কর্তৃপক্ষের দাদাগিরি!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে মানুষ হিসেবে তৈরি করেছেন। আমরা মানুষ, আমরা আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব। আমরা এতোটাই সেরা যে, আমরা কখনো মানুষের দুঃখ, দূর্দশা, কষ্ট বুঝতে পারি না। যতোটুকু নামা, প্রয়োজন ততোটুকু নামতেই পছন্দ করি। নিচে নামতে আমাদের একটুও সমস্যা হয় না। অন্তত এতে আমরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি বলা চলে।

ঠিক তেমনটাই বর্তমানে university কর্তৃপক্ষ দের অবস্থা। অর্থাৎ আপনারা সকলেই জানেন একমাস আগেও দেশের পরিস্থিতি কতোটা ভয়ঙ্কর ছিলো। তো আসলে সকলের কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে খারাপ অবস্থা হয়েছে এমনটা নয়। যেমন আমি যদি আমার নিজের ফাইন্যান্সিয়াল কিংবা আমার পরিবারের ফাইনান্সিয়াল অবস্থার কথা বলি। তাহলে বর্তমানে যে পরিস্থিতি ঘটে গেলো আমাদের দেশে। তার সাথে আমাদের ফাইনান্সিয়াল কন্ডিশন এর সাথে কোনো ব্যাপার হয়নি কিংবা কোনো সমস্যা হয়নি বলা চলে।

কিন্তু এমন অনেক পরিবার আমি দেখেছি। যাদের আসলে শুধুমাত্র এই দেশের খারাপ পরিস্থিতির জন্য অনেকের পরিবারে নেমে এসেছে ভয়ংকর দুর্দশা। শুধু তাই নয় অনেকের বাবার ব্যবসাতে অনেক বেশি লস হয়েছে। কারণ তখন কিন্তু প্রায় এক মাস সকলকে সকল ধরনের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই যাদের ফাইনান্সিয়াল কন্ডিশন খুব একটা আহামরি না। তারা কিন্তু বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। আবার এমন অনেক স্টুডেন্ট কে আমি চিনি, যারা টিউশন করিয়ে টাকা জমিয়ে এরপরে সেমিস্টার ফিস ক্লিয়ার করে। কিংবা এমন অনেক কেও চিনি, যাদের বাবার খুব ছোট ব্যবসা অর্থাৎ মোটামুটি সব কিছু সুন্দরভাবে করে তাদের দিন কেটে যায় এমন অবস্থা।এখন তাদের উপরে যখন ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ একটুও সময় না দিয়ে চাপ প্রয়োগ করছে সেমিস্টার ফিস ক্লিয়ার করার জন্য। তখন সেটা অনেক বেশি কষ্টের হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য।

কয়েকজন স্টুডেন্ট এই নিয়ে অনেক প্রতিবাদ করার চেষ্টা ও করেছে।কারণ তাদের অনেকের ঘরবাড়ি বন্যায় চলে গিয়েছে। যাদের বাড়ি চট্টগ্রাম এর বাইরে রয়েছে। তাদের আবার অনেকের ভাবার ব্যবসা পুরো মাস বন্ধ ছিলো। যার কারণে টাকার সমস্যা দেখা দিয়েছে অর্থাৎ নানা সমস্যা। কিন্তু আমি মনে করি কর্তৃপক্ষের এই দাদাগিরি কখনোই কমবে না। কারণ ঘুরেফিরে শুধু কর্তৃপক্ষ বদল হবে, শুধু চেয়ার বদল হবে। কিন্তু চেয়ারে থাকা মানুষগুলো মন মানসিকতা কখনো বদলাবে না। কারণ অনেকের কাছে বর্তমানে সেমিস্টার এর হাফ টাকা দেওয়াটাও অনেক বেশি কষ্টের হয়ে যাচ্ছে। অন্তত কর্তৃপক্ষ কিন্তু তাদের কথা চিন্তা করে হলেও তাদেরকে কিছুটা সময় বাড়িয়ে দিতে পারতো।কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে সব কিছুই করছে না। অন্তত ওই শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুই করছে না। কর্তৃপক্ষ একটি সময় ধরে দিয়েছে এবং ওই সময়ের মধ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে টাকা ক্লিয়ার করতে হবে।ব্যাপারগুলো সত্যিই খুব অমানবিক। কারণ যার ঘর বন্যায় ডুবে ভেসে গিয়েছে, তার জন্য ৭০/৭৫ হাজার টাকা একবারে এক মাসের মধ্যে ক্লিয়ার করা কখনোই কিন্তু সম্ভব নয়। আসলে এসব জোর জুলুম এর শেষ কোথাও নেই।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।