চুলোর পাশে দাড়ালে বুঝা যায় মা এর মূল্য

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে আমার নিজের একটা কাহিনী শেয়ার করি। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত নিজের সাথে তো অনেক হাজার রকমের কাহিনী ঘটতে থাকে। যে সব এ অনেক সময় অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যাপার থাকে। আবার কখনো কখনো তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যাপার থাকে না। তো যে সব ব্যাপারে কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যাপার থাকে, সেসব আসলে আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করার চেষ্টা করি এবং এটা আমার বরাবরের খুব পছন্দের একটি কাজ। যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।

চট্টগ্রামের যে নিয়ম আমার অসম্ভব অপছন্দের। সেটা হলো মেয়ের বাড়িতে ইফতারি দেওয়া। যেটা সত্যি আমি অসম্ভব বেশি অপছন্দ করি। কারণ একটা মেয়েকে যে তারা অন্য মানুষের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেটাই কি অনেক নয়? সেখানে আবার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ইফতারি দিতে হয়। এবং আমাদের পরিবারও এটার অসম্ভব রকমের চল রয়েছে। অর্থাৎ মেয়ের শ্বশুড়বাড়িতে ভরিয়ে ভরিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র, ইফতারি এসব দেওয়ার চল খুব বেশি। তো তা নিয়ে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম। তো ভাবলাম সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

এখানে মোটামুটি প্রথম থেকে আমাকে যারা চিনে তারা আমার সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই অবগত রয়েছে। অর্থাৎ আমার বাইরের কাজগুলো করতে ঠিক যতোটা ভালো লাগে। ঘরের কাজগুলো করতে ঠিক ততোটাই বিরক্ত লাগে। কিন্তু এমন নয় যে আমি কোনো কাজ পারি না কিংবা আমাকে কোনো কাজ দিলে তা সম্পন্ন হবে না। এমন কিছু নয়, কিন্তু আমার ভালো লাগে না, সে যাই হোক।

আমার এক কাজিন বড় আপুর বাড়িতে ইফতারি দেওয়ার আয়োজন চলছিলো।তো সেখানে আসলে আম্মু অনেক কাজ করছিলো। তাই আমি গিয়ে ভাবলাম যে একটু হেল্প করে দেই। তো আম্মুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কি হেল্প করলো। তো আম্মু তখন কিছু একটা বানাচ্ছিলো। তাই আমাকে বললো যে কিছু নাস্তা ভেজে দেওয়ার জন্য। তা আমি ভাবলাম এই আর এমন কঠিন কি। তাই চুলার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব নাস্তা গুলো ভাজতে লাগতাম অর্থাৎ ঝাল নাস্তাগুলো।

প্রথমদিকে খুব একটা কষ্ট হচ্ছিলো না। কিন্তু এরপরে এতো বেশি খারাপ লাগা শুরু হয়েছিলো।তো তাও আবার রোজার মাসে। মানে এমন একটা অবস্থা হয়েছিলো যে আমার রীতিমতো মাথা ঘুরাচ্ছিলো। আর অসম্ভব রকমের পানির তৃষ্ণা ও পেয়েছিলো।

আমি তখন আসলে শুধু এটাই ভাবছিলাম যে আম্মু আসলে কতোটা কষ্ট করে! কারণ এই যে রোজার সময় ইফতার টাইমে বিভিন্ন ভাজাভাজির জিনিস খাওয়া হয়। যেগুলো সবগুলোই এভাবে দাঁড়িয়ে তেলে ভাজতে হয়। তখন আসলে মনে হচ্ছিলো যে মা নামক মানুষগুলো আমাদের জন্য কতো বেশি কষ্ট করে। যেটা আমরা হয়তো কোনো ভাবে বুঝতেই পারি না। তখন আমি উপলব্ধি করলাম যে কেনো দিনের পর দিন মা নামক মানুষগুলোর শরীর ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে থাকে। কারণ যে সারাদিন এভাবে ননস্টপ কাজ করতে থাকবে, তার শরীর তো খারাপ হবেই।

ভাবলেই খুব অবাক লাগে যে উনারা আমাদের জন্য কতোটা কষ্ট করেন। কিন্তু আমরা হয়তো তার সিকিভাগ মূল্য ও দিতে পারি না।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।