সন্তান মাকে বেহেশতে নিয়ে যাবে না ,তবে মা সন্তানকে নিয়ে যাবে।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরো একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটি আপনাদের সকলের ভালোই লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যাক। তো যে ভাবা সেই কাজ। অর্থাৎ আপনাদের সাথে একটি আমার লেখা শেয়ার করতে চলে আসলাম। আশা করছি আপনাদের লেখাটি খুব একটা খারাপ লাগবে না।

আজকের লেখাটা মোটেও আমার চিন্তা ভাবনা থেকে নয়। তবে হ্যাঁ এই কথাটা শোনার পরে আমি বিষয়টা নিয়ে আসলে একটু চিন্তা করে দেখলাম। যে কথাটা খুব সত্যি কথা। সে কারণেই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

গতকাল আমি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। প্রায় দুইটা ডাক্তার একটা একসাথে দেখিয়েছিলাম। অর্থাৎ একটার পর একটা কারণ শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধছে। আর তা ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে। আমি এতোদিন ডাক্তার না দেখিয়ে বসে ছিলাম। কারণ ভেবে ছিলাম হয়তো ওষুধ কমে যাবে। কিন্তু কমার চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। তাই এখন অনেক কিছু করাতে হচ্ছে। যা আসলে খুবই বিরক্তিকর। যাই হোক লেখা আসলে তা নিয়ে নয়।

আমাদের দুইটা ফ্যামিলি ডাক্তার রয়েছে।তো প্রথমে মেডিসিন ডাক্তার দেখানোর পরে এরপরে গাইনোকোলজিস্ট এর কাছে গেলাম। উনি আবার আমাদের সকলের খুব পছন্দের মানুষ। আর সে সাথে উনিও রোগীদের সাথে খুব সুন্দর ব্যবহার করেন। যা খুবই ভালো লাগে। আসলে রীতিমত উনি গল্প জুড়ে দেয় এমন একটা অবস্থা আর কি। অর্থাৎ রোগীর কথা এতোটা শুনেন। যাইহোক যেহেতু উনার কাছে আমাদের পরিবারের সবাই আমরা যাই। সে কারণে আমিও গিয়েছিলাম কিছু সমস্যার জন্যে।

এরপর এক পর্যায়ে আমার ট্রিটমেন্ট, আমার প্রেসক্রিপশন লেখার পর যখন আম্মু সমস্যাগুলো আম্মু বলছিলো আম্মু।তখন আসলে ডাক্তার একটাই কথা বলেছে, "যে সন্তান মাকে বেহেশতে নিবে না। মা সন্তানকে বেহেশতে নিবে। তবে কেন মায়েরা সন্তানের পেছনে নিজের জীবনটাকে একেবারে বিলিয়ে দেয় একেবারে সব হারিয়ে।"

তিনি কিন্তু সন্তানকে লালন-পালন না করতে বলছে না। কিংবা সন্তানের অযত্ন করতে বলছে না। কিন্তু বেশিরভাগ মায়েরাই অর্থাৎ আমাদের মায়েরায় আমাদের যত্ন নিতে নিতে নিজেদের এতটাই অযত্ন নিয়ে ফেলে যে যা রিকভারি করাও আর কখনোই সম্ভব হয় না।

এই মায়েরা কিন্তু রীতিমতো আমাদের জন্য শুধুমাত্র আমাদের ভালো থাকার জন্য নিজের দুনিয়া এই সংসার টার মধ্যেই দিয়ে দেয়। নিজের জীবন এই চার দেয়ালের মাঝেই কাটিয়ে দেয় শুধুমাত্র সন্তানের জন্য। কিন্তু আমরা সন্তানেরা মায়েদের কতটা দিতে পারি তা আসলে জানা নেই। জানা নেই বললেও ভুল হবে, আসলে কিছুই দিতে পারি না।

আর ডাক্তারের এই কথাটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। কারণ এটা একটা তিক্ত সত্যি কথা যে আমাদের ইসলাম ধর্ম মতে মায়ের পায়ের নিচেই কিন্তু সন্তানের বেহেশত। কিন্তু আমরা সন্তানেরা মায়ের অযত্ন করি। আর যারা আমাদের বেহেশত তারা আমাদের সারাক্ষণ যত্ন নিতে থাকে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।