছিল।গত এক সপ্তাহ হতে দিনে এক ঘন্টা করে তিনবার লোডশেডিং হচ্ছে। আমি আবার মোবাইলে কোন লেখা লেখির কাজ করতে পারি না ল্যাপটপে করতে হয় চোখের সমস্যার জন্য। তাই আমি ডিস্কোর্ডেও নিয়মিত যুক্ত থাকতে পারছি না। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপু লোডশেডিং বর্তমান খুব হচ্ছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া পোস্ট করেছেন তো প্রায় ৩০ মিনিট হলো এখন কি কারেন্ট এসেছে নাকি 😆। বুঝতে পেরেছি এ লোডশেডিং আপনাকে কতটা প্যারা দিয়েছে তবে শেষদিকে পড়ে মজা পেলাম। আমারও মনে হয় লোডশেডিং হলে সব কিছু অচল হয়ে পড়ে। কোন কাজই মনে হয় ঠিকমতো হয় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপু পোস্ট করার বেশ কিছুক্ষণ কারেন্ট এসেছিসো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বর্তমান সময়ের যে দিনগুলোতে একটু গরমের পরিমাণটা বেশি দেখা যাচ্ছে সেই দিনগুলোতে লোডশেডিং এর পরিমাণও বেশি হচ্ছে। আপনার শেয়ার করা ঘটনাটি পড়ে খারাপ লাগলো ঘন্টার পর ঘন্টা আপনার শিক্ষক আপনার বাড়িতে অপেক্ষা করল কিন্তু কাজের কাজ যা হবার কথা ছিল তা হলো না। রাত দিন কোন ঠিক ঠিকানা নাই যে কোন সময় লোডশেডিং লেগেই রয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা ভাইয়া দিন রাতের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই যখন তখন কারেন্ট চলে যায় ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার ছোটবেলা কেটেছে লোডশেডিং এ। সেই সময় রোজ কয়েক ঘণ্টা নিয়ম করে লোডশেডিং হতো। রাত 11টার সময় রোজ বিদ্যুৎ চলে যেত, তখন খাওয়ার পর রাস্তায় আমরা পাইচারি করতাম। আশেপাশের বাড়ির প্রতিবেশীদের সাথে আড্ডা দিতাম। সে সব স্মৃতি আজ আবার মনে পড়ে গেল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার এই পোস্টের টাইটেল হওয়া উচিত ছিল তবুও কারেন্ট নেই 😅😅। কি আর করা যাবে ভাইয়া বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে লোডশেডিং এর কবলে জনসাধারণের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। হয়তো গরম কিছুটা কমেছে। কিন্তু অন্যান্য কাজগুলোতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। আপনি আপনার বাবার ভোটার আইডি কার্ড ফটোকপি করতে পারেননি সেজন্য হয়তো আপনার কাগজগুলো জমা দিতে পারেননি। আর আর্ট করতে গেলে তো অবশ্যই কারেন্টের প্রয়োজন। কারণ আলো না থাকলে আর্ট ভালোভাবে করা যায় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপু বেশ সুন্দর একটি নাম লিখেছেন ৷ তবুও কারেন্ট নেই পোস্টের সাথে নামটা বেশ ভালো মানাতো ৷ আগে বললে এটাই দিতাম ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit