অন্যায় সইতে আসলে আমরা বাধ্য!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যায় এবং আমার নিজের মন্তব্য গুলো আপনাদের সকলের সামনে ব্যক্ত করতে এবং নিজের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ব্যাপার আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বরাবরই আমার ভালো লাগে। সে যাই হোক, আজকে আসলে এমন একটা ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে এসেছি। যে ব্যাপারটিতে আমরা সকলেই জর্জরিত। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই, শুধুমাত্র হা হুতাশ করা ছাড়া।

আমি আসলে একটা ব্যাপার খুব ভালোভাবে খেয়াল করলাম যে, আমরা সব সময় অনেক অন্যায় সইতে বাধ্য হই ! কারণ? কারণ আমাদেরকে সে অন্যায়টা সহ্য করার জন্যে বাধ্য করা হয়। ধরুন আপনি আপনার কোনো কাজের জন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে গেলেন এবং একটা কাগজ হয়তো আপনার পেতে খুব বেশি সময় লাগার কথা না। আর সেই কাগজটা হয়তো আপনি খুব সহজে পেয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু আপনার কি মনে হয়, আপনি কখনো ওই কাগজটা খুব সুস্থভাবে পাবেন? কখনোই পাবেন না। তার কারণ হচ্ছে, আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই বর্তমানে এমন হয়ে গিয়েছে যে, আপনি আমার লাইফ এসব সইতে না চাইলেও। আপনার অন্যায় সহ্য করতে হবে। তাছাড়া আপনি কোনো কিছুই পাবেন না। অর্থাৎ ওই প্রতিষ্ঠানে কিংবা ওই কাজটা পেতে আপনার একটু হলেও হেনস্থা হতে হবে। আর আপনি যখন কোনো অল্প বাড়তি টাকা দিবেন তখন দেখবেন যে, আপনি না চাইতেই আপনার কাজটা অনেক বেশি দ্রুত হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই আসলে আমাদের নিজেদের অন্যায়ের আশ্রয় নিতে হয়। শুধুমাত্র নিজেদের সাথে যেনো অন্যায় না হয় সে কারণে।

ঠিক তেমনটাই ধরুন, একটা চাকরির ক্ষেত্রে গেলেন। সেখানে আপনাকে অনেক বেশি যাচাই বাছাই করা হবে। আর যদি সে চাকরির কোনো বড় কর্মকর্তার কারো সাথে আপনার পরিচয় থাকে,তাহলে দেখলে আপনাকে আর কোনো প্রশ্ন ই করা হচ্ছেনা । আবার উল্টো ভাবে যদি, সে জায়গাটিতে আপনার কোনো পরিচিত মানুষ না থাকে। তাহলে আপনাকে কেউ সামান্য দু পয়সার দামও দিবে না। এমনকি আপনার চেয়েও যারা অযোগ্য মানুষ তারাই আপনাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলবে এবং আপনাকে সেটা সহ্য ও করে নিতে হবে।এ ব্যাপারেও কিন্তু আপনাকে অন্যায় সহ্য করতে হচ্ছে। কিন্তু আপনি বন্দী ওই অন্যায়ের কাছে।

আমাদের জীবনের সাথে যে ব্যাপারটি আরও বেশি সম্পর্কিত। সেটা হচ্ছে, ধরুন কোনো একটা শিক্ষকের সাথে কোনো স্টুডেন্টের অনেক বেশি পরিচিত রয়েছে। সব সময় দেখবেন যে ওই স্টুডেন্টটি আলাদা রকমের ফেবার পাবে। সেটা আপনার পাওয়ার কথা একজন ভালো স্টুডেন্ট হিসেবে, কিন্তু আপনি তাও পাবেন না। এসব আসলে আমাদের সাথে হর হামেশাই ঘটে থাকে। কিন্তু আমরা দেখেও চুপ করে থাকি। কারণ ওই যে আমরা এই অন্যায়গুলো সইতে একেবারে বাধ্য শুধুমাত্র আমাদের খারাপ সমাজ ব্যবস্থার জন্য।

এখন হয়তো বলতে পারেন যে আমরা চাইলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটিকে বদলাতে পারে। কিন্তু তিক্ত সত্য কথা হলো। আমরা চাইলেই আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কখনোই বদলাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই উপর মহলের মানুষগুলো না সোজা হচ্ছে। কারণ সব ক্ষমতা তাদের দিয়ে, যখন জনগণকে বলা হয় যে জনগণ সবকিছু বদলাতে পারবে, জনগণ একটা সুন্দর দেশ তৈরি করতে পারবে। সেটা আসলে হাস্যরসাত্মক গল্প ছাড়া আমার কাছে কিছুই মনে হয় না।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।