হ্যা লো বন্ধুরা আমার কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন ৷ আমিও বেশ ভালোই আছি ৷ তো আবারও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নতুন কিছু শেয়ার করার জন্য ৷ আসলে আমি কাল্পনিক কিছু লিখতে পাড়ি নাহ ৷ যদিও ইচ্ছে হয় কাল্পনিক কোনো গল্প কিংবা কবিতা লিখার তবে বেশ সময় নিয়ে বসে বসে লিখতে হয় ৷ তাতে অনেক সময় লেগে যায় ৷ আর বাস্তবতার উপর কোনো কিছু লিখতে তেমন সময় লাগে না আমার ৷ তাই বেশি ভাগ সময় আমি বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে লিখতে চেষ্টা করি ৷ আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা গুলি শেয়ার করার চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে ৷
আজও তাই বাস্তব অভিজ্ঞতার ছোট একটি গল্প শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে ৷ যা আমার সাথে ঘটেছে ৷ মধ্যে রাতের ছোট একটা ঘটনা শেয়ার করবো আজ ৷ আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ৷ আসলে সে রাতের কথা আমার প্রায় মনে পড়ে ৷ বেশ ভয়ের একটি রাত ছিলো ৷ মাঝে মাঝেই আমি সেরাতে ঘটনাটি ভাবি ৷ আজ আমি সেই মধ্যে রাতের ছোট ঘটনাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ৷
বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘটনাটি ৷ পাড়ার কিছু ছেলে মিলে পিকনিক খাওয়ার আয়োজন করেছি ৷ সময়টা এমনি শীত কাল হবে ৷ আমরা মাঝে মাঝেই সবাই মিলে পিকনিক খাই ৷ একেক সময় একেক জায়গায় ৷ সে বারও সবাই মিলে ছোটখাটো একটা পিকনিক আয়োজন করি তবে জায়গাটা ছিলো আমাদের গ্রামের পরের গ্রামে ৷ সেখানে একটি মিল ছিলো ৷ সেই মিলে পিকনিক
খাওয়াল সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ তো কথা মতো সবাই বাজার করে সন্ধ্যায় সেই মিলে এক হোই ৷ এরপর নিজেরাই রান্না করি ৷ তারপর খাওয়া দাওয়া , সব শেষে গান বাজনা , নাচা-নাচি মজা মাস্তি করি ৷ তখন রাত প্রায় দুটা বেজে গেছে ৷ সব শেষে ক্লান্ত রাতও বেশ ভালোই হয়েছে ৷ যদিও রাতটা সবাই মিলে এই মিলেই কাটানোর কথা ছিলো , তবে আর থাকা ইচ্ছে করতেছে না ৷ চোখে ঘুম ঘুম ভাব শীতও লাগছে ৷ তাই ভাবলাম মজা তো হলো , এবার একটা শান্তির ঘুম হলে বেশ হবে ৷
তাই বাড়ি চলে যাবো ঠিক করলাম ৷ বাকিরা থাকবে , আমরা তিন জন বাড়ির পথে হাটা দিলাম ৷ রাত তখন দুইটা পেরিয়ে গেছে ৷ গ্রামে সাধারণত বারোটার পরেই গভীর রাত ৷ গ্রামের রাস্তা ঘাটও অন্ধকার আর শীতে ঘেরা ৷ রাস্তার দু-পাশে বাশ বাগান ৷ অনেকটা ভয়ের রাস্তা পাড়ি দিয়ে বাড়ি আসতে হবে ৷ তিন জন মিলে গল্প করতে করতে অনেকটা চলে এসেছি ৷ শীতের জন্য ঠান্ডাও লাগছে , কুয়াশার জন্য ভালো ভাবে তেমন কিছু দেখাও যাচ্ছে না ৷ এভাবেই চলছি বাড়ির উদ্দেশ্য নিয়ে ৷ অনেকটা আসার পরে একজনের বাড়ি চলে আসলাম , ও ওর বাড়ি ডুকে গেলো ৷
এখন আর কিছুটা পথ আমরা দুজন আসলেই আমাদের বাড়ি ৷ এরপর আমরা দুজন হাটা শুরু করলাম , আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্য নিয়ে ৷ মোবাইলের হালকা আলোয় পথ চিনে হাটতেছি , রাস্তা কুয়াশায় ঢাকা ৷ একটু পরেই ছোট একটা মোর পাশে বাশ বাগান , আমরা ওই মোর ঘোরার সময় হঠাৎ বাশ বাগান থেকে কিছু পাখি ডাক দিয়ে এক সাথে উড়ে গেলো , সাথে সাথে ঠান্ডা একটা বাতাস , বাশ বাগানটাও যেনো কেপে উঠলো ৷ সব যেনো একসাথেই হয়ে গেলো ৷ এমন পরিস্থিতিতে কখনো পড়িনি ৷ বেশ ভয় পেয়ে গেলাম ৷ দুজন দুজনের কাছা কাছি চলে আসলাম ৷ বেশ ভয় শুরু হয়ে গেলো দুজনের মাঝে ৷ এতো রাতে এমন একটা ঘটনা আসলে আমরা দুজন সে সময় কি অবস্থায় ছিলাম বলে বোঝাতে পারবো না ৷ একজন আরেক জনকে পাখি উড়ে গেলো বলে শান্তনা দিতে লাগলাম ৷ আসলে দুজনে প্রচুর ভয় পেয়েছি ৷ আরো জোরে হাটা শুরু করলাম ৷ বেশ দৌড়ের গতিতে হেটে বাড়ি চলে এসেছি , সেদিন আর ঘুমাতে পারি নি ৷ সেই ঘটনা ভাবতে ভাবতেই সকাল হয়ে গেছে ৷
ছবি
সে মধ্যে রাতের এই ঘটনাটি আমার আজও মাঝে মাঝে মনে পড়ে ৷ বেশ ভয়ঙ্কর একটা পরিস্থিতি ছিলো ৷ আমি কখনো এর আগে এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি , সেরাতেই প্রথম এমন একটি ভয়ঙ্কর ঘটনার শিকার হয়েছি ৷ তাই আজও সেরাতে সেই ঘটনাটি স্মৃতি হয়ে আছে ৷ আজও সেরাত এবং সেই সময়টার কথা মনে পড়লে বেশ ভয় লাগে ৷ সব যেনো চোখ বুঝলেই দেখতে পাই সেরাতের ওই পরিস্থিতি ৷ আমার সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার ইচ্ছে হলো , তাই শেয়ার করে ফেললাম ৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ৷
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পোস্টটি সময় নিয়ে দেখার জন্য ৷
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মধ্যরাতে যে পরিস্থিতিতে আপনারা পড়েছেন এরকম পরিস্থিতিতে আমি কখনোই পড়িনি, যার কারণে আপনার গল্পটি পড়ে আমি নিজেও ভয় পেয়েছিলাম। তবে সত্য বলতে এটা একটা ভালো কাজ করেছেন যে ওই সময়টাতে একজন একজনকে বুঝ দিয়েছেন যে পাখি উড়ে গেছে, সেটাই কিন্তু এক ধরনের ভরসা ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই অনেক খারাপ একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো ৷ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রীতিমতো আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনারা সবাই মিলে বেশ কয়েকদিন পর পর পিকনিক করেন এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তখন সময়টা ছিল শীতকাল। আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন এক মধ্যরাতের কাহিনী। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপনারা গান-বাজনা এবং নাচানাচি আনন্দ মাস্তি করতেন। তারপর আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন সেখান থেকে বাড়ি চলে আসবেন আপনারা তিনজন বন্ধু মিলে বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করলেন। একটি বাঁশ বাগানে অনেক পাখি বসে ছিল পাখিগুলো যখন উড়ে গেল আপনারা অনেক ভয় পেয়েছিলেন সত্যি এই বিষয়টি পড়ে এখন আমারও অনেক ভয় পাচ্ছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা ভাই একটা মধ্যে রাতে এমন ভয়াবহ ঘটনা আমাদের সাথে ঘটেছিলো একদিন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে গ্রামের রাস্তাগুলোর দুপাশে বেশিরভাগই বাঁশ ঝার থাকে। আর রাতের বেলা গ্রাম তো বারোটার পরেই গভীর রাত হয়ে যায়। আপনারা প্রথমে তিন বন্ধু থাকলেও এক বন্ধু তার বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিল এবং আপনারা দুই বন্ধু হাঁটছিলেন। যে রকম একটি ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন সত্যিই ভয়ঙ্কর ছিল। আমার তো গা শিউরে উঠেছে। আসলে ওগুলো কি ছিল? সত্যিই কি পাখি ছিল? বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপু গ্রামের রাস্তা গুলো বেশ অন্ধকার আর বাশ ঝাড়ে ঘেরা ৷ আর সেরাতে আমাদের সাথে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে ৷ আসলে সেগুলো পাখির মতোই কিছু ছিলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit