কিছু সৌন্দর্যের তুলনা হয় না

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে আমার ক্যাপচার করা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করি। আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমার একটা সময় অনেক বেশি ভালো লাগতো। এমনকি আমার বান্ধবীরা আমাকে বলতো যে আমি কোথাও কোনো কিছু করতে যাই না কিংবা কোথাও ঘুরতে যাই না। আমি শুধুমাত্র ফটোগ্রাফি করতে চাই অর্থাৎ আমি একটা সময় এতো বেশি ফটোগ্রাফি করতাম। কারণ এটা অনেকটা নেশার মতোন বলা চলে।

আর শুধু যে ফটোগ্রাফি করে ক্ষান্ত হতাম তা নয়। অর্থাৎ আমি চেষ্টা করতাম টুকটাক এডিটিং করার। যদিও একবারে ফেক এডিটিং কখনোই করতাম না। অর্থাৎ খুব স্মুথ এডিটিং করার চেষ্টা করতাম। যাতে করে ছবির সৌন্দর্যতা আরো বেশি বেড়ে যায়। অর্থাৎ এই যে ফটোগ্রাফি নিয়ে বলছি এখন। আসলে এখন খুব একটা ফটোগ্রাফি করা হয় না সময় এর অভাবে বলি কিংবা ইচ্ছার অভাবে বলি। অর্থাৎ ইচ্ছেটা করে না শুধুমাত্র সময় থাকে না বলে। কিন্তু আজকে আমার ফোনের গ্যালারি ঘাটার সময় আমার সামনে কিছু ছবি আসলো। তো ভাবলাম সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যদিও বেশি ছবি নয়, তাও ভাবলাম শেয়ার করা যায়।

আমি আসলে যেদিন ইউনিভার্সিটি তে বেশি সময় ধরে থাকি। সেদিন টুকটাক ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। কারণ সে তখন পরিবেশটা এতো বেশি সুন্দর থাকে। যেটা আসলে ক্যাপচার না করলেই নয়। যদিও খুব একটা সময় থাকে না। অর্থাৎ ক্লাসের সবার সাথে সাথেই বাসের সিট ধরতে হয়। অর্থাৎ স্টুডেন্ট লাইফ মানে তো বুঝতেই পারছেন কতো ঝামেলার।

যাইহোক, সেদিন আসলে হঠাৎ করেই ক্লাস থেকে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে বের হয়েছিলাম। আর তখন দেখলাম যে, তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। তাই দূরের আকাশ এতো বেশি সুন্দর লাগছিলো। অর্থাৎ এই ছবিটি দেখেই হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন যে আকাশটি কতো সুন্দর ছিলো অর্থাৎ ডুবন্ত সূর্যের আভা চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরেছিলো সুন্দর একটি মুহূর্ত।

যাইহোক, এর পরে আসলে তাড়াতাড়ি করে রুমে ঢুকে গিয়েছিলাম। কারণ লেকচার মিস হচ্ছিলো। সে কারণে তো এরপরে আমাদের করিডরের ছবিটি ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছি। কারণ করিডোরটি কতো সুন্দর লাগছিলো দেখতেই পারছেন। আর যখন আরো বেশি অন্ধকার হয়। তখন দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে। কারণ এই যে লাইট গুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সে কারণে অর্থাৎ বলা চলে অনেকটা ভুতুড়ে একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

আর এরপরে যখন বাসে ব্যাগ রেখে বাস থেকে নামলাম। তখন একটু হাঁটতেই দেখলাম, যে চাঁদ দেখা যাচ্ছে। আর খুব সুন্দর একটা মিষ্টি আলোর ছটা আসছে চারপাশে। আর এখন আসলে সত্যি কথা বলতে চাঁদ কিংবা তারা এসব কিছু দেখাই হয়ে ওঠে না। তাই হুট করে গাছ-গাছালির ফাঁক দিয়ে এতো সুন্দর চাঁদের কিরণ যখন আমাদের সকলের গায়ে পরতে দেখলাম। তখন ভাবলাম যে একটু ফটোগ্রাফি করা যাক। কারণ মুহূর্তটি খুব দারুণ ছিলো। আর তার চেয়েও বেশি, পরিবেশটা ছিলো অনেক বেশি সুন্দর।

এরপর চাঁদের আরো কিছু ফটোগ্রাফি করছিলাম। দেখতেই পারছেন কি সুন্দর মনোরম পরিবেশ। গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে যখন চাঁদের কিরণ চোখে মুখে এসে লাগে। তখন সেই মুহূর্তটি কিভাবে এক্সপ্লেইন করবো, সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু দেখতে যে কতো বেশি সুন্দর লাগে। সেটা তো আশা করি আপনারা নিজেরাও বুঝতে পারছেন। যদিও আমি এই ছবিগুলো খুব একটা বেশি ইডিট করিনি। অর্থাৎ এই ছবিগুলোর সৌন্দর্যটাই এতো বেশি যে খুব একটা এডিট করতে হয়নি। অর্থাৎ ছবিগুলো আপনারা নিজেরাও দেখলে বুঝতে পারছেন যে, তেমন এই ইডিট আমি করিও নি।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।