১
তার আসা যাওয়াতে অদ্ভুত ভালোলাগা জড়িয়ে থাকে, বুঝতে চাইনি সবটার মানে কি.... ।
শুধু যতো টুকু বোঝাকে গুরুত্ব দিয়েছি, হারিয়ে যাবো না বলে, তার সবটায় পেয়েছি ভেজা ঘাস|
শীতের সকাল আর উষ্ণ ঠোঁট। কংক্রিট ঝড়ে ভেঙে যাওয়া সেই, একলা - ঠান্ডা মনকে,
সে জড়িয়ে ধরে ছিলো বুকে। আগলে রেখেছিল গোটা শতাব্দী। ফিরে যাওয়ার তীব্র তাড়াতেও সে, ফিরে এসেছিলো বারবার।
তার ঠোঁটের গোড়ায় তখন অন্য বিপ্লব। সে জানতে চাইনি, এতো টানের মানে কি..
আমি একা সবশেষে দাড়িয়ে আছি। তার আসা যাওয়াতে অদ্ভুত ভালোলাগা জড়িয়ে থাকে, শুধু বুঝতে চাইনি সবটার মানে কি...।।
Copyright by @পায়েল
২
দেখা হয়েও, দেখা হলোনা। যতটা বহুকাল ভেবেছিলাম, ফিরিয়ে দেবো শেষ বারের ছোঁয়াতে, বরং আরো বেড়ে গেলো ধার। চিলেকোঠায় জমলো আরো কটা বস্তা
যেভাবে চেয়েছিলাম, অভিকর্ষের নিয়ম খাটুক। যা দূরে গেছে, আবার কাছে ফিরে আসুক। শেষবারে আর, দেখা হয়েও, দেখা হলোনা।।
Copyright by @পায়েল
৩
নেশায় তখন আসক্ত গোটা শরীর। আয়ু কমছে হাতের মুঠোয়।
সস্তা দেহ গুলো তখনও লোমকূপের গভীরে খুঁজে চলেছে উদ্দীপনা। সরলরেখায় দেখো, আমি তোমার অন্য বাহুতে প্রেম ছুঁয়েছি।।
Copyright by @পায়েল
৪
তাকে সবটা বলে দিলে, দুঃখ বাড়বে।
দুঃখ বাড়বে, তার চলে যাওয়ার কালে, সময় না পেলে। কিছুটা সময় পেলে, তার চোখে চোখ রেখে বলতাম সবটা, তবে সবটাতেই থাকতো, দীর্ঘশ্বাস, নীরবতা। মনের কথা গুলোকে সে, ব্যাঙ্গ করবে বোকা বাস্কে তখন সবাই দেখবে, শুনবে আর হাসবে।
না জানি কতো ভুল মনের কথায় । আর সেও বলবে, শুনানি রাখবে, বন্ধ চোখের দরবারে। আমার চির ভালোবাসা তখন, কারাগারের ভিতরে। শাস্তি পাবে ভুলে যাওয়ার । শুধু তাকে সবটা বলে দিলে, দুঃখ বাড়বে। দুঃখ বাড়বে, তার চলে যাওয়ার কালে, সময় না পেলে।
তার ওপর চাপাইনি কিচ্ছু, সবটা রেখেছিলাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে। সে চোখ ঘুরিয়ে যা যা দেখতো, ধূলিকণার মতন মিশিয়ে দিতো হাওয়ায়। তাকে সবটা বলে দিলে, দুঃখ বাড়বে।
Copyright by @পায়েল
৫
কতো কঠিন দুঃখকে তুমি সাগরে লুকিয়ে রাখো, আমি আকাশ খুঁজি তোমার সীমানা পাইনা।
যেভাবে তুমি অন্ধকার আগলে রাখো, কোথায়? কেউ জানে না। ওভাবে যদি তাকিয়ে দেখতে চারিপাশ, মুঠো ভর্তি ধূলিকণা পেতে কিছু। কিছু টা পেতে আমায়, তোমার কাধে মাথা রেখে খুঁজতাম... কতো কিছু.
কতো কঠিন দুঃখকে তুমি সাগরে লুকিয়ে রাখো, আমি আকাশ খুঁজি তোমার, সীমানা পাইনা।
৬
জানলার কাঁচ তখনও জল ধরে রেখেছে কিছুটা। সাদা চাদরের তলায় রুগ্ন শরীরটা, কথা না রাখার সীমা পার করছে ধীরে ধীরে।। যেভাবে সে আলাদা করেছিলো পথ,
আর রক্তে মিশিয়ে ছিলো আলকাতরা।
হাড়ের উপর চামড়া গুলো এখন মিথ্যে জড়িয়ে আছে।।
৭
শেষ কথা গুলো বলার আগে বেশ খানিকক্ষণ নিস্তব্দতা....
হাওয়ায় শুনতে পেলাম সে মুক্তি চাইছে।
তাকে ধরে রাখার তীব্রতা আমায় গ্রাস করলো কিছুক্ষন।
তার ঠোঁট কাঁপছে।
দুএক ফোঁটা বৃষ্টি যখন তার চোখ ছুলো, আমি পিছিয়ে গেলাম এক
পা - দু পা
চিৎকার করে সে বললো
আমি মুক্তি চাই।
আমি মুক্তি চাই।।
৮
কারো মনের এত গভীরে প্রবেশ বেশ করো না, যাতে যেখান থেকে সে বের করে দিলে তুমি আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে।
কারোর সাথে এত বেশি মনের কথা বলো না, যাতে সে যদি কথা বলা বন্ধ করে দেয় তাহলে তুমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাবে।
কারো মুখপানে এত বেশি চেয়ো না, যাতে সে যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তুমি অসহায়হয়ে পড়বে ।
৯
এই মেয়েটি ভীষণ গুণী, তবে রঙটা বেজায় কালো,
সেই মেয়ে আবার দুধে আলতা, কিন্তু হিল পড়লে ভালো ।
ঐ মেয়ে তো লক্ষ্মী প্রতিমা, রূপের ছটায় চোখ ঝলসায়,
যত সুন্দরী হোক না কেন, প্রেয়সী কী মোটা মানায়?
এই মেয়ের তো সবই ভালো,
কিন্তু কোঁকড়া ধাঁচের কেশ—
সেই মেয়ের চুল কেমন ইস্ত্রি দেওয়া, তবে হাইলাইটটা বেশ!
সেই মেয়ে দেখো লম্বা কতো, কেমন পুরুষ পুরুষ যষ্টি, মেয়ে যদিও স্লিম ভালো, কিন্তু ঐ মেয়ে তো পাটকাঠি!
আর ঠিক কতটা ত্রুটিহীনতা এই সমাজ আশা করে? নারী জাতিকে বিনোদন ভেবে কেন দর হাঁকিয়ে মরে?
১০
সময়ের স্রোত
কাঁচ ভাঙার আওয়াজে তন্ময় বাইরে এসে দেখল, পাশের বাড়ির টুপাই কাঁদো কাঁদো মুখ নিয়ে ওর সখের চারচাকার সামনে দাঁড়িয়ে। গাড়ির সামনের কাঁচ ভাঙা, আর নীচের বলটা দেখে বুঝল কী ঘটেছে।
তন্ময় বলটা তুলে টুপাইয়ের হাতে দিল, আর কাঁদো কাঁদো মুখের গালগুলো আলতো করে টিপে দিল। তন্ময় আবার খেলতে যাওয়ার কথা বলাতেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে ছুট লাগল টুপাই।
তন্ময় ভাবতে লাগল, এই বয়সে থাকতে একদিন ভাড়াটিয়াকাকুর গাড়ির কাঁচ ভেঙেছিল বলে সারারাত ব্যাথায় ঘুমোতে পারেনি! খেলার ব্যাটটা দিয়েই ওকে মেরেছিল ভাড়াটিয়াকাকু।
সেবা রায়
১১
অনুভূতিগুলো একটা সময়ে জমতে জমতে ফেটে পড়বে,
সখগুলো বয়সের সাথে "বয়স নেই আর!!!" এর কাতারে
চাপা পড়বে,
আবেগগুলো, "ছিঃ!! লজ্জা করেনা এখন!!!" এর ভাজে
হারিয়ে যাবে,
আকাঙ্ক্ষাগুলো, "হয়নি যখন আর হবেও না,যাহ...
ভাবনার জেদে মরে যাবে,
স্বপ্নগুলোর, "আমি অধিকার রাখিনা " কিংবা "তুই কে?? " এর অপমানে মাথা কাটা যাবে,
ইচ্ছেগুলো, " থাক,বাদ দেই,।।। আমার না হোক, অন্য কারো হোক, আমি তাদের মুখের হাসি দেখেই বাকিটা সময়ে নিজের জয় উদযাপন করে নেবোনে, "
আর ভালবাসাগুলো এলাকা মেলে না, রাতের দূরপাল্লার বাসের হর্ণ মেলে না, ইন্টারনেট কানেকশান মেলে না, মুদি দোকান মেলে না, সেলুনটাও উঠে গেছে হয়তো।
কিংবা মাগরিব এর আজানের সময়টাই হয়তো আর মেলে না ভৌগোলিক পার্থক্যের তফাতে।
তো কি? বেচে আছি তো??? আজও ভালবাসি, দেখ বোকা, শ্বাস চলছে এখনো, আর শোন, ওপারে জলদি আশিসতো,,দরজায় দাড় করিয়ে বেশিদিন রাখিসনা।" কথাতে কথা দেয়া থাকবে।
১২
হয়তো কোনো একদিন,
আমরা যবে রাতের নগ্ন আকাশে, হাত ধরে শুয়ে থাকবো একসাথে, আর তোমার খোলা চুলে জড়িয়ে থাকবে, স্বর্গের গন্ধ। আমি দেখাবো সবটা তোমায়। ওই আকাশে আঙ্গুল দিয়ে। দেখাবো, আমার আকাশে, সূর্যের থেকেও উজ্জ্বল তুমি। আমি ক্লান্ত গ্রহের মতন তোমায় কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়াই। জানি নির্দিষ্ট পথ হতে, কাছে যাওয়া যাবে না কোনো দিন। তা ঘুরে বেড়াই। তোমার চারপাশে।
আমার আকাশে, তোমায় জড়িয়ে বেষ্টন করে কতো গহ্বর, নক্ষত্র, ছায়াপথ। কতো গ্রহ মন্ডল, তোমায় দেখবে বলে ভেসে বেড়ায়।
হয়তো কোনো একদিন,
আমরা যবে রাতের নগ্ন আকাশে, হাত ধরে শুয়ে থাকবো একসাথে আর তোমার খোলা চুলে জড়িয়ে থাকবে, স্বর্গের গন্ধ। আমি দেখাবো সবটা তোমায়। ওই আকাশে আঙ্গুল দিয়ে। আর তোমার কক্ষপথে, আমার ঘর
তুমি দেখো, আমার আকাশে শুধুই তুমি।
আমার না ছুঁতে পাওয়া আকাশ তুমি।
আমার পৃথিবীর শেষ সীমানা তুমি
হয়তো কোনো একদিন,
আমরা যবে রাতের নগ্ন আকাশে, হাত ধরে শুয়ে থাকবো একসাথে আর তোমার খোলা চুলে জড়িয়ে থাকবে, স্বর্গের গন্ধ। আমি দেখাবো সবটা তোমায়। ওই আকাশে আঙ্গুল দিয়ে।
@পায়েল
১৩
'ভালো থাকা'গুলো আপেক্ষিক।
'ভালো আছি' ভাবনাগুলো কাল্পনিক। কেউ উপহারে খুশি, কারো চায় একটু সময়। তুমি হতে চাও মধ্যমণি, সে চায় ভিড়ের আড়াল। কারো চাই খুব আদর, তুমি হয়তো
খুশি বকুনিতেই। সে চায় মধ্যরাতের উপচে পড়া
শুভেচ্ছা, তোমার চাই তার থেকে একটা ছোট্ট মেসেজ তোমার খুশি প্রাচুর্য্যতায়, সে ভালো থাকে ভাঙা ঘরে উপচে পড়া ভালোবাসায়। তার মন ভরে পাঁচতারা হোটেলে, সে হয়তো দশ টাকার ফুচকাতেই মন ভরায়।
তাই অন্যের ভালো থাকাকে ঈর্ষা বা আলোচনার বিষয়বস্তু না করে ভালো থাকো নিজের ইচ্ছে গুলোকে নিয়ে... ভালো থাকো নিজের 'ভালো থাকা' গুলোকে নিয়ে।
১৪
যে তোমার জীবনে থাকল না, তাকে নিয়ে বেকার কষ্ট পেও না। ধৈর্য ধরো, দেখবে একদিন তোমার জীবনেও এমন একজন মানুষ আসবে।
যে তোমার সব ভেঙে যাওয়া অনুভূতিগুলোকে জুড়ে জুড়ে একটা শান্তির জন্ম দেবে।
কোনো পরিস্থিতিতেই সে তোমায় হারাতে চাইবে না, আর দেখো তখন তুমি না চাইতেও পুরনো ভেঙে যাওয়া।
বিশ্বাসগুলোকে শিকলবন্দী করে আবার নতুন করে ভালোবাসার মানে খুঁজে পাবে।
সময় যেভাবে সবটা ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেছে, সেভাবেই একদিন সব হিসেব মিলিয়ে দেবে এই সময়।
শুধু আমাদের সময়ের ওপর বিশ্বাসটুকু রাখতে জানতে হবে।
- সোহাগ
১৫
ভাবছি তোমাকে পাওয়া হয়ে গেলে কি হতো? হয়তো তোমাকে দেখতে দেখতে মনটা ভরে যেতো,
নীল শাড়িতে একটি নীল পরী আমার চারপাশে
ঘুর ঘুর করতো,
বুকের ভেতর তুমিহীনতার টন টন ব্যথাটা আর
থাকতো না।
আসলে তোমাকে পাওয়া হয়ে গেলে পাওয়ার আকাঙ্খাটা আর থাকতো না।
তার চেয়ে জীবনে থাকুকনা কিছু অসমাপ্ত,
অসম্পূর্ণ।
জীবনে থাকুক হৃদপিন্ড ঘা হয়ে যাওয়া অগ্নিদহন। একজীবনে থাকুক তোমাকে পাওয়ার নির্বিকার
আরাধনা।
ফেরা না ফেরার অনিশ্চয়তায় তোমার জন্য অনিশেষ অপেক্ষা থাকুক।
তোমাকে পাওয়া হয়ে গেলে এতোটা ভালোবাসা
হয়তো আর হতোনা।
তার চেয়ে এখন ঢের ভালো
তোমার উপেক্ষা অবহেলা নিষ্ঠুরতা থেকেও
ভালোবাসা খুঁজে ফিরি,
তোমাকে না পাওয়ার যন্ত্রনা বুকে রেখে আরও
বেশি ভালোবাসতে পারি।
আমি তো জানি- অপার সুখের মধ্যে তোমারও
কিছু নিদ্রাহীন রাত্রি থাকে। ভালোবাসার উষ্ণ নিঃশ্বাসের মধ্যে তোমারও কিছু দীর্ঘশ্বাস থাকে।
প্রেমে অপ্রেমে তুমিও কখনো আমাকে ধারন করো
তোমার পাথর হৃদয়ের ভেতর।
_____________সমাপ্ত___________
আপনি নিজস্ব লেখা ব্যতীত অন্যের সামগ্রী এখানে শেয়ার করতে পারবেন না।
এ ধরনের post আমাদের কমিটিতে রাখা হয় না। নতুন ইউজার হওয়ার কারণে শুধুমাত্র আপনার পোস্ট Mute করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আবার একই ধরনের কাজ করলে আপনার একাউন্ট কমিউনিটি থেকে ব্যান করা হবে।
কমিউনিটির নিয়মাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন
https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-29-sep-21
যে কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে Discord এ যোগাযোগ করুন।
Discord server link: https://discord.gg/ettSreN493
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit