পৃথিবীর বিভৎসতা

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে আসলে অন্য একটি লেখা শেয়ার করার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু সত্যি কথা বলতে শরীর এতো বেশি খারাপ যে, সেই লেখাটি কিংবা সেই ছবিগুলো শেয়ার করা পারছি না। কারণ ছবি আপলোড করতেও আসলে কিছুটা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হয় অর্থাৎ গ্যালারিতে দেখতে হয়। এখন আমার আসলে চোখের মুখের অবস্থা এতো খারাপ যে, আমি যে গ্যালারি ঘেটে ছবিগুলো আপলোড করবো সেটার ও অবস্থানে নেই।কারণ শরীর বেশ খারাপ বলা চলে। যাই হোক, শরীর খারাপ নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। কারণ প্রতিদিন এক কথা আমার বলতে ভালো লাগে না। আর আশা করি আপনাদের শুনতেও ভালো লাগবে না।

যাইহোক, ব্যাপার যেটা সেটা হলো বর্তমানে পৃথিবীর বিভৎসতার পরিমাণ নিয়ে যদি ভাবি। তাহলে আসলে তার যেনো কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। কারণ এই বীভৎসতা যতোদিন যাচ্ছে, ততোই বাড়তেই আছে বাড়তেই আছে। অর্থাৎ এই বীভৎসতার কোনো শেষ নেই, এই অন্যায় এর কোনো শেষ নেই আর এই অন্যায় এর কোনো শেষ নেই বলেই আমার মনে হয় যে পৃথিবীর ধ্বংস খুব সন্নিকটে। কারণ আমাদের ইসলাম ধর্মে এটা বর্ণিত রয়েছে যে, একটা সময় যখন আসলে এতো বেশি অন্যায় হবে যেটা আসলে একেবারে সীমার বাইরে চলে যাবে। তখন বিভিন্ন কিছু হবে এবং তার মাধ্যমে আমাদের পৃথিবী ধ্বংস হবে। এখন ব্যাপার গুলো অনেকটা বিজ্ঞান এর সাথে সাংঘর্ষিক। তাই সেই ব্যাপারটি নিয়ে ভাবছি না। অর্থাৎ সেই ব্যাপারটি বলতে চাইছি না। কারণ বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে যদি আমরা আলোচনা করতে চাই। তাহলে একটা সময় দেখা যায় যে, বিজ্ঞানে সে সবই বলছে, যেগুলো ধর্মে বলা হয়েছে। কিন্তু তার গভীরতা এতো বেশি। যেটা আমার মতো সাধারন মানুষের পক্ষে এখানে তুলে ধরা কখনোই সম্ভব নয় এবং যদি তুলেও ধরি। তাহলে হয়তো কিছু ভুলভাল তুলে ধরবো, যেটা ঠিক হবে না।

তবে যা ই তুলে ধরি না কেনো কিংবা যাই তুলে না ধরি। আসলে পৃথিবীর বিভৎসতা এটা কিন্তু কোনো অংশে কমবে না। কারন পৃথিবী দিন দিন তার বিভৎস রূপ সত্যিই দেখাচ্ছে। আর পৃথিবীর বিভৎস রূপ মানে হলো, আমাদের মানুষদের রূপ। অর্থাৎ যে রূপ আসলে আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ আমরা নিজেরাই, নিজেদের রুপ দেখে মাঝে মধ্যে বুঝতে পারছি না যে এগুলো সত্যি কোনো মানুষ এর কাজ! কারণ আমরা যারা মানুষ রয়েছি।অর্থাৎ মানুষ রূপি অমানুষ। আমরা আসলে যতো রকম ভাবে মানুষকে ঠকানো যায় কিংবা মানুষকে কষ্ট দেওয়া যায়, যন্ত্রণা দেওয়া যায় সবকিছুই করছি এবং এটা একবারও চিন্তা করছি না যে, আমি একজন মানুষ হিসেবে যা করেছি সেগুলো সত্যিই সৃষ্টির সেরা জীবের করা উচিত কিনা। আর তাই আমার কাছে মনে হয় যে, পৃথিবীর এই বিভৎসতা শুধু আমাদের জন্যই। অর্থাৎ এই সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের জন্য। কারণ আমরা এই পৃথিবীকে বিভৎস করে তুলতে একটুও চিন্তা করছি না। কারণ দিনশেষে আমাদের কাছে আমাদের 'প্রয়োজন' ই হলো সর্বশেষ কথা।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।