গরম যেন কমছে না

লিংক


আসলে কয়েকদিন যাবত একটা না অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। ভেবেছিলাম যে এই বৃষ্টির পরে হয়তোবা আমরা একটু ঠান্ডার দেখা মিলবে। আসলে ঠান্ডা তো দূরের কথা বৃষ্টি থামতে থামতেই গরমের পরিমাণ যে এতটা বেড়ে গেছে তা আমরা সত্যিই কল্পনার বাইরে। আসলে এই গরম মানুষ এখন সহ্য করতে পারছে না। যখন গরম পড়ে তখন কিন্তু এই গরমের পরিমাণ অনেক বেশি থেকে এবং যখন বৃষ্টি হচ্ছে তখন এই বৃষ্টির পরিমাণও কিন্তু অনেক বেশি থাকে। আর এই ঠাণ্ডা গরম লাগতে লাগতে মানুষের শরীর কিন্তু দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কয়েকদিন পরে কিন্তু শীতের দেখা মিলবে। আরে শীতের আগে যেভাবে গরম পড়া শুরু করেছে তাতে করে প্রায় ঘরে ঘরে এখন মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এই সময় কিন্তু জ্বরের প্রকোপ সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে।


আসলে এভাবে যদি দিন দিন গরম বাড়তে থাকে তাহলে মানুষের কর্ম ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পেয়ে যাবে। কেননা গরমে যেহেতু মানুষের অনেক বেশি কষ্ট হয় তাই এর ফলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বের হয়ে যায়। আর এর ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি হয়। এর ফলে মানুষের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানুষের কর্মক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। একটা জিনিস আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে এই যে এত গরম পরছে এর জন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী। কেননা আমরা যে হারে প্রতি বছর গাছ কাটছি এর ফলে কিন্তু বিশ্ব উষ্ণায়ন হচ্ছে এবং দিন দিন তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা জিনিস আমরা সব সময় খেয়াল করে দেখেছি যে এই গরমের সময় কোন গাছের নিচে গেলে আমাদের সবসময় ঠান্ডা লাগে। তাইতো আমরা অবশ্যই গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারি।


আসলে মানুষ যদি এখনো সচেতন না হয়ে কাজ কাটতে থাকে তাহলে একসময় আমাদের এই পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হবে। এছাড়াও এই পৃথিবীতে বাস করার মতো আর কোনো প্রাণী থাকবে না। কেননা দিনদিন যে হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে কিন্তু আমাদের পৃথিবী থেকে বহু প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আর এই জন্য মানুষকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে যাতে করে মানুষ প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে পারে। আসলে মানুষকে যদি চাপে ফেলা না হয় তাহলে মানুষ কোন কিছুই করতে রাজি নয়। তাইতো আমার মতে প্রত্যেকটা মানুষকে জোরপূর্বক প্রতিবছর একটি থেকে দুটি গাছ লাগানোর নির্দেশ দিতে হবে। আর এর মাধ্যমে কিন্তু দেশের গাছের পরিমাণ যেমন বেড়ে যাবে তেমনি অন্য দিক থেকে গরমের পরিমাণ কমতে থাকবে।


এছাড়াও এই গরমের সময় কিন্তু আমাদের সবাইকে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে এবং যতটা সম্ভব গরমের থেকে একটু সরে আসার চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ সরাসরি রোদের আলোতে কাজ করার থেকে একটু ছায়ায় বসে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। আসলে যেহেতু কয়েকদিনের ভিতরে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে তাই যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের অসুস্থতায় আমরা বুঝতে পারি এবং এর মাধ্যমে কিন্তু আমাদের শরীরের কর্ম ক্ষমতা কমে যাবে। তাইতো আমাদের অবশ্যই নিজেদেরকে সচেতন হতে হবে এমন প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। আসলে এই সময় যদি আমরা শরীরে যত্ন না নিই তাহলে আমাদের শরীরটা দিন দিন দুর্বল হয়ে যাবে। এই গরমের প্রকোপের কারণে মনে হচ্ছে যে কবে গরম শেষ হবে আর শীতের দেখা মিলবে।

আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।