অপরাধবোধে জর্জরিত

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

মাঝেমধ্যে অসম্ভব রকমের অপরাধবোধ কাজ করে। আসলে এই অপরাধবোধটা আমার প্রতিনিয়তই কাজ করে। তাই ভাবলাম যে, তা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা যাক। অর্থাৎ এই অপরাধবোধটা শুধু কি আমার মধ্যে কাজ করে। নাকি সকলের মধ্যে কাজ করে। সেটা নিয়ে জানতেই আসলে আজকের জন্য লেখা।

অনেকেই হয়তো ভাবছেন যে কোনো অন্যায় করার পরে, এরপরে সেই অপরাধভোগে ভুগি আমরা। সে ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলতে এসেছি।কিন্তু ব্যাপারটি আসলে একেবারেই তা নয়। যে ব্যাপারটা নিয়ে আমি সব সময় অপরাধবোধে ভুগি। সেটা হচ্ছে, এই যে আমাদের বাবা-মা আমাদের জন্য এতো বেশি করছেন। আমরা কি তাদের একটুও সুখী করতে পারবো পরবর্তী জীবনে? অর্থাৎ তারা আমাদের জন্য এখন যতোটা খরচ করছেন। আমরা কি ভবিষ্যতে ততোটা খরচ করার মতো পড়াশোনা করছি!

বর্তমানে আমি একজন স্টুডেন্ট। আর আমার পেছনে আমার বাবা-মা যে কত কারি কারি টাকা খরচ করছে। সেটার হিসাব তারা কখনোই রাখেনি। যার কারণে এতো বেশি টাকার হিসাব রাখা কখনোই সম্ভব নয়। শুধুমাত্র আমার জন্যই নয়, বর্তমানে আমরা যারা পড়াশোনা করছি। আমাদের সকলের বাবা-মা ই তাদের সাধ্যমত সবটুকু দিয়ে আমাদের জন্য খরচ করছেন। যাতে করে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়। কিন্তু বর্তমানে চাকরির বাজার দেখলে খুব হতাশ লাগে নিজেকে। কারণ এই যে আমাদের বাবা-মা আমাদের জন্য এতোটা করছেন। আমরা কি সত্যিই তাদেরকে খুশি করতে পারবো কিংবা আমরা কি সত্যি তার ফিডব্যাক টা সেভাবে দিতে পারবো!

এই ব্যাপারগুলো আসলে যখন মাথায় আসে। তখন খুব বেশি অপরাধবোধ জাগ্রত হয় মনের মধ্যে। কারণ এই যে তারা আমাদের জন্য যে টাকাগুলো খরচ করছে। সেসব কিন্তু তারা রেখে দিতে পারতো তাদের পরবর্তী জীবনের জন্য। আর সে টাকাগুলো রেখে দিলে তারা কিন্তু খুব আরাম আয়েশেই তাদের পরবর্তী জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারতো। কিন্তু তারা তাদের সবকিছু উজাড় করে দিয়ে আমাদের জন্য করে যাচ্ছে। তারা একটাবার ও নিজের জন্য চিন্তা করে না। আর ঠিক এই ব্যাপারটা নিয়েই আসলে আমার মধ্যে অসম্ভব রকমের অপরাধবোধ কাজ করে। কারণ এই যে আমরা আসলে কতোবআরাম-আয়েশের জীবন যাপন করছি। আমাদের কোনো চিন্তা নেই আমাদের খাবার নিয়ে, আমাদের কোনো চিন্তা নেই আমরা কি পড়বো, আমাদের কি খাবো, কোথায় শোবো কিছু নিয়েই আমাদের কোনো চিন্তা নেই।

কিন্তু আমাদের বাবা-মায়ের জন্য কি আমরা সত্যিই এমনটা করতে পারবো? যেমনটা আরাম আয়েশ তারা আমাদের দিয়েছে। আমরা কি তাদের জন্য এতোটা আরাম আয়েশার ব্যবস্থা করতে পারবো!বিশেষ করে মেয়েদের জন্য তো এটা আরো অনেক বেশি কঠিন। অর্থাৎ একটা মেয়েকে বাবা-মা সারাটা জীবন কতোটা আদর যত্ন মানুষ করে। কিন্তু সেই মেয়েটা যখন পরের ঘরে চলে যায়। তখন বাবা-মাকে সামান্য একটা ফোন কল দিয়ে খোঁজখবর নেওয়ারও তার কোনো সময়, সুযোগ হয়ে উঠে না। কারণ সমাজ ব্যবস্থাটাই আমাদের এমন!

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।