পার্লারের কিছু মূহুর্ত।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।আসলে বলার জন্যেই বলা ভালো আছি!

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরেকটি লেখা নিয়ে। আশা করি লেখাটি সবার ভালো এবং বেশ মজাও লাগবে। অর্থাৎ আজকে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি লেখা নিয়ে এসেছি।

মানে কোনো জেনারেল রাইটিং কিংবা কোনো ট্রাভেল ব্লগ কিংবা কোনো ফুড রিভিউ নয়। একেবারেই নিত্যদিনের চলতি পথের একটি ঘটনা নিয়েই আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।

সে যাই হোক, আসলে আমি মূলত চুল নিয়ে বিশাল সমস্যায় আছি। অর্থাৎ এতো বেশি চুল পরছে যা জাস্ট বলার বাইরে। অর্থাৎ আমি বেশ বিরক্ত আমার চুলের উপরে। অনেক ট্রিটমেন্ট করেও দেখিয়েছি এবং ওষুধ খেয়েছি। তবে সত্যি কথা বলতে আমি একেবারেই যত্নশীল নই। কারণ লাস্ট ১০ বছরে হয়তো আমি একবারের জন্য চুলে তেল দেই নি। কারণ আমি অসম্ভব তেল অপছন্দ করি। আর তার বিপরীতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার খুব বেশি পছন্দ করি। আসলে তাই বলা যায় আমার দোষেই আমার চুল খুব বেশি পরে।

আসলে আমার মনে হয় আমি যতোটা পরি তার চেয়ে বেশি আমার চুল পড়ে। হাহাহা,যাইহোক একটু মজা করলাম আপনাদের সাথে। তো মূল কথায় আসি, তাই অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম যে চুল কেটে ফেলবো। কারণ আর সহ্যই হচ্ছিলো না। কারণ সম্পূর্ণ ঘরেই প্রায় আমার চুলই থাকে। চুলের সাথে আম্মুর বকাবকি আছেই।

তাই যে ভাবা সেই কাজ, চলে গেলাম আমি সবসময় যে পার্লারটিতে যাই সেখানেই। তো আমি যেই টাইমে যাই আসলে সে সময় পার্লারে খুব একটা মানুষ থাকে না। তাই আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। কারণ অনেক বেশি মানুষ থাকলে তারা সার্ভিসও কম দেয়। কারণ স্বাভাবিক অনেক কাস্টমার হ্যান্ডেল করতে হয়।

আর ইন্টেরিয়রটিও সুন্দর এবং তাদের সার্ভিস গুলো মোটামুটি স্টুডেন্ট বাজেটের মধ্যেই আছে।

যাইহোক কিছু ইন্টেরিয়র এর ছবি দেখে এরপরে মেনু টি দেখে নিলাম।খাবারের মেনু নয়, দেখছিলাম কোন হেয়ার কাটিং দেওয়া যায়। তাই আমি ভাবলাম ভি কাটটাই দেই। সে সাথে একটা ফেসিয়ালও নিয়েছিলাম। কারণ মুখে অসম্ভব ময়লা জমে আমার যেহেতু অনেক বেশি ট্রাভেল করতে হয় লোকালে,স্টুডেন্ট মানুষ বুঝতেই পারছেন।

প্রথমে তো পার্লারের আপুটি কিছুতেই রাজি হচ্ছিলোনা চুল ছোট করতে আমার। কারণ আমি প্রায় অর্ধেকের বেশি কেটে ফেলতে বলেছিলাম আর আপুটা বারবার বলছিলো যে এতো লম্বা চুল কেনো কাটবো। কিন্তু আমি তো প্রি প্ল্যানিং করে গিয়েছিলাম যে চুল একেবারেই ছোট করে ফেলবো।এরপর চুল কাটা শেষ হয়ে গেল, দেখতেই পারছেন কি হাল করেছি।চুল কাটার আগের আর পরের ছবি দেখেই আশা করি বুঝতে পারবেন।

আমার আম্মু তো দেখে অর্থাৎ আমি যখন বাসায় এসেছিলাম। তখন আম্মু দেখে প্রায় একটা মিনি হার্ট অ্যাটাকের মতোই রিয়েকশন দিয়েছিলো আর কি।

যাইহোক এরপরে ফেসিয়াল করতে চলে গেলাম। তাদের সার্ভিস গুলো ভালো লাগার একটাই কারণ হচ্ছে তারা সবসময় ক্লিন থাকে। এটাই ভালো লাগে, কারণ সেখানে সার্ভিস নিচ্ছি তা যদি ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার না থাকে তবে কেমন অস্বস্থি হয়।তার উপর আমি এক্সট্রিম লেভেলের এলার্জীর রুগী।তো ফেসিয়াল শেষে আমি অপেক্ষা করলাম। কারন তখনও খালামণির ফেসিয়াল শেষ হয়নি।

ততক্ষণে আমি আরও কিছু ইন্টেরিয়র এর ছবি তুলছিলাম। কারণ দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো সে কারণেই।

এরপরে আমরা বের হয়ে গেলাম। বের হয়ে একটি জায়গায় গিয়েছিলাম। তা আমি আপনাদের সাথে পরের পোস্টটি শেয়ার করবো।তো,ভাবুন তো কোথায় গিয়েছিলাম। তবে বের হতে হতে অনেকটা সন্ধ্যে নেমে গিয়েছিলো। আর রাস্তাটি দেখতেও বেশ ভালো লাগছিলো।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।