তাকে ঘর থেকে বের হতে দেবে না। আফসার সাহেবের স্ত্রী বললেন ছেলে এখন বড় হয়েছে। এখন আমার সব কথা ও শোনে না। সকালে কলেজে যাওয়ার আগে বলছিলো ওর বন্ধু-বান্ধবরা নাকি সবাই আন্দোলন করছে। ওর ইচ্ছা সেই আন্দোলনে যোগ দেয়ার। এই কথা শুনে আফসার সাহেব গালি দিয়ে বললেন *** বাচ্চার আন্দোলনের শখ আমি মিটিয়ে দেবো। ওকে বলবা যদি এই কয়দিন ঘর থেকে বের হয়। তাহলে মেরে আমি ওর হাত-পা ভেঙে দেবো।
ছেলের আন্দোলনে যোগ দেয়ার কথা শুনে আফসার সাহেবের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। সে চিন্তা করতে থাকে ছেলেটাকে আরো আগেই দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া উচিত ছিলো। এই দেশের যে অবস্থা তাতে এখানে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এই জন্য সে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেবে পড়তে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আফসার সাহেব তার স্ত্রীর কাছ থেকে বাজারে লিস্ট নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলেন।
যাওয়ার আগে বলে গেলেন সন্ধ্যার দিকে বাজার পৌঁছে যাবে বাসায়। আফসার সাহেব থানায় পৌঁছেই কয়েকটা টিমকে শহরের কয়েক জায়গায় পাঠিয়ে দিলেন। তারপর তিনি নিজে একটা বড়ো টিম নিয়ে চলে গেলেন আন্দোলনকারীদের কাছে। সেখানে পৌঁছে তিনি হতভম্ব হয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান অনেক ছাত্র-ছাত্রী হাতে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে রাস্তার পাশে বসে রয়েছে। সেখানে পৌঁছে তিনি স্থানীয় এক হকারকে দেখে জিজ্ঞেস করেন এখানে কি হয়েছে? (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আফসার সাহেব যত চেষ্টাই করুক না কেনো,তার ছেলে ছাত্রদের সাথে ঠিকই আন্দোলনে যোগ দিবে। যতটুকু মনে হচ্ছে আন্দোলনের সময় আফসার সাহেব উনার ছেলেকে হারিয়ে ফেলবে, অর্থাৎ আফসার সাহেবের ছেলে আন্দোলনের সময় মারা যাবে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit