শিশুপার্ক থেকে আসার পথের খাওয়া-দাওয়া।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।আসলে বলার জন্যেই বলা ভালো আছি!

গতকাল আমি আমার ছোট বোনকে পার্কে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম।আর সেই পোস্টে আমি উল্লেখ করেছিলাম যে সে পার্কের মধ্যে শুধু পপকর্ণ ই খেতে চেয়েছিলো। বেশিরভাগ কমেন্ট এমন ছিলো যে এই বাচ্চাটা কতো ভদ্র, কত ভালো, কত শান্তশিষ্ঠ আর অন্যদের বাচ্চা অর্থাৎ যারা কমেন্ট করেছিলো ওনারা এটাই বুঝিয়েছিল যে উনাদের বাচ্চারা কতো দুষ্টু অর্থাৎ বাইরে গেলে এটা না ওটা, সেটা না ওটা খাবো এমন করতে থাকে। কিন্তু ব্যাপার হলো সবাই একেবারেই ভুল ভেবেছে।

কেনো ভুল তা বলছি আমি। তা আশা করি আজকের পোস্টটি পড়লেই বুঝে যাবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের ঘরের এই বাচ্চাটি ও অসম্ভব রকমের দুষ্টু।

প্রথমে তো আমরা পার্ক থেকে বের হয়ে কিছু ফুড পার্সেল নিয়ে বাসায় চলে যাবো এটাই ঠিক করেছিলাম। তো মাঝে বিগড়া দিলো নুয়াইরা।কারণ প্রথমে পার্ক থেকে বের হতেই কিছু খেলনার দোকানপাট রয়েছিলো। অর্থাৎ কিছু বেলুনের মতো খেলনা বিক্রি করে সে দোকানটি ছিলো। আর সে দোকানটি দেখার পর তাকে পায় কে!সে একেবারে পাগল বানিয়ে ফেলেছিলো আমাদের।

আর কিছু দোকানদারদের স্বভাব তো অজানা নয়।যদি দেখে বাচ্চারা অনেক বেশি কোনো কিছুর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে তার দাম বাড়িয়ে দেয় তিন থেকে চার গুণ। তো সেদিনও তাই হয়েছিলো। সে একটি ইউনিকর্নের বেলুন সিলেক্ট করেছিলো এবং যথারীতি দোকানদার অসম্ভব দাম বলছিলো। কিন্তু বাচ্চারা আসলে কি পরিমান সিনক্রিয়েট করে তা তো কারোরই অজানা নয়। সে কারণেই বাধ্য হয়ে কিনে দিয়েছিলাম, যাতে শান্ত থাকে।

এরপরে যারা বলেছিলেন যে সে এটা সেটা চায় না। তারই কথা বলছি। যে মুহূর্তেই আমরা খাবারের দোকানে ঢুকেছি। অর্থাৎ খাবার নিয়ে বাসায় চলে যাবো। তখনই সে বলে এটা খাবো সেটা খাবো।অর্থাৎ এমন কিছু খাবার দেখিয়ে দিচ্ছিলো যেগুলো অসম্ভব স্পাইসি। সে তা মুখেও দিতে পারবে না। কিন্তু বাচ্চারা কিভাবে চায়, তাদের চাওয়ার ধরণ তো আসলে কারোরই অজানা নয়। সে কারণেই দুটো ম্যাংগো জুস আর একটি শর্মা অর্ডার করেছিলাম। শর্মা ভালোভাবে খেতে না পারলেও নামটা কিন্তু বেশ ভালই জানে।

আসলে যখন সে বলেছিলো তখন আমরাও ভাবলাম যা খাওয়াই যাক।কি আর করার। অর্থাৎ ওর সাথে আমাদেরও ইচ্ছে করছিলো না এমনটা না। তবে বেশ ভীড় ছিলো। তাই আমরা দুইতালায় উঠে যাই খাবার খাওয়ার জন্য। আর তাদের এই ম্যাংগো জুস আর শর্মাটি আমার অসম্ভব প্রিয়।

আর ওকে ঘরের বাইরে খাইয়ে দেওয়াটা আমার জন্য অসম্ভব অর্থাৎ ঘরে আমি প্রায় সময় ওকে খাইয়ে দেই। তবে ঘরের বাইরে ওকে সামলানোটা খুব কঠিন।তাই আমি আমার খাবারগুলোই খাচ্ছিলাম। আর খালামনির মোটামুটি ওকে খাইয়ে দিচ্ছিলো। কিন্তু তাতেও তার হবে না! সে নিজে ধরেই খাবে আর নিজে ধরে খেতে গিয়ে বেশ ভালো একটা অঘটন ঘটিয়েছিলো। তা হলো সম্পূর্ণ এক বোতল পানি ফ্লোরে ফেলে দিয়েছিলো। এবার দেখি কে কে বলেন যে নুয়াইরা বেশ শান্তশিষ্ট মেয়ে!হাহাহাহা।

তবে হ্যা,সে একদিকে খুবই লক্ষ্মী। সেটা হলো অন্যান্য বাচ্চারা যেখানে কখনোই মাস্ক পরতে চায় না।আমাদের নুয়াইরা কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। অর্থাৎ দুনিয়া এদিক থেকে ওদিক হয়ে গেলেও তার মুখ থেকে মাস্ক কখনোই সরবেনা।

যাইহোক এরপর তো বাসায় চলে আসলাম।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।