অনিয়মে অসুস্থতা

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকেও ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি। কারণ আমার শরীরটা বিশেষ একটা ভালো একেবারেই লাগছে না গত দুইদিন ধরে। যা আসলে আমি গত কালকের পোস্টেও লিখেছিলাম। এবং গতকালকের হ্যাংআউটেও আমি শেষ পর্যন্ত আসলে থাকতে পারিনি। কিন্তু বেশ অনেকক্ষণ থাকার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার এতোই খারাপ লাগছিলো যে আমি ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য থাকতে পারিনি।

যদিও আমি শেষ পর্যন্ত আর ডাক্তারের কাছে যাইনি গতকাল রাতে। তবে ডাক্তারকে ফোন দিয়েছিলাম এবং উনি যা যা দরকার সে অনুযায়ী আমাকে বলে দিয়েছে এবং আমি তা করেছিও। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো গতকাল সারারাতই আমি মোটামুটি ঘুমাতে পারিনি।

আসলে আমার যে অসুস্থতা গুলা তার বেশিরভাগই আসে শুধুমাত্র আমার অনিয়মিত জীবন যাপনের জন্যই। আসলে শুধু শুধু অসুখের দোষ দিয়ে খুব একটা লাভ আছে বলে আমার অবস্থা থেকে অন্তত আমি মনে করি না। তার কারণ একটাই, আমাকে ডাক্তার অনেক কিছু মানা করেছে। যা আসলে আমি খুব একটা মানতে পারি না কিংবা মানতে চাই না বলা চলে।

এই যে যেমন আমাকে সারা জীবনের জন্য কিছু খাবার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তা হলো ঠান্ডা পানি, ডাব কলা, আইসক্রিম এসব। কিন্তু আমার বদ অভ্যাস এতোটাই বেশি যে ঠান্ডা পানি আর আইসক্রিম ছাড়া আমার একটা দিনও চলে না। যেখানে একজন সাধারণ মানুষও ডেইলি আইসক্রিম খায় না। সেখানে আমি একজন এই অবস্থার মানুষ হয়েও প্রতিটা দিনই আমার আইসক্রিম খাওয়া হয়। এবং প্রতিবার ই যখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাই, তখন মনে হয় আর হবে না নিশ্চয়ই রোগ,এবার খাওয়া যায়। কিন্তু প্রতিবারই এমন খারাপ অবস্থাই হয়।

তাই আমার কাছে মনে হয় আমার এই অসুস্থতা গুলো শুধুমাত্র আমার অনিয়মের জন্যই হয়। আর তার উপরে আরো কিছু রেস্ট্রিকশন আমাকে দেওয়া রয়েছে। যেগুলো আসলে আমি খুব একটা মানি না। যেমন আমাকে ডাক্তার বলে দিয়েছিলো,আমি যখনই বাইরে পা দেই না কেনো আমি যেনো মাক্স ছাড়া কোনোভাবেই বাইরে না যাই। যেটা আসলে আমি মানি না। তো সবমিলিয়ে আসলে আমার নিজের দোষেই আমার প্রতিবার এতো খারাপ অবস্থা হয়।

তবে একটা ব্যাপার ঠিক যে যতই অসুস্থতা কাজ করুক না কেনো। আমি আমার কাজগুলোতে একেবারেই তার এফেক্ট পরতে দিই না। তার কারণ হলো মানুষের জীবনে রোগ তো থাকবেই। কিন্তু তাই বলে কাজে ব্যাঘাত দেওয়াটা আমার ব্যক্তিগতভাবে একেবারেই পছন্দ নয়।কারণ রোগ যেহেতু নিজেই টেনে এনেছি। সে ক্ষেত্রে আবার নিজের জন্যে কাজে ফাঁকি দিবো, এটা তো আসলে মানা যায় না। কি বলেন, ঠিক বললাম তো?

যাইহোক সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন এই আশায় রাখছি, ধন্যবাদ।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।