চাঁদ রাতের ব্যস্ততা।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরো একটি লেখা নিয়ে।আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের ভালো লাগবে।

ছোটবেলায় ঈদের দিনের চেয়ে বেশি মজা হতো চাঁদ রাতে। কারণ তখন আশেপাশে অনেক মানুষ থাকতো। ছোট ছিলাম সবার সাথে মোটামুটি বন্ধুত্ব হয়ে যেতো। সে কারণেই আসলে বলা হতো যে ঈদের দিনের চেয়ে বেশি আনন্দ হয় চাঁদ রাতে। আমার মনে হয় তখনকার জন্য এই কথাটা একেবারেই সত্যি ছিলো।

কিন্তু যতো বড় হচ্ছি ততোই আশেপাশের বন্ধু কমে যাচ্ছে এবং অবশ্যই সাধারণ ভাবেই আগে যেসব মানুষের সাথে খুব বেশি মেশা হতো। সেই মেলামেশা টাও কমে যাচ্ছে সংকোচ আর বড় হয়ে যাওয়ার দূরত্বের কারণে। যাই হোক মজা একেবারে ফিকে হয়ে যায় তা তো নয়। আর মজাকে ফিকে করলেই ফিকে, তাই না? সে কারণে চাঁদ রাতে মোটামুটি কিছু কাজ তো থাকেই। তো ভাবলাম আমার চাঁদ রাতের কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।

প্রথমেই যখনই নুয়াইরা শুনলো যে ঈদের কথাবার্তা চলছে। তখনই নুয়াইরা মেহেদি দেওয়ার জন্য আমার মাথা খারাপ করে ফেললো। কারণ তার মেহেদী দেওয়া খুবই পছন্দের একটি কাজ। সে কারণেই প্রথমে তাকে মেহেদী দিয়ে দিলাম তার হাতে।

এরপরে তার হাতের কিছু ফটোগ্রাফিও করলাম। আর সে বিষয়টা বেশ উপভোগও করে।

এরপর যখন একটু বসে ছিলাম। তখন ভাবলাম আমি নিজের হাতেও একটু মেহেদী দেই। কারণ মেহেদি দেওয়া আমার খুব পছন্দের কাজের মধ্যে একটি। তবে নিজের হাতে দেওয়ার চেয়ে অন্য কারো হাতে দেওয়াটাই আমার কাছে বেশি পছন্দের আসলে।তাও।দিলাম।

এরপরে আমরা আমাদের দুজনের হাতেরও কিছু ফটোগ্রাফি করলাম অর্থাৎ মেহেদির।

এইযেন নুয়াইরা তো একেবারে হাতের চারপাশেই দিবে মেহেদি। কারণ ওই যে বললাম তার মেহেদী দেওয়া খুবই পছন্দের কাজ।

এরপর এক ফ্রেন্ড কেও দিয়ে দিলাম।

মেহেদি দেওয়া শেষে যখন অনেকক্ষণ পর শুকিয়ে গেলো। তখন যথারীতি হাত ধুয়ে ফেললাম। আর তারপরে দেখলাম যে আম্মু কিচেনে কাজ করছে। তো আমিও ভাবলাম কিছু একটা বানাই। সে কারণেই বানিয়ে ফেললাম নবাবী সেমাই। যাতে সকালবেলা ছোট ভাই এবং বাবা মসজিদে যাওয়ার সময় সেমাই খেয়ে যেতে পারে।

এরপরে তো আম্মু আরও বিভিন্ন নাস্তা বানালো। কিন্তু আমি আর কিচেনে যাইনি। কারণ প্রচন্ড গরম লাগছিলো কিচেনে। যাইহোক মোটামুটি এ ভাবেই কেটেছিলো চাঁদ রাতটা।