পরীক্ষার আগমূহুর্ত গুলো ভয়ংকর ও বিরক্তিকর।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবার ও চলে আসলাম নতুন আরেকটি লেখা নিয়ে।আশা করি আপনাদের ভালোই লাগে। আসলেই আজকালকার সময়গুলো খুবই ব্যস্ততার মাঝে দিয়েই কাটছে।কারণ ,সামনে আমার সেমিস্টার ফাইনাল।তাই পড়াশোনার চাপ বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ বেশি।

বিষয়টা অনেকটা যেমন এমন হয়ে গিয়েছে যে।ঘুমাচ্ছি কম আর কোড করছি বেশি।কারণ,যেহেতু আমার মেজর সাব্জেক্ট সিএসসি সেহেতু কোডটাই বেশি করতে হয়।আর আমাদের মেইন সাব্জেক্ট এর টিচারটাই পরেছে বিশাল প্যারাদায়ক।উনার ক্লাস গুলো করতে করতে জীবন যেনো যায় যায় অবস্থা।আসলে ম্যামটা এমন ই যে , আমাদের মিডের হায়েস্ট মার্ক ই উঠেছে দশ। এবার ভাবুন খাতা কাটার অবস্থা।ভার্সিটিতে পড়ে যদি এসব ফেইস করতে হয়।তাহলে কি করার আপনারাই বলুন!সেজন্যেই আসলে খুব চাপের মাঝেই দিন যাচ্ছে।পড়া গুলো যত পড়ছি,ততই যেনো আরো বেশি করেই ভুলে যাচ্ছি।আচ্ছা পড়া মনে রাখার কি কোনো ভালো এবং ইফেক্টিভ পন্থা আছে?থাকলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন,কারণ যতদিন যাচ্ছে ততই যেনো পড়া মুখস্ত করার ক্ষমতাটা কমে যাচ্ছে,সে সাথে পড়া মনে রাখার ক্ষমতাটাও যেনো কমে যাচ্ছে।

আসলে কোডিং এমন একটা বিষয় যে যত বেশি প্রেক্টিস করা করে সে তত বেশি ভালো পারে।এটাই কোডিং এর মূল মন্ত্র।প্রতিটি কোডিং এর ধরণ ই হয় একেবারে আলাদা।বিষয়টা আসলে এমন না যে অন্যান্য সাব্জেক্ট এর মতো বেসিক মুখস্ত করে ফেললাম এরপর শেষ।আসলে কোডিং এ প্রতিটি কেইস আলাদা আলাদা ভাবে বুঝতে হয়।বেসিক তো দরকার হয় ই ,সে সাথে দরকার হয় অসম্ভব রকমের প্রেক্টিস।যেটা আসলে প্রথম দিকে আমি খুব বেশিই কম করে অর্থাৎ সব বুঝেছি তবে প্রেক্টিস করিনি।

আর এসব আমার মাথায় আসছে পরীক্ষার আগ মূহুর্তে।কয়েকদিন পরেই আমার ফাইনাল এক্সাম।তার মানে বুঝতেই পারছেন কি পরিমাণ মেন্টাল প্রেসার এর মাঝে দিন যাচ্ছে।কারণ,ফাইনালে ভালো না করলে রিটেক খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অতিরিক্ত সে সাথে আবার যদি ইম্প্রুভমেন্ট দিতে হয় তবে তো কথাই নেই।

আর এসব এর পরে রয়েছে রিটেক কিংবা ইম্প্রুভমেন্ট যাই দেওয়া হোক না কেনো টাকা লাগবে তাতে প্রচুর।যেহেতু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। তার মানে বুঝতেই পারছেন বিপদ একেবারে সব দিক থেকেই এসেছে।এসব ভয়েই সারাদিন রাত মোটামুটি টেবিলেই কাটাচ্ছি বলা চলে আমার।কিন্তু,তাও কি করে যেনো আবার সব খেয়ে অর্থাৎ আমার মস্তিষ্ক আমার পড়াগুলো খেয়ে হজম ই করে ফেলছে।

আসলে এসব এর কারণ আমার কাছে মনে হয় মেন্টাল প্রেসারটাই।কারণ,আমি পেনিক করেই সব পড়া গুলো শেষ করার ট্রাই করছি।আর তাতে আসলে লাভের লাভ কোনোটাই হচ্ছেনা।যা হচ্ছে,তা হলো পড়াও হচ্ছেনা আর সময় ও নষ্ট হচ্ছে খুব বেশি।তার কারণ,পরীক্ষার আগ মূহুর্তটা আমার কাছে সবসময় ই অতিরিক্ত ভয়ের আর বিরক্তির।ছোটবেলায় ভাবতাম,স্কুলে শুধু পড়ালেখা থাকলেই খুব ভালো হতো।অর্থাৎ এক্সামটা বাদে সব ই আমার পছন্দ ছিল। ফাঁকিবাজ স্টুডেন্টরা আসলে যেমন হয় আরকি,হাহাহাহ।বুঝতেই পারছেন মূল বিষয়টা।

আরেকটা মূল সমস্যা হলো,সারাবছর না পড়ে একদিন ই সব পড়তে চাইলে মাথায় ঢুকবেনা তা একেবারেই স্বাভাবিক।আর তা ই হচ্ছে আমার সাথে।এটাই নিয়ম।আর আমাদের মতো ফাঁকিবাজ স্টুডেন্টরা মোটামুটি এটাই বেশি করে থাকে।আর যা হয়,তা হলো রেজাল্ট বেশি ভালো হয়না আর খারাপ হতে হতে জাস্ট যেনো বেঁচে যাই।কি আর করার!জীবন যেনো এভাবেই কাটিয়ে দিচ্ছি।ভয় আর ঝামেলার।

এ কারণেই বলছিলাম ,পরীক্ষার আগ মূহুর্ত গুলো আমার জন্যে খুবই বিরক্তির কাটে।কারণ ওইযে বললাম,পুরো সময়ের পড়াটা আমি একবারে কাভার দেওয়ার ট্রাই করি।নাকি শুধু আমার ক্ষেত্রেই এসব হয়?আপনাদের ক্ষেত্রেও বিষয়গুলো এমন নাকি ভালো স্টুডেন্টদের মতো সময়ের পড়া সময়ে শেষ করে চিল করতে করতে এক্সাম দিতে যান।বলেন একটু শুনে আপনাদের কাছ থেকে মোটিভেটেড হই।