শনি গ্রহ Saturn

Source

শনিগ্রহ আমাদের এই সৌরজগতের ষষ্ঠ গ্রহ এবং এই শনি গ্রহকে আমরা চিনে থাকি তার চমৎকার এবং সুন্দর বলায়ের জন্য। কিন্তু এর বাহিরে অনেক চমকপ্রদত্ত তথ্য রয়েছে। যেগুলো আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবো। শনি গ্রহের সাধারণত গ্যাস দিয়ে তৈরি এবং এর গড় তাপমাত্রা - ১৪০° সেলসিয়াস। শনি গ্রহে চারপাশে পরিক্রম করা যেসব বলায় বা রিং রয়েছে সেগুলোকে আমরা দূর থেকে মনে হয় সলিড কিন্তু এইসব রিংগুলো ছোট ছোট বরফের টুকরো এবং ধূলিকণা। যেটা আস্তে আস্তে তার সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে। কিছু বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন, হয়তো কয়েক লক্ষ বছর পরে শনি গ্রহে আর কোন রিং থাকবে না। কারণ আস্তে আস্তে ছোট ছোট ধুলিকণা এবং বরফের টুকরোগুলো শনি গ্রহে গিয়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

শনি গ্রহের ব্যাস প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার কিলোমিটার যা আমাদের এই পৃথিবীর থেকে নয় গুণ বড় এবং এই শনি গ্রহের অনেক শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র রয়েছে। এছাড়াও এই শনি গ্রহে সৌরজগতের সব থেকে ২য় বৃহত্তম উপগ্রহ রয়েছে টাইটান। এবং এই টাইটেনের নাম আপনারা হয়তো অনেকেই শুনে থাকবেন। এইটাই টাইটানে মিথেনের নদী পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা এই টাইটেন উপগ্রহ কে নিয়ে অনেকটাই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শনি গ্রহ সাধারণত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দ্বারা তৈরি। এছাড়াও অল্প সংখ্যক বিভিন্ন ধরনের গ্যাস রয়েছে, তবে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামের মাত্রা সবথেকে বেশি। বৃহস্পতি গ্রহের মত এই গ্রহের দাঁড়ানোর মতো কোন সার্ফেস নেই অর্থাৎ সম্পূর্ণটাই গ্যাস দ্বারা তৈরি। এবং এই শনিগ্রহের ঘূর্ণন গতিও অন্যান্য গ্রহের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই গ্রহ নিজ অক্ষে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর সময় অনুযায়ী ১০.৭ ঘণ্টা সময় লাগে।

বৃহস্পতি গ্রহের মত এই গ্রহে খুব বেশি বায়ুমণ্ডলীয় চাপ রয়েছে। এছাড়াও সেই গ্রহে প্রতিনিয়তই বায়ু প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার পার ঘণ্টায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বয়ে চলেছে। তবে বৃহস্পতি গ্রহের তুলনায় শনি গ্রহের ঘনত্ব খুবই কম। এর ঘনত্ব এতই কম যদি সম্পূর্ণ শনি গ্রহকে কোন একটি সাগরে ফেলে দেওয়া হয় তাহলে শনিগ্রহ সেই পানির উপরে ভাসবে। আজ আর বেশি কিছু লিখছি না, আশা করছি শনিগ্রহ সম্পর্কে বেসিক একটি ধারণা আপনারা পেয়েছেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।