এক মজার অভিজ্ঞতা।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবার ও চলে আসলাম নতুন আরো একটি লেখা নিয়ে।আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে।

আপনারা তো মোটামুটি জানেন যে আমার এক্সাম চলছে।কারণ প্রায় সময় আমি লিখেছি।আজ তা নিয়েই একটি লেখা।কারণ,এই যন্ত্রণায় যে পরেছি আমি তা আমার অতি প্রিয় পাঠক পাঠিকাদের সাথে শেয়ার না করলে কি হয়!কারণ,এই প্লাটফর্ম টা কিংবা এই আইডিটি আমার কাছে অনেকটা ডেইলি ডায়রির মতো হয়ে গিয়েছে।আপনাদের কাছে কেমন জানিনা।তবে আমার কাছে যতটা প্রফেশনাল ঠিক ততোটাই ভালোবাসার আর অভ্যাসের।

মাঝে মধ্যে আমি ভাবি জানেন যে,এই জায়গাটা ছাড়া কি করে থাকবো!এই প্লাটফর্ম বাদে তো থাকার কথা মাঝেমধ্যে ভাবলে মনে হয় আমি জাস্ট থাকতেই পারবোনা।

কারণ,এই জায়গাটি আমার কাছে প্রতিদিন প্রিয় দায়িত্ব সে সাথে পছন্দের অভ্যাসের মতো।আমরা সকলেই জানি মানুষ অভ্যাসের দাস।আর একবার অভ্যাস হয়ে গেলে তা থেকে বের হওয়া খুবই মুশকিল।একই অবস্থা আমার।আপনাদের ছাড়া আর আপনাদের সাথে কথা শেয়ার করা ছাড়া আমি যেনো থাকতেই পারিনা।

আচ্ছা তো যা লিখতে আজকে এলাম।আমি জানি একটু টপিকের বাইরে কথা বলে ফেললাম।তবে আমরা আমরাই তো তাইনা!ওসব একটু আধটু লেখাই যায়।হাহাহাহা।

তো আজকে আমার ফিজিক্স এক্সাম ছিলো।আর প্রিপারেশন মোটামুটি গতকাল রাতে সারারাত নিয়েছিলাম। অর্থাৎ টেবিল এই ছিলাম প্রায় চারটা অব্দি।তো ম্যাথ গুলো নিজে পালাতে পারলেও ২ নাম্বারের জন্যে সেসব প্রশ্ন এসেছে সেসব মেলাতে পারছিলাম না যেহেতু সেসব ছিলো মুখস্ত পড়া গুলোই।আমার মুখস্ত খুব কম হয় কেনো জানি।না বুঝলে লিখতে পারিনা।আর এক্সামের আগের দিন সাব্জেক্ট ধরে এতো এতো মুখস্ত করা আমার কাছে প্রায় অসম্ভব ই ছিলো বলতে গেলে।

তো অনেকগুলো ২ নাম্বারের প্রশ্ন ই পারছিলাম না।তো ম্যাম একটু রুমের বাইরে যাওয়াতে আমি জলদি পেছনের জনকে বললাম দেখাতে।সে করলো কি এক পার্টের খাতাই দিয়ে দিয়েছে আমাকে।হাহাহাহ,আমি তো ভয়ে শেষ কারণ নতুন অভিজ্ঞতা। আমাদের ডিপার্টমেন্টাল সাব্জেক্ট গুলো দুটো খাতায় এক্সাম হয় দুই পার্ট আকারে।দুই পার্ট দুই টিচার কাটে।তো একটু পরেই ম্যাম রুমে চলে এসেছে।আর আমার তখন ও লেখা শেষ হয়নি।আমি তো ভয়ে ভয়ে লিখছিলাম।

আর যে খাতা দিয়েছে সে বিন্দাস।ব্যাপারকি পেছনে ফিরতেই বুঝলাম তার কাছেও দুটো খাতা।অর্থাৎ আমাকে এক পার্ট এর একটা খাতা দিয়ে দিয়েছে ঠিক।তবে সেও পেছনের থেকে একটা পার্ট নিয়ে লেখা শুরু করেছে।হাসবো কা কাঁদবো!

এবার একটু পরে ফ্রেন্ড যার কাছ থেকে খাতা নিলো ম্যাম তাকে উঠে যেতে বললো।আমি তো ভয়ে শেষ কারণ ভাবছি আয় হায় তার কাছে তো তার একটা খাতা নেই।কিন্তু ওই ফাঁকে আমার পেছনের জন্য খাতা সাইডে করে ফেলে দিয়েছে।আমি তো এক্সাম হলেই মাক্স পরে হাসা শুরু করলাম কান্ড দেখে।আর এরপর আমিও জলদি খাতা দিয়ে দিয়েছি ভয়ে।কারণ,জাস্ট বুক কাঁপছিলো।আর এক্সাম ব্যাপার কি আর বলবো।আমাদের পুরো সারির সবার ই সেইম লেখাই পাবে ম্যাম।হাহাহা,বুঝুন অবস্থা!