নিম্ন আয়ের মানুষেরা খাবে কি!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

এই ছবিটা আমার মনে হয় কারো কাছে অজানা নয়। অর্থাৎ আমি আজকের পোস্টের কভার ফটোতে যে ছবিটি দিয়েছি। সেই ছবিটি আমি মনে করি সবাই কখনো না কখনো দেখেছে।

আসলে আমার মাঝে মধ্যে ভাবতে গেলে খুব কষ্ট লাগে যে, আমাদের চারপাশের নিম্ন আয়ের মানুষেরা কি খেয়ে বেঁচে থাকবে? তারা হয়তো সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই দোয়া করে।তা হলো, তাদের থেকে সৃষ্টিকর্তা যেনো তাদের এই ক্ষুদা ব্যাপারটা নিয়ে যায়। কারণ ক্ষুধার্ত মানুষের জীবন যে কতোটা কাহিল হতে পারে, ক্ষুধার্ত মানুষের জীবন যে কতোটা কষ্টের হতে পারে। তা আমরা হয়তো এ জীবনে উপলব্ধি করতে পারবো না।

কারণ সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমাদের কখনোই ক্ষুধার্ত হয়ে ঘুমাতে হয়নি। কিংবা ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে রাস্তায় কাজ করতে নামতে হয়নি। বরঞ্চ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেছি বলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হয়েছে কাজের ফাঁকে।

তাই আমরা বাজারের এই অবস্থাটার সাথেও হয়তো নিজেদের মানিয়ে নিয়েছি। কিন্তু যারা বাজারে এই অবস্থার সাথে কিছুতেই নিজেকে মানাতে পারছে না। তারা হলো নিম্ন আয়ের মানুষ আর মধ্যবিত্তদের তো কথাই নেই। কারণ মধ্যবিত্ত দের তো কথাই নেই।তাদের বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না।

আমার জানামতে গরিব মানুষেরা যেটা সবচেয়ে বেশি খেতো ভাতের সাথে সেটা হলো - আলু। কারণ আমাদের বাংলাদেশে মোটামুটি এই সবজিটাই অনেক বেশি পাওয়া যায় এবং এই সবজিটিকে মুখরোচক খাবারের মধ্যে একটু ভালো বলা যায়। কারণ কম দামের মধ্যে আলু দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায়।

কোনো কিছু না হলেও, অন্তত সেদ্ধ করে গরিব মানুষেরা তাদের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারতো। কিন্তু এখন তারও উপায় নেই। বাংলাদেশ যেন একটা জীবন্ত মৃত্যুপুরীতে তৈরি হয়েছে। আর এই মৃত্যুপুরের বাসিন্দা হলো বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।