এই আর্তনাদ অসহনীয়

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েই কথা বলি। কারণ দেশের যে পরিস্থিতি, তা নিয়ে আসলে কোনো ভালো কিছু লেখালেখি করতেও ইচ্ছে করছে না। কেনো যেনো মন খুব একটা ভালো নেই। আর ভালো না থাকার একটি মাত্র কারণ হলো, চারপাশের কিছু মানুষদের আর্তনাদ।

যেমন আমি সবকিছু বাদ দিলে। অর্থাৎ সবকিছুর কথা না বললেও আমার নিজের পরিবারের কথাই যদি বলি। তাহলে আমার ছোট ভাইয়ের মন অসম্ভব রকমের খারাপ। কারণ সে তার যেই বন্ধুর সাথে প্রতিদিন ফুটবল খেলে। সেই বন্ধু তাকে গতকাল জানিয়েছে যে, ওই বন্ধুর বাড়ি ফেনীতে। তো সেখানে আসলে সেই বন্ধুর বাড়ি মোটামুটি পানি নিয়ে চলে গিয়েছে অর্থাৎ কিছুই নেই। সম্পূর্ণ বাড়ি পানির স্রোতে চলে গিয়েছে এবং পরিবারের মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পেরেছে। কিন্তু এরপর থেকে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতেও ঠিকঠাকভাবে নেটওয়ার্ক পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না পরিবেশের এই বৈরী আবহাওয়ার কারণে।

মানুষের এই আর্তনাদ খুব বেশি অসহনীয়। কারণ একদিন আগেও যে মানুষগুলো হাসিখুশিতে ছিলো।সেই মানুষগুলো এখন শুধুমাত্র নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে। ফেসবুকে কিছু ছবি দেখলাম, যে ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে বড় বড় পাতিল কিংবা বড় বড় কোনো কিছুতে ঢুকিয়ে তাদের ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনি ভাবতে পারেন, একটা মা কতোটা অসহায় হলে কয়েক মাসের একটা বাচ্চাকে বড় একটা পাতিল এর মধ্যে দিয়ে ভাসিয়ে দেয়। এ ব্যাপার গুলো ভাবতেও আসলে যেনো শরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠে।

প্রকৃতি আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা প্রকৃতিতে যে ধ্বংসলীলা চালাই। এই যে নদী ভরাট করি, বড় বড় দালান কোঠা বানাই এই কাজগুলোর জন্য আমরা কতোটা ভুক্তভোগী হতে পারি সেটা আমরা ভুলে যাই। অর্থাৎ এই যে যেমন ধরুন যদি বন্যার পানি কমে যায়। অর্থাৎ সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায় তখন আমরা আবার প্রকৃতিতে ধ্বংসলীলা চালানো শুরু করবো এবং এটা আমাদের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু সবকিছুর পরেও মানুষের এই আহাজারি, এই আর্তনাদ সহ্য করার মতোন নয়। প্রবাসীরা কান্না করে করে দেশের মানুষদের উদ্দেশ্যে ভিডিও করছে যে, যতো টাকা লাগবে লাগুক তারা দেবে।কিন্তু শুধুমাত্র তার পরিবারগুলোকে যেনো একটু আশ্রয় কেন্দ্রে এনে দেয়। এমনকি আশ্রয় কেন্দ্রের পরিস্থিতির কথা যারা সামনাসামনি দেখে বলছে। তাদের বেশিরভাগ এটাই বলছে যে, তারা এক কাপড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং তাদের বেশিরভাগ মানুষদের ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে চলে গিয়েছে। একটা লোকের লাইভ দেখলাম অর্থাৎ সে চিৎকার করে বলছে যে, তাদের টাকা-পয়সার কোনো অভাব নেই। তার পরিবারকে যেনো একটু উদ্ধার করে দেয়। আসলে চিন্তা করতেও ভয় লাগে যে, আমরা সৃষ্টিকর্তার সামনে, প্রকৃতির সামনে কতটা অসহায়! প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে যেনো এই অসহায়ত্ব থেকে সৃষ্টি কর্তা আমাদের মুক্ত করেন। এই যে এতোগুলো মানুষ বন্যায় কষ্ট পাচ্ছে। ওরা যেনো একটা সুন্দর জীবন আবার ফিরে পায়। সাথে আশা করবো আপনারা সকলেই সাবধানে আছেন, ভালো আছেন।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।