খিদের চোটে দিশেহারা

in hive-129948 •  7 months ago 
🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

TakeOut

IMG_9969.jpeg

captured by @nusuranur

nowrin,.png

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনার সাথে একটি মজার কথা শেয়ার করি। সে সাথে অল্প কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। তবে খুব একটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারবো না। কারণ সেদিন আসলে তেমন একটা ফটোগ্রাফি করা হয়নি, যে কারণেই। যাই হোক মূল কথায় ফিরে আসি।

আপনারা তো অনেকেই জানেন যে আমার এতোদিন মিড টার্ম চলছিলো। তাই মোটামুটি নিশ্বাস ফেলারও টাইম পাচ্ছিলাম না। কারণ মিডটার্ম হোক আর ফাইনাল। পেইনটা মোটামুটি আমাদের একই রকম ভাবেই দিয়ে থাকে তারা।

তো সেদিনও যথারীতি পরীক্ষা শেষ করার পরে বাসায় ফিরছিলাম। তখন সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিলো।কারণ আমার পরীক্ষাটা ছিলো দুপুর বেলা। আর সাধারণভাবে আমি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে কিছু খাইনা। তাই সেদিনও প্রায় সারাদিনই কিছু খাইনি।

আসলে মজার কথাটা হলো সেদিন সারাদিন কিছু না খেলেও মোটেও কোনো প্ল্যান ছিলো না রেস্টুরেন্টে খাবার কিংবা কোথাও খেতে যাওয়ার। কারণ শরীর আর নিতে পারছিলো না। তাই শুধু চিন্তা করছিলাম কবে বাসায় ফিরে একটু বিছানায় শরীরটা ঠেকাবো।

IMG_9967.jpeg


কিন্তু সত্যি কথা বলতে বাসে হঠাৎ এতো বেশি খিদে পেয়ে গেলো। কারণ সেই সকাল থেকে কিছু না খাওয়া আর তখন প্রায় সন্ধ্যের শেষ দিকে। তাই আমরা ভাবতে লাগলাম যে কোথাও খেয়ে তারপর বাসায় যাওয়া যায় কিনা এবং সেটা ভাবার সময় দেখলাম আমাদের খুব পছন্দের একটা রেস্টুরেন্ট আমাদের সামনেই। তাই আমরা সেই মুহূর্তে বাস থেকে নেমে গেলাম এবং বাস থেকে নেমে সোজা চলে গেলাম "Takeout " এ।

IMG_9968.jpeg


এরপর গিয়ে আমরা আমাদের খাবারগুলো অর্ডার করে দিলাম। দুইটা বার্গার, একটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং কোল্ড ড্রিংস অর্ডার করেছিলাম।

IMG_9969.jpeg


এরপরে খাওয়া দাওয়ার পরে আমরা সামনে দেখলাম যে একটু ওয়াফেল কর্নার রয়েছে। আর ওয়াফেল আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাই সেখানকার ওয়াফেলটাও ট্রাই করে নিলাম।অনেক বেশি মজার ছিলো।

আর এরপরে তো সোজা বাসায় চলে আসলাম। তার উপর সেদিন আমরা ক্লাসে বসে বসে এটাই আলোচনা করছিলাম যে বাইরে খেয়ে খেয়ে আমাদের শরীর কতোটা খারাপ হয়েছে। আর সেদিনই আমরা বাইরে গেলাম। তো আসলে বাসায় এসে আমরা অনেকক্ষণ হাসাহাসিও করেছিলাম, এই আর কি।

The End📍
আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।


This is your beloved @nusuranur.



8FF7198D-D313-4FC3-ADE4-05C262C64B9E.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

টেক আউটের বার্গার গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে।আসলে বেশি খিদে লাগলে এমনি হয়।ওয়াফেল দেখে একটি ঘটনা মনে পরে গেলো।বেশকিছু দিন আগে আমি ওয়াফেল খেয়ে বেশ ভালো লেগেছিলো তাই মোটামুটি অনেক খেয়েছিলাম তারপর থেকে এমন পেট খারাপ হয়ে গিয়েছে, এখন আমি ওয়াফেল দেখলেই ভয় পাই। ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

হাহাহা,অনেক খাওয়া যাবে না আবার।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এই অভ‍্যাস টা আমারও আছে। পরীক্ষার আগে আমি নিজেও কিছু খাই না। আসলে ঐসময় খাওয়ার যেন কোন ইচ্ছায় থাকে না। পরিকল্পনা ছাড়া খাওয়ার ব‍্যাপার টা আবার অন‍্যরকম। এবং আপনি দেখছি রেস্টুরেন্টে গেলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং বার্গার টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এটা বেশ ভালো দিক। বেশ চমৎকার সময় কাটিয়েছেন।

Posted using SteemPro Mobile

একদম,আর খেলেই কেমন অস্বস্তি হয়।

এমনই হয় আপু, যেদিন শরীর স্বাস্থ্যের কথা একটু ভাবি সেদিনই মনে হয় বাইরের খাবার গুলো আরো বেশি খাওয়া হয়। মাঝে মাঝে এমনও হয় রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে বসেই মনে হয় এগুলো শরীরের জন্য একদমই ঠিক না। Takeout এ গিয়ে খুব সুস্বাদু কিছু খাবার খেয়েছেন। ওয়াফেল আমারও খুব পছন্দের।

হাহাহা,ডায়েট এর কথা চিন্তা করলে তো সেদিন ডাবল খাওয়া হয় আরো।

আপু আমার না আপনার এই রকমের খাবারের পোস্টগুলো দেখে কেন জানি বেশ আনন্দ হয়। কি মজা করে এখানে সেখানে ঘুরে ঘুরে আপনি খাবারের টেস্ট গ্রহন করেন। আপনার এমন পোস্ট গুলো দেখে যেমন শিখলাম কিছু খাবারের নাম। তেমনি করে দেখলাম কিছু রেস্টুরেন্টের নামও। দারুন ছিলা আপনার আজকের পোস্ট।

কি করার আর,খাওয়া ছাড়া আর আছে জীবনে।

আপু বাহিরের খাবার আপনারা ছাড়তে চাইলেও, বাহিরের খাবার কিন্তু আপনাদেরকে ছাড়তে চাচ্ছে না😂। তাইতো অনিচ্ছাকৃত সত্ত্বেও বারবার বাহিরের খাবার খেতে হচ্ছে। তবে বাহিরের খাবার শরীরের জন্য আসলেই খারাপ। তাই যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। তবে মাঝেমধ্যে বাহিরের খাবার খাওয়া যেতেই পারে। কারণ বাসার খাবার সবসময় খেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু আপনারা অনেক বেশি খেয়ে থাকেন বাহিরে। এতো বেশি বাহিরে খাওয়ার অভ্যাসটা অবশ্যই পরিবর্তন করা উচিত। এখন থেকে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বেশি বেশি খেয়ে বের হবেন, যাতে করে ক্ষুধা না লাগে। তাহলে বাহিরে খাওয়া কম হবে। যাইহোক বরাবরের মতোই বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করেছেন আপনারা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

সেটা তো আমিও ভাবি যে পরিবর্তন করা উচিত।কিন্তু হয় কই আর।

সকাল থেকে না খাওয়া ছিল এবং পরীক্ষা দিয়েছেন, আসলে পরীক্ষা অনেক সময় লাগে আর পরীক্ষা দেওয়ার পর এমনিতেই অনেক ক্ষুধা লাগে এবং যার কারণে আপনার বাসের ভিতরে খাওয়ার চিন্তাভাবনাটা মাথায় আসলো, আর তখনই আপনি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন। আসলে আপনার হুট করে এই সিদ্ধান্তগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।

Posted using SteemPro Mobile

এটা ঠিক,পরীক্ষা দেওয়ার আগে ক্ষুদা না লাগলেও পরে ক্ষুদা লাগে।

আপু এভাবে না খেয়ে থাকলে মাথা কাজ করে আপনার ? আমার তো আবার সকালে পেটে কিছু না পড়লে মাথা কোনো কাজই করে না ৷ যাই হোক , সারা দিন না খেয়ে থেকে একদম সন্ধ্যায় পছন্দের রেস্টুরেন্টে বসে পেটপুরে খেয়েছেন দেখছি ৷ আর সব লোভনীয় খাবার অর্ডার করেছেন ৷ আপনার অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপু

Posted using SteemPro Mobile

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় একদমই খেতে ভালো লাগে না আপু। কিন্তু পরীক্ষা যখন শেষ হয়ে যায় তখন বাসায় ফেরার মত আর শক্তি থাকে না। প্রচন্ড ক্ষুধা পায় তখন। পরীক্ষা শেষ করে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। না হলে আরও বেশি ক্লান্ত হয়ে যেতেন।

সত্যি আপু যখন কলেজে পড়ালেখা করতাম তখন আমার কাছে একটা অভ্যাস ছিল। সেটা হচ্ছে যে কোন পরীক্ষাকে আমি সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতাম। সেটা ক্লাস টেস্ট হোক কিংবা ফাইনাল এক্সাম হোক। তবে আপনার খিদা বেশ লেগেছে বুঝতে পারলাম। কিন্তু খাওয়া দাওয়া গুলো আপনি দারুন করেছেন। প্রতিনিয়ত আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে লোভ সামলানো বেশ মুশকিল হয়ে যায়।

আপনি আসলেই আপু বাইরে প্রচুর খাওয়া দাওয়া করেন, এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। তবে আমি একটা জিনিস চিন্তা করছি, আপনি সারাদিন না খেয়ে থাকলেন কি করে? আমি তো এক বেলা না খেলে অন্য বেলা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না। যাইহোক, আপু তাও তো শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যার দিকে কিছু খেয়ে ঘরে ঢুকেছেন, এটাই অনেক। ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে।

আপু আমরা এমনই,আমরা সিগারেট খেতে খেতে ধুমপানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়, বাহিরের খাবার খাওয়া শরীরে জন্য ক্ষতিকর,পরিক্ষায় খাতায় এই রচনা লিখে বের হয়ে রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খাই,হা হা হা। আমরা হলাম আজব জাতি। ধন্যবাদ আপু।