সালমান চৌধুরী একজন খ্যাতিমান শিল্পপতি হলেও তাঁর বেশিরভাগ সম্পদ অর্জিত হয়েছিলো বেআইনি উপায়ে। তাঁর চরিত্রের খারাপ দিকগুলো ঢাকা পড়েছিল তাঁর অগাধ সম্পত্তির আড়ালে। কিন্তু এই প্রাচুর্যের পেছনে লুকিয়ে ছিল অসংখ্য সাধারণ মানুষের কান্না আর ধোঁকা খাওয়া নির্দোষ শ্রমিকদের আত্মত্যাগ। চৌধুরীর ব্যবসা বিস্তৃত ছিলো নির্মাণ শিল্প থেকে শুরু করে তেল, ম্যান পাওয়ার এবং গ্যাস পর্যন্ত। শুরুতে তিনি ছিলেন একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী, যার স্বপ্ন ছিল বড় কিছু করার।
কিন্তু তাঁর সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে তাকে লোভের এক গভীর কুয়োর দিকে ঠেলে দেয়। ক্ষমতার লোভ তাঁকে অন্ধ করে তোলে। সরকারি প্রকল্প হাতানোর জন্য তিনি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতেন। ঘুষে কাজ না হলে বল প্রয়োগ করতেন। অপরিকল্পিত নির্মাণ করতেন, এবং পরিবেশের তোয়াক্কা না করে বন উজাড় করতেন। মানুষের জায়গা জমি জোর করে দখল করে নিতেন এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যেটা সে করতো না। আর এভাবে দিনের পর দিন তাঁর লোভের সীমা আরও বিস্তৃত হতে থাকে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সালমান চৌধুরীর মতো এমন অনেক শিল্পপতি আমাদের দেশে রয়েছে, যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য যেকোনো নিকৃষ্ট কাজ করতে পারে। তারা মানুষকে ঠকিয়ে ঠিকই সম্পদশালী হতে পারে,কিন্তু তারা কখনো প্রকৃত সুখ পায় না। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit