MDP এক্সাম ও ক্যান্সেল হওয়া প্ল্যান!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি।আসলে নিজস্ব সব মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বরাবর ই আমার বেশ ভালো লাগে।সে যাই হোক,ব্যস্ততা একটু কমলে ভাবছি বেশ অনেকগুলো ফটোগ্রাফী পোস্ট শেয়ার করবো।আগে বলুন সবার ওখানে গরমের কি অবস্থা?আমার এখানে তো অবস্থা খুব ই করুণ।

সে যাই হোক, আজকে আপনাদের সাথে আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনায় শেয়ার করি। আসলে ভাগ্যে না থাকতে যা হয় আর কি। আগে আপনাদের একটু বলি। তাহলে আপনারা ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন যে আমি কোন বিষয়ে কথা বলছি। বর্তমানে আমার ফাইনাল এক্সাম চলছে। অর্থাৎ সেমিস্টার ফাইনাল চলছে। তো সেজন্য আসলে বেশি একটু প্রেসারে রয়েছি। তবে আজকের এক্সামটা তুলনামূলকভাবে একটু ইজি ছিলো। অর্থাৎ আমি টাইটেলে যেই কোর্সের নাম লিখেছি অর্থাৎ এমডিপি এই কোর্সটির এক্সাম। আমাদের প্রতি সেমিস্টারে এই কোর্সের একটি এক্সাম দিতে হয় এবং এটা একটি নন ক্রেডিট কোর্স।

এই কোর্সটিতে জাস্ট পাশ ফেল আছে। অর্থাৎ কোনো ক্রেডিট যোগ হয় না। অর্থাৎ কোর্সটার জন্য কোনো ক্রেডিট যোগ হয় না। কিন্তু এই কোর্সটিতে আমাদের অবশ্যই পাস করতে হয়। কারণ এটা আমাদের একটি ইসলামিক কোর্স। যেহেতু আমাদের ইউনিভার্সিটি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি। সে কারণেই সকলের জন্য এই কোর্সটি করা বাধ্যতামূলক। তো সে কারণেই আমরা আসলে পাশ করার জন্যে লিখি। তাই খুব একটা লিখি না। অর্থাৎ শুধুমাত্র পাস মার্ক পর্যন্ত লিখে এরপরেই বের হয়ে যাই। তো আজকেও ঠিক তেমনটাই প্ল্যানিং ছিলো।

আসলে মূলত মোট পাঁচটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আর প্রতিটা প্রশ্ন ১০ মার্ক্স এর করে। তার মানে বুঝতেই পারছেন আসলে বেশ অনেকটা লেখা। কিন্তু আমি আসলে প্রথম দুটো প্রশ্নের উত্তর অনেকটা সময় নিয়ে লিখে ফেলেছিলাম। আর তার উপর আমাদের প্ল্যানিং ছিলো যে আমরা একটু খুব তাড়াতাড়ি লেখা শেষ করে কোথাও খেতে যাবো। অর্থাৎ খুব কাছে কোথাও খেতে যাবো। কারণ আমাদের এক্সামটা একেবারে এমন একটা সময় হয় যে সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয়।

তো যথারীতি সকলেই বের হয়ে চলে গেলো এবং আমি আর আমার রুমের আরেকটা ফ্রেন্ড থেকে গিয়েছিলাম এবং আমরা আসলে ঘড়ির দিকে একটুও খেয়াল করিনি। সে কারণেই ওরা আমাদেরকে ফেলেই খেতে চলে গিয়েছিলো কারণ তখন বাস ছেড়ে দিচ্ছিলো। আর আমরা পরে বের হয়ে দেখি, ওরা কেউই নেই। অর্থাৎ আমাদের বান্ধবীরা কেউই নেই। এবং ওরা ফেসবুকে ডে শেয়ার করছে। অর্থাৎ খাওয়া দাওয়ার ডে শেয়ার করছে। আর আমরা বসে রয়েছিলাম ভার্সিটিতে, কেমনটা লাগে বলেন!

শেষমেশ যে কোর্স কে আমরা মোটেও পাত্তা দেই না। সেই কোর্সের জন্যই আমাদের খাওয়া-দাওয়ার প্ল্যানিংটা নষ্ট হলো এবং আর সে কারণে পুরো দিনটাই না খেয়ে থাকতে হয়েছিলো। কারণ আসলে এক্সাম টাইমে ক্যাম্পাসে খুব একটা ভালো খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে না। এই ছিল কষ্টের কাহিনী!

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।