কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক ধরনের চিন্তাভাবনা করি। আবার অনেক বিজ্ঞানীর কাছে অনেকটা প্রশ্ন থেকে যায়। আমরা কেন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমতাকে নিজেদের কন্ট্রোলে রাখতে পারি না। দেখুন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোন প্রোগ্রাম নয় কিংবা কোন ধরনের কোডিং নয়, কোন ধরনের প্রোগ্রামিং শুধুমাত্র সেই প্রোগ্রামকেই সলভ করতে পারবে তার নিজস্ব কোন চিন্তাধারা থাকবে না। নিজস্ব কোন শিক্ষার শক্তি থাকবে না। একটি কোডিং কিংবা প্রোগ্রামিং করার পরে শুধুমাত্র সেই প্রোগ্রাম কিংবা রোবট সেটাই করতে পারবে যেটা পূর্ব থেকে সেই প্রোগ্রামিং এর মধ্যে রয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি বিষয় যেখানে একটি শিশুর মতই। সেই প্রোগ্রামিং কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেকে আপডেট করতে পারবে। একটি কাজ করার ক্ষেত্রে কোন কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ আসে এবং সেসব চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে ওভারকাম করতে হয় এই বিষয়গুলো তারা আস্তে আস্তে শেখে এবং এক্সপেরিয়েন্স করে। অর্থাৎ একটি নবজন্ম শিশুর মতোই তারা আচরণ করে। কিন্তু আস্তে আস্তে যখন তারা আশেপাশের পরিবেশ এবং ডাটা গুলোকে এনালাইসিস করে তখন তারা ভালোভাবে বুঝতে পারে এই কাজটা সঠিকভাবে করার উপায় কি।
আমরা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তার চিন্তা করার যে চেতনা গুলো রয়েছে সেটা কন্ট্রোল করতে পারি না। সেটা ভালো পথেও যেতে পারে কিংবা খারাপের পথে যেতে পারে। কিংবা মানব সভ্যতার জন্য হুমকির কারণও দাঁড়াতে পারে। সেজন্যই তো এই বিষয় নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক বেশি গবেষণা করছেন এবং অনেক বেশি ভয়ের মধ্যেও রয়েছেন। কারণ আমরা যদি সেটাকে নিজস্ব চিন্তাভাবনা না দেই তাহলে সেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমতাই হবে না। শুধুমাত্র একটি প্রোগ্রাম হয়ে থেকে যাবে তাই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হওয়ার জন্য তার নিজস্ব চিন্তাধারা কিংবা শিক্ষার এবিলিটি টাকে ঠিক রাখতে হবে। সাধারণত এভাবে করেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করে।