বিপদ সামলানো মুশকিল

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি। আসলে মনটা একেবারেই ভালো নেই। আর কেনো ভালো নেই, তা পোস্টটা পড়লে আশা করি কিছুটা হলেও আপনারা টের পাবেন।

এবার আমার ছোট ভাইয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিলো। সে মোটামুটি এক্সাম গুলোর সময় সুস্থ ও ছিলো।যদিও এসএসসি এক্সামের টেস্ট পরীক্ষাগুলো দিতে পারেনি। কারণ তখন সে পুরোপুরিভাবে হসপিটালাইজড ছিলো এবং স্কুলে তার সব মেডিকেল রিপোর্ট দেখে তাকে এসএসসির জন্য এলাও করেছিলো। কারণ তার কোনো ভাবে কোনো অবস্থা ই ছিলো না পরীক্ষায় এটেন্ড করার মত। যাই হোক সে যাত্রায় আসলে তাকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পারমিশন দিয়ে দিয়েছিলো। যেহেতু তার স্কুলের রেজাল্ট মোটামুটি ভালোই ছিলো সেই কারণেই।

তো আসলে শেষের এক্সাম গুলোর দিকে অর্থাৎ শেষ এর তিন নাম্বার এক্সাম টার দিন হঠাৎ ই তার হালকা জ্বর আসে এবং সেই সাথে পেট ব্যাথা। যাইহোক তাকে আসলে সে অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। অর্থাৎ ভাবা হয়েছিলো যে নরমাল অসুখ, সেরে যাবে। কিন্তু এর পরের দিন পরীক্ষা দিয়ে এসে তার শরীর দেখে আমরা নিজেরাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ পুরা শরীরেই ব্রণের মতো ছোট ছোট ফুসকুড়ি উঠে গিয়েছে।

এরপরে আমরা একটা সময় পর বুঝতে পারলাম যে এগুলো আর কিছু নয়,এগুলো চিকেন পক্স। প্রথমে আসলে আমিও বুঝতে পারিনি যে চিকেন পক্স এতোটা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। কারণ আল্লাহর রহমতে আমার কখনোই হয়নি এই রোগটি। যাইহোক আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে ব্রনের মতো এগুলো হয়তো উঠার পর কমে যাবে। কিন্তু হঠাৎ করেই রাত বাড়তে বাড়তে দেখলাম যে, সে পাগলের মতো চিৎকার করছে কান্না করছে এবং এতোটাই পাগলামি করছিলো যে। সে বিছানার সাথে নিজের হাত এতো জোরে মারছিলো যেনো কোনো ভাবে বিছানা ই ভেঙে ফেলবে।

আমরা আসলে তখন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ তখন পরপর দুইদিন পরীক্ষা ছিলো। অর্থাৎ বিজ্ঞান পরীক্ষা এবং এর পরের দিন হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষা। মোটামুটি লাস্ট দুইটা পরীক্ষা তেমন কোনো কিছু না পড়েই দিয়েছিলো সে। আর যেদিন পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মানে হিসাব বিজ্ঞান যেদিন দিয়ে এসেছে। সেই দিনের তো আরো মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে, তাই আমরা খুব দ্রুত ডাক্তার দেখালাম। দেখানোর পরে ডাক্তার আসলে এটাই বললো যে, এই রোগটা নাকি সত্যি ই খুব বেশী কষ্টদায়ক। আর এতো বড় একটা ছেলে এভাবে কান্না করছে দেখে আমাদের নিজেদের ওই এতো কষ্ট হচ্ছিলো, কি আর বলবো। আর এই রোগটা যে এতোটা ভয়ঙ্কর হয় সত্যিই আমি জানতাম না।

আম্মু তো মোটামুটি গতকাল রাতেও সারারাত না ঘুমিয়ে বসেছিলো। কারণ সে এতো চিৎকার চেঁচামেচি করছিলো আর পাগলামি করছিলো, যা বলার বাইরে। এমন কি সে গতকাল রাতের প্রায় দুইটা বাজে আম্মুর কাছে ডাক্তারের নাম্বার চাচ্ছিলো।যেনো ডাক্তারকে ফোন দিয়ে বলতে পারে যে, ডাক্তারের কোনো ওষুধ ই কাজ করছে না। মানুষ আসলে নিজের সেন্স এ না থাকলে যা হয় আর কি।

যাইহোক এখনো মোটামোটি সুস্থতার কোনো লক্ষণই দেখতে পাচ্ছিনা। অর্থাৎ পুরো শরীর ভর্তি বড় বড় ব্রণের মতো। যা দেখতেও অসম্ভব খারাপ লাগে আসলে। আপনারাও দোয়া করবেন এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি যেনো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে। কারণ এই কষ্ট সত্যি চোখে দেখার মত নয়।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।