থিওরি এক্সাম শেষের শান্তি।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরো একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটি আপনাদের সকলের ভালই লাগবে এবং আজকের লেখাটি বেশ ফুরফুরে মেজাজ নিয়েই লিখছি।

আসলে ফুরফুরা মেজাজ বলতে তেমন কিছুই না। আপনাদের সাথে একটু মজা করলাম আর কি। কারণ জীবনে মজাটা খুব বেশি দরকার। আর আমার জীবনে তো অনেক বেশি দরকার। অর্থাৎ সারাদিন এতো ঝামেলার মধ্যে যদি একটু মজা না ই করতে পারি, তাহলে জীবনে কি আর আছে বলুন!

জীবন তো একটাই, তাই জীবনে খুব মজা করে কাটিয়ে দিতে পারলেই কিন্তু আসলে বেশ হয়। তাই না? যদিও আমরা ঝামেলা কিংবা চিন্তা থেকে কখনোই মুক্ত হতে পারি না। আর চিন্তা মুক্ত মানুষ পৃথিবীতে আছে কিনা জানিনা। তাই একটু আধটু সুযোগ পেলে আপনাদের সাথে মজা করি আর কি।

যাইহোক আসলে ফুরফুরা মেজাজ এর সে বিষয়টা বলেছি। কারণ হচ্ছে আজকে আমার মিডের থিওরি এক্সাম গুলো শেষ হয়েছে। যদিও আজকে মারাত্মক খারাপ এক্সাম দিয়েছি। কিন্তু এক্সাম শেষ হওয়াটাই আসল বিষয়। এক্সাম ভালো হলো না খারাপ হলো এটা মোটেও আসল বিষয় না।

এটা আমার সাথে স্কুল, কলেজের যারা রয়েছে এখানে ওরা মোটেও এক মত হবে না। কারণ তখন আমি নিজেও এটা বিশ্বাস করতাম না। কারণ তখন এক্সাম মানে মনে হতো যে ভালো হতেই হবে। কিন্তু যারা আমার মতো ইউনিভার্সিটির লেভেলের রয়েছে কিংবা ব্যাকবেঞ্চার রয়েছে তারা আমার সাথে অবশ্যই একমত হবে।

কারণ আসলে অতো ভালো স্টুডেন্ট তো নই। যথেষ্ট ফাঁকিবাজ একজন স্টুডেন্ট। আর একজন ফাঁকিবাজ স্টুডেন্ট এর জন্য লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়াটা যে কি পরিমাণ আরামের তা আর কেউ বলতে পারবেনা।

আজকে এসেই কি একটা যে শান্তির ঘুম দিয়েছি ভাবতেই আনন্দ লাগছে। কারণ লাস্ট অনেকদিন আমি কোন সময় ঘুমিয়েছি আর কোন সময় উঠেছি সেদিকে কোনো খেয়ালই ছিল না। একেবারে বিরক্তিকর! খুব যে পড়ালেখা করেছি তাও না। ওই যে চিন্তা করতে করতে আর পড়ালেখা হয় না। অর্থাৎ পড়ালেখার টেনশন এ আর পড়ালেখা হয় না এই হলো আমার অবস্থা।

যাইহোক আপাতত বেশ আনন্দে আছি। পরীক্ষা শেষ হয়েছে। যদিও জানিনা এই আনন্দ কতোদিন থাকবে। কারণ কয়েকদিন পরই আবার রেজাল্টগুলো দেওয়া শুরু করবে তখনই মাথায় বাজ পরবে।আর এখনো ল্যাব ও বাকি আছে।

তবে ততদিন তো আনন্দে থাকাই যায়।তাই না? কি বলেন আপনারা? হাহাহাহা।একটু সুযোগ পেলেও মিস করা যাবেনা আনন্দের।কেও আবার নিয়ে যাবে!