তিনি বুঝতে পারেন এর একটা চেইন অব কমান্ড তৈরি করে গিয়েছে। এতো ছোটো বয়সে এরকম পরিকল্পিতভাবে আন্দোলন করতে দেখে আফসার সাহেব রীতিমতো ভয় পেয়ে যান। তিনি বুঝতে পারেন এদেরকে হালকা ভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষজন এসে যোগ দিতে থাকেন। এক সময় আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েতটা রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
আফসার সাহেব তাদের দিকে তাকিয়ে চিন্তা করতে থাকেন তার এখন কি করা উচিত? তিনি সেকেন্ড অফিসারকে ডাকেন পরামর্শ করার জন্য। সেকেন্ড অফিসার তাকে জানাই স্যার এত বড়ো ভিড় সামলানো খুব মুশকিল হবে। আপাতত কিছু না করাই ভালো। আমরা আপাতত এদেরকে বলি কোনরকম বিশৃঙ্খলা না করতে। তখন ওসি সাহেব সেকেন্ড অফিসার কে বলেন আপনি ছাত্র-ছাত্রীদের এখনকার যারা নেতা আছে তাদেরকে গিয়ে এটা বুঝিয়ে বলেন। আর এদিক থেকে আমি এপিসি এবং জল কামান আনতে বলি।
এগুলো দেখলে ছাত্রছাত্রীরা কিছুটা ভয় পাবে। মনে মনে পরিকল্পনা করে আজকে সে কোনো অ্যাকশনে যাবে না। কিন্তু পরবর্তী দিন যদি ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত বড়ো হতে থাকে তখন তিনি দিনে শুরুতেই তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেবেন।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আন্দোলন থামানোর জন্য আফসার সাহেব বেশ ভালোই প্ল্যান করেছে। কিন্তু তার প্ল্যান কোনো কাজেই আসবে না। কারণ স্টুডেন্টরা এপিসি এবং জল কামান দেখে মোটেও ভয় পাবে না। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit