ইউনিক শেইপে ভাপা পিঠা তৈরী রেসিপি।

in hive-129948 •  7 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।



Lipiyon_19022024_1521.png

প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আজকের রেসিপিটিতে থাকছে ভাপা পিঠা তৈরি। শীতকালের একটি জনপ্রিয় পিঠা হলো ভাপা পিঠা। আর এই পিঠা বানানো অনেক সহজ। যে কেউই এই পিঠা তৈরি করে খেতে পারবে। আজ ভাপা পিঠার যে রেসিপিটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এটি আমি আমার আম্মুর থেকে শিখেছি। ভাপা পিঠা সাধারণত ছোট সাইজের করে তৈরি করা হয়। কিন্তু আমার আম্মু রাইসকুকারে বড় সাইজের কেকের মতো করে একটা পিঠা তৈরী করে। যা অনায়াসে পাঁচ থেকে সাতজনের খাওয়া হয়ে যাবে । আর এভাবে পিঠা তৈরি করলে সময়ও অনেক কম লাগে। তাহলে চলুন আজকের এই ভাপা পিঠা তৈরির রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।



IMG_20240213_153848_502@1800764703-01.jpeg

IMG_20240213_154053_355@2042289580-01.jpeg



প্রয়োজনীয় উপকরণ :

• চালের গুড়া
• নারিকেল
• খেজুরের গুড়
• চিনি
• দুধ
• লবণ



ধাপ-১

প্রথমে একটি পাত্রে চালের গুড়া নিয়ে নিয়েছি। আর আমি আজকে সেদ্ধ চালের গুড়া নিয়েছি। সেদ্ধ চালের গুড়া দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করলে খেতে অনেক সফট এবং সুস্বাদু হয়।

IMG_20240213_140108_034~2@-1987797108-01.jpeg

ধাপ-২

চালের গুড়ার মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ এবং তিন চা চামচ চিনি দিয়ে ভালো করে মিক্সড করে নিব।

IMG_20240213_140212_413~2@1321615851-01.jpegIMG_20240213_140258_683~2@-358998008-01.jpeg
ধাপ-৩

এরপর কুসুম গরম দুধ দিয়ে চালের গুড়ার সাথে ভালো করে মিক্সড করে নিব যতক্ষণ না হাতের মধ্যে দলা পাকিয়ে আসে।

IMG_20240213_140618_894@222448638-01.jpegIMG_20240213_141005_457@205453752-01@1379869947-01.jpeg
ধাপ-৪

এই পর্যায়ে লবণ চিনি এবং দুধ দিয়ে মেশানো চালের গুড়াগুলো একটি পরিষ্কার চালনির সাহায্যে চেলে নিতে হবে। চেলে নেয়ার পর দেখুন কতটা মসৃণ হয়েছে দেখতে।

IMG_20240213_141110_636@376152150-01.jpegIMG_20240213_141130_077@-931489525-01.jpeg

IMG_20240213_141504_598@-1673937478-01.jpeg

ধাপ-৫

এখন রাইস কুকারে যে ছিদ্র বাটিটা থাকে সেটা নিয়ে নিয়েছি। পাত্রটার উপর একটি পরিষ্কার নেট বিছিয়ে নিয়েছি। এখন এই পাত্রটার উপর মিক্সড করা চালের গুড়া পাতলা করে ছড়িয়ে দিব। এরপর দিয়ে দিব নারকেল। নারকেলের উপর দিয়ে দিব খাঁটি খেঁজুরের গুড়।

IMG_20240213_141752_739~2@-1041314862-01.jpegIMG_20240213_141926_810@-1853654591-01.jpeg
IMG_20240213_142008_949@-677090622-01.jpegIMG_20240213_142219_622@-411260708-01.jpeg
ধাপ-৬

একই নিয়মে আমি মোট দুইটি লেয়ার করে নিয়েছি।

IMG_20240213_142243_286@-2120554771-01.jpegIMG_20240213_142510_364@-671106607-01.jpeg

IMG_20240213_142957_774~2@5221231-01.jpeg

ধাপ-৭

আগে থেকে পাত্রে পানি গরম করতে দিতে হবে। পানি যখন ফুটে আসবে তখন রাইসকুকারের এই ছিদ্রযুক্ত পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিতে হবে ৩০ মিনিটের জন্য। ঢাকনাতে একটি ছিদ্র ছিলো। এই ছিদ্রটি আমি একটি কাঁচা মরিচের সাহায্যে বন্ধ করে দিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন পাশ দিয়ে ভাপ না বের হয়। ভাপ বের হয়ে গেলে পিঠা তৈরি টি পারফেক্ট হবে না।

IMG_20240213_143317_885~2@1566609325-01.jpeg

সর্বশেষ ধাপ

৩০ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে পরিবেশন করে নিয়েছি।



IMG_20240213_153827_180@678417618-01.jpeg

IMG_20240213_154009_474@1713903381-01.jpeg

IMG_20240213_153959_683@-882694214-01.jpeg



এই ছিল আমার আজকের তৈরি ভাপা পিঠার রেসিপি পোস্ট। রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।



আল্লাহ হাফেজ


সময় নিয়ে পোস্টটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ


1691507400587_compress31.jpg

আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।

New_Benner_ABB-6.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP


Heroism_Copy.png

20230619_2107145.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি খুবই লোভনীয়। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপু সত্যিই আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

এই পিঠা শীতকালে খেতে খুবই মজা লাগে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

ভাপা পিঠা আমার খুব পছন্দের। শীতের সময় ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার পিঠা দেখতে ইচ্ছে করছে। রেসিপিটি দেখেই লোভনীয় লাগছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ভাপা পিঠা আপনারও খুব পছন্দ জেনে ভালো লাগলো আপু। শীতের সময় সত্যিই ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই অন্যরকম।

আজ আপনি আপনার আম্মুর থেকে শেখা ভীষণ ইউনিট সেইপে ভাপা পিঠা তৈরি আমাদের সকলের সাথে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপে আপনি বেশ সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আমরা সাধারনত যে রকম ছোট ছোট ভাপা পিঠা খেয়ে থাকি সেটি গরম গরমই বেশ ভালো লাগে। তবে আপনার এই পদ্ধতিতে করলে যারা অন্যান্য উপায়েও ভাপা পিঠা খান, যেমন গরম দুধ দিয়ে বা ঝোল দিয়ে, তাদের জন্য বেশ ভালো হবে মনে হলো।

Posted using SteemPro Mobile

আপনার এই পদ্ধতিতে করলে যারা অন্যান্য উপায়েও ভাপা পিঠা খান, যেমন গরম দুধ দিয়ে বা ঝোল দিয়ে, তাদের জন্য বেশ ভালো হবে মনে হলো।

হয়তো ভালো লাগবে আপু। কিন্তু আমরা এভাবে কখনো ট্রাই করে দেখিনি।

অত্যন্ত সুস্বাদু এবং ঐতিহ্যবাহী পিঠার রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভাপা পিঠা তৈরির প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ভাপা পিঠা তৈরিতে খেজুরের গুড় দেওয়াটা আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

খেঁজুরের গুড় দিলেই ভাপা পিঠা খেতে বেশি মজা লাগে।

ইউনিক শেইপে ভাপা পিঠা তৈরীরং দারুন পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ভাপা পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে কিন্তু এই ধরনের শেইপে কোন সময় তৈরি করা হয়নি।

এভাবে বাসায় বানিয়ে ট্রাই করবেন ভাইয়া। খেতে একই রকম স্বাদ হলেও তৈরি করার জন্য সময় কম লাগে।

ভাপা পিঠা খেতে আমার ও ভীষন ভালো লাগে। শীতের সময় গরম ভাপা পিঠা খেতে দারুন লাগে। আপনার তৈরি ভাপা পিঠার রেসিপি দেখে আমার ও খেতে ইচ্ছে করছে। এভাবে রাইসকুকারের ভাপা পিঠা আমি খেয়েছি এই পিঠা খেতে খুবই মজা লাগে। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

রেসিপিটি সম্পর্কে এত সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাহ দারুন ভাবে তৈরি করলেন আপনি। এভাবে বড় আকারের পিঠা তৈরি করলে একটা সুবিধার হয়। সেটা হচ্ছে দাঁড়িয়ে বা বসে বসে কষ্ট করে পিঠা তৈরি করতে হয় না। একটা পিঠা বসায় দিলে কেটে সবাই এক টুকরো করে খেয়ে নিতে পারে। সেটা এক ধরনের অনেক সুবিধা। আপনি বড় আকারের ভাপা পিঠার রেসিপি তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।

এভাবে বড় করে পিঠা তৈরি করার প্রধান কারণ তো এগুলোই আপু। অল্প সময়েই অনেকের জন্য পিঠা তৈরি করা যায়।

শীতকাল তো চলে গেল আপু। তবে ভাপা পিঠা কিন্তু খেতে ভালোই লাগে। আপনার আম্মু বড় সাইজের ভাপা পিঠা বানিয়েছে সেটাই পাচঁ জন খেতে পেরেছে। এটা এক হিসেবে সুবিধা হলো এক পিঠা দিয়েই বেশ কয়েকজনকে। খাওয়ানো যায়। 🌼

জি ভাইয়া,, এভাবে একটি বড় পিঠা বানিয়ে অনেকেই খাওয়া যায়।

ভাপা পিঠার এত প্রশংসা শুনি তবে কখনো খাওয়া হয় নি।আপনি খুব সুন্দর করে আপনার মায়ের পদ্ধতি অবলম্বন করে পিঠা তৈরি করেছেন।এটা দেখতে অনেককটা বড় কেকের মতো হয়েছে।দেখে মনে হচ্ছে দারুণ স্বাদের খেতে হয়েছে।একদিন আমিও এভাবে ট্রাই করে দেখবো।ধন্যবাদ আপু।

এত মজার পিঠা আপনি কখনো খাননি জেনে বেশ খারাপ লাগলো আপু। রেসিপিটি ফলো করে অবশ্যই একদিন বাড়িতে তৈরি করে খাবেন আশা করি ভালো লাগবে।

শীতের সময় আমরা বিভিন্ন প্রকার পিঠা খেয়ে থাকে।তার মধ্যে খুবই কমন হল ভাপা পিঠা। আমি কয়েক প্রকারের ডিজাইন কড়া ভাবা পিঠা খেয়েছে কিন্তু আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রথম দেখলাম কেকের মতো ভাপা পিঠ। অনেক সুন্দর ইউনিক একটি ভাব এটা তৈরি করেছেন। আশা করছি খেতে অনেক মজার হয়েছিল।ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এভাবে বড় করে একটি ভাপা পিঠা তৈরি করে কেকের মতো করে কাটলে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে এবং খেতেও সুস্বাদু হয়।