বিপদ যেনো কাটছেই না

in hive-129948 •  last year 
🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

General Writing

IMG_5112.jpeg

made by @nusuranur

nowrin,.png

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি। কারণ আজকে আমার মন একেবারেই ভালো নেই। সে কারণে আসলে অন্যান্য কোনো কিছু নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগছে না। তাই ভাবলাম বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েই আপনাদের সাথে একটু লেখালেখি শেয়ার করা যাক।

আমার ছোট ভাই এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ আর কয়েকটা মাস পরেই তার এসএসসি পরীক্ষা। তো বর্তমানে তার মডেল টেস্ট চলছে অর্থাৎ ফাইনাল মডেল টেস্ট। কিন্তু বেশ অনেকদিন ধরেই সে অসুস্থ বোধ করছে এবং প্রথমের দিকে অসুস্থতাটা ছিলো শুধুমাত্র ডায়রিয়া। আমরাও স্বাভাবিক ডায়রিয়া ভেবেই আমরা স্বাভাবিকভাবে যে ওষুধগুলো খেয়ে থাকি ডায়রিয়ার কারণে, সে ওষুধ গুলোই দিয়েছিলাম। এবং তার সমস্যার সমাধানও হয়ে গিয়েছিলো। এবং এভাবে করে সে দুই,তিনবার পর পর অসুস্থ হয়েছে। আর আমরাও বেশ ওকে বকাঝকা করেছি। কারণ পরীক্ষার মাঝে নিশ্চয়ই বাইরের উল্টাপাল্টা খেয়েছে। সে কারণেই হয়তো ডায়রিয়া হয়েছে এবং আমরা এমনটা ভেবেই ওকে আসলে বকাঝকা করেছিলাম এবং ডায়রিয়ার ওষুধও খাইয়ে ছিলাম। এবং সে মাঝে বেশ কয়েকদিন সুস্থ ওহয়ে গিয়েছিলো। এই সব ব্যাপার গুলোই কিন্তু মডেল টেস্ট এর মাঝখানেই হচ্ছিলো।

পরবর্তীতে যখন ওর ডায়রিয়াটা কিছুতেই স্বাভাবিক হচ্ছিলো না এবং জ্বরও আসছিলো মাঝে মাঝে। তাই ডাক্তার দেখানো হলো এবং তাকে এন্টিবায়োটিক দিলো।কিন্তু সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো প্রথমদিকের অ্যান্টিবায়োটিক গুলো আম্মু খাওয়ালেও, শেষের দিকে আম্মু ওকে খেয়ে নিতে বলেছিলো। কিন্তু সে খেয়েছে বলে, সে ওষুধগুলো আর খায়নি।অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স ই সম্পন্ন করেনি!

যাইহোক এরপর গত এক দুই দিন ধরে যখন তার জ্বর কোনো ভাবেই আর কমছেন।১০৩ এবং ১০৪ থেকে নামছেই না শরীরের টেম্পারেচার। এবং নামলেও ৯৮ এ নেমে এবং এর পরে আবার ১০৩ কিংবা ১০৪ এ চলে যায়। তাই তাকে আবার ডাক্তার দেখানো হলো এবং ডাক্তার প্রথমবারে ডেঙ্গু টেস্ট দিয়েছিলো, সেটা নেগেটিভ এসেছিলো।এর পরবর্তীতে আবার তাকে ডেঙ্গু টেস্ট এবং টাইফয়েডের সহ আরো কিছু ব্লাড টেস্ট দেয় এবং টেস্টগুলো করার পর ধরা পরে যে, সে বেশ অনেকদিন ধরেই টাইফয়েড এ ভুগছে। অর্থাৎ আমরা যাকে ডায়রিয়া বলে ভুল ভাবছিলাম, সেটা আসলে টাইফয়েড ছিলো।

এবং বর্তমানে তার অবস্থা এতোটাই খারাপ যে তাকে আজকে হসপিটালাইজড করতে হয়েছে। কারণ তাকে আর মুখে খাবার দেওয়া যাচ্ছে না, যেহেতু অসম্ভব রকমের বমি করছে এবং হসপিটালাইজড হওয়ার কারণে সে ফাইনাল মডেল টেস্টগুলোও দিতে পারছে না।সে কারণেই আর কি বর্তমানে আমি তার স্কুলে অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছি। কারণ যাতে এসএসসি পরীক্ষাটা অন্তত তাকে দিতে দেয়।

এই হলো বর্তমানে আমার বিপদের অবস্থা। আসলে বিপদ যেনো কাটছেই না। একটা শেষ হতে না হতেই আরেকটা বিপদ এমনভাবে চলে আসে যেনো একেবারে আগে থেকেই রেডি হয়েছিলো।যাই হোক সবাই দোয়া করবেন আমার ছোট ভাইয়ের জন্য। যেনো সে দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আবার পড়াশোনায় মন দিতে পারে এবং এসএসসিতে একটা ভালো ফলাফল করতে পারে। কারণ আমরা সবাই জানি এসএসসির ফলাফলটা একটা মানুষের জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা চ্যাপ্টার।

আজকে তাহলে আর কথা না বাড়াই। আমি আবারও অনুরোধ করবো, সকলেই আমার ছোট ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।

The End📍
আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।


This is your beloved @nusuranur.



8FF7198D-D313-4FC3-ADE4-05C262C64B9E.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Heres a free vote on behalf of @se-witness.

আপু আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনাদের বাড়ির সকল পরিবারের সদস্যদের অবস্থা সম্পর্কে। প্রথমে দোয়া করি যেন আপনারা দ্রুত সবাই সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর দ্বিতীয়ত একটি কথা আপু, আল্লাহ কিছু ছোট বিপদ দিয়ে থাকেন বড় কোন বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য। হয়তো এমন কিছু কিংবা আল্লাহ আপনাদের পরিবারের কোন পরীক্ষা নিচ্ছেন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন এবং শুকরিয়া আদায় করেন ইনশাল্লাহ সবাই সুস্থ হয়ে যাবেন।

Posted using SteemPro Mobile

আপনার ভাইয়ের সামনে বোর্ড পরীক্ষা আর এই সময়ে টাইফয়েড এ আক্রান্ত।এটা আসলেই অনেক বিপদ।কেননা এই শেষ সময়ে রিভিশন ঠিকঠাক না দিলে ভালো পরীক্ষা দিতে সমস্যা হয়ে যায়। এন্টিবায়োটিক এর কোর্স সম্পন্ন না হলে সমস্যার সমাধান হয়না।শেষের দিকে আপনার ভাই ওষুধ গুলো না খাওয়ার কারণে এখন এই বিপদ।যাইহোক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক আপনার ভাই,দোয়া রইল অনেক।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

ছোটভাইয়ের একন গুরুতর অবস্থা জেনে খুবই খারাপ লাগল আপু। আসলে টাইফয়েড হলে তো সারতেও সময় লাগে৷ আশা করি কিছু দিন হসপিটালে ঠিকঠাক রেস্ট নিলে আর ঠিকঠাক ওষুধ খেলে আবার সুস্থ হয়ে উঠবে। এন্টিবায়োটিক এর কোর্স কমপ্লিট না করাটা খুবই বোকামো করেছে আপু। ছোট তো, বোঝে নি। তবে সামনে যেন এমন না করে, ভালো করে বুঝিয়ে বলবেন।

Posted using SteemPro Mobile

প্রথমে দোয়া করছি আপু আল্লাহ যেন আপনার ভাইটাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়। এবং আপনাদের বাসার সবাইকে ধৈর্য দেয় এই বিপদের সময়।আসলে আপু বিপদ কারো বলে কয়ে আসেনা। আর এখন যেন দেখছি সবার ঘরে ঘরে বিপদগুলো খুব করে চলে আসছে। আপনার পোস্টটা পড়ে খারাপই লাগলো সামনে ওর এসএসসি পরীক্ষা আসলে যাদের বাড়িতে বিপদ আসে তারাই একমাত্র তাদের পরিস্থিতি বুঝতে পারে। আমি এরকম আমার মা ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে কাটিয়েছি। অনেক বিপদের মধ্য দিয়ে সময় পার করেছি । আপু আপনার মনের অবস্থা আমি বুঝতে পারছি। ধৈর্য ধরুন আল্লাহপাক আপনার সব ঠিক করে দিবে ইনশাল্লাহ।

Posted using SteemPro Mobile

প্রথমে সৃষ্টিকর্তার নিকট আপনার ছোট ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করছি। আসলে মডেল টেস্ট পরীক্ষার ভিতর এরকম সমস্যাটা বেশ চিন্তাদায়ক। আমি আশা করি স্কুলে অসুস্থতার অ্যাপ্লিকেশন দিলে হয়তো এসএসসি পরীক্ষা দিতে দেবে।

আপু প্রথমেই আপনার ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। সে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে এই প্রার্থনাই করি। যেহেতু তার পরীক্ষা সামনে তাই তার দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা অনেক জরুরী। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখুন আপু। আশা করছি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।