অতিরিক্ত নাক গলানোয় ব্যাক্তিত্ব কমে

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

কিছু মানুষ এমন রয়েছে, যারা আসলে সব সময় অন্যের কাজে নাক গলাবে। অর্থাৎ ধরুন আপনি তার সামনে কোনো একটা কাজ করছেন কিংবা কোনো একটা আলোচনা করছেন। যেটাতে হয়তো সে নেই। অর্থাৎ আপনি আপনার মত করে আপনার যেভাবে ভালো মনে হচ্ছে সেভাবেই আপনি কোনো কাজ করছেন। এবং আপনিও জানেন যে আপনার কাজটা কিভাবে করা উচিত। এবং সে নিয়ে আপনার অন্য কারো মতামতের দরকার নেই। কিন্তু সেখানেও দেখবেন যে কিছু মানুষ রয়েছে। যারা তাদের নিজস্ব বক্তব্য দিবেই দিবে এবং এই মানুষদেরকে আসলে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই অপছন্দ করি।

কারণ আমাদের সব কাজে পরামর্শ দরকার হয় না। আমাদের শুধুমাত্র সেসব কাজে পরামর্শ দরকার হয়। যে সব কাজ আমরা কিছুটা কম পারি এবং যে সব কাজে আমাদের একটু সাহায্য দরকার হয়। কিন্তু আপনার সেই কাজে যদি প্রতিনিয়ত কোনো মানুষ এসে বারবার তার নিজস্ব বক্তব্য এবং নিজস্ব বিরক্তিকর মতামত তুলে ধরে। তখন দেখবেন যে আপনি একটা সময় সে মানুষটাকে যতোটা সম্মান করছেন। কয়েকদিন পর আপনার সম্মানটা নিজে নিজেই কমে গিয়েছে।

হয়তো এমনটা নয় যে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে অসম্মান করছেন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে তার কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পরিস্থিতি আপনাকে এমন ভাবে তৈরি করে দিবে যে , সে যদি কখনো কোনো ভালো কোনো উপদেশ দেয়। তখন সেটা আপনার কাছে অনেকটা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ ইতিমধ্যেই সে এতোটাই পরামর্শ দিয়ে ফেলেছে যে, তার পরামর্শ এখন আপনার কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এটার প্রভাব কিন্তু সরাসরি ভাবেই আমাদের ব্যক্তিত্বে পরে। কারণ আমাদের এতোটা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হওয়া উচিত। যাতে আমরা কোনো একটা কথা বললে, সেটা মানুষ অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেয়। আর আমরা যখন ই আমাদের কোনো প্রয়োজন যেখানে নেই, সেখানেও বারবার কথা বলতে থাকি। বারবার মতামত দিতে থাকি। সেই জায়গাটা থেকেই কিন্তু আমাদের ব্যক্তিত্ব কমতে থাকে এবং অন্যরা আমাদেরকে সম্মান করাটাও কমাতে থাকে।

তাই আমি মনে করি যে অন্যের কাজে কিংবা অন্যের ব্যাপারে কখনোই অতিরিক্ত নাক গলানো উচিত নয়। আমাদের মানুষকে ততোটাই জ্ঞান দেওয়া উচিত কিংবা ততোটাই পরামর্শ দেওয়া উচিত। যতোটা তারা আমাদের কাছ থেকে আশা করে কিংবা যতোটা তারা আমাদের কাছ থেকে চায় তার বেশি একটুও নয়। আর তাও যদি আপনি এই সব কথাগুলো পড়ার পরেও অন্যকে সবসময় পরামর্শ দিতে থাকেন, অন্যকে সবসময় অপ্রয়োজনে জ্ঞান দিতে থাকেন।তখন দেখবেন যে আপনার জ্ঞান গুলো কেউই আর নিতে চাচ্ছে না। সেটা হতে পারে ভালো কিংবা সেটা হতে পারে খারাপ।

তাই নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার দায়িত্ব একান্তই নিজের, অন্য কারো নয়। নিজেদেরকে এমন ভাবে তৈরি করা উচিত,যাতে আপনি কোথাও একটা কথা বললে সেটা যেনো সকলেই শুনে,অন্তত না মানলে মনোযোগ দিয়ে শুনার মতোন রুচিটা রাখে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।