আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বড় বিপদ থেকে রক্ষা
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি সব সময় চেষ্টা করে অপনাদের মাঝে নতুন নতুন কিছু নিয়ে আসার জন্য। সত্যি বলতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা দেখে খুবই খারাপ লাগে। তবে খারাপ লাগলে এসব ক্ষেতে আমাদের কিছু করার থাকে না। আসলে কথায় আছে না পাপ ছাড়ে না বাপকে। আজ এসেছি বাস্তব একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমাদের এলাকায় এক চাচা অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেল।তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আমাদের একলাকার এক চাচা নাম তার কুদ্দুস কাকা। কাকার প্রায় ৬০ বছর বয়স এর মতো হবে হয়তো।চাচার চার ছেলে মেয়ে তিন ছেলে এক মেয়ে। শুধু ছোট ছেলে বাদে অন্য সবারই বিয়ে হয়েছে। চাচি হঠাৎ করে মারা গিয়েছে। মারা যাবার পর পরই চাচা আবার বিয়ে করেছে।আসলে ছেলেরা সবাই বাইরে থাকে তাই ছোট ছেলে আর চাচা বাড়িতে থাকে। যে মহিলাকে বিয়ে করেছিল সে বাড়িতে কোন কাজ করে না শুধু বসে বসে খাবে। চাচা পড়ল মহাবিপদে বিয়ে করে। কিছু দিন পরে চাচার দ্বিতীয় বউটা চলে গেলাম। চাচা আবার মেয়ে দেখতে লাগলো। সত্যি বলতে চাচার দেখা শোনা করার জন্য একজন লোক প্রয়োজন। তার কিছু দিন পরে অজানা এক মেয়ের সাথে চাচার দেখা হয়। মেয়েটি ঢাকায় থাকে আগে বিয়ে হয়েছিল তার ঘরে দুই মেয়ে আছে, তার স্বামী বিদেশে থাকে। যাইহোক কয়েক দিনের পরিচয়ে সে চাচার বাড়িতে এসে তাকে বিয়ে করে নিল।
অনেক দিন পরে চাচা আবার আগের মতো সংসার করতে লাগলো। এই বউটা অনেক ভালো কাজ কর্ম করে। আবার চাচাকে অনেক যত্ন করে। সব মিলে বেশ ভালোই চলছে। একদিন ফোনের মাধ্যমে তার দুই মেয়ে এসেছে বেড়াতে, তারা ও বেরিয়ে চলে গেছে।এভাবে কেটে গেল দুই বছর।সত্যি বলতে মানুষ বলে না চোরের মার বড় গলা।মহিলাটি অনেক খারাপ তার জন্য ভালো ব্যবহার করেছে । আরো দু'দিন আগে পুলিশ এসে চাচিকে ধরে নিয়ে গেল। তখন বাড়ির অন্য লোকজন ভয়ে অস্থির। কেন উনাকে ধরে নেওয়া হলো তারপর সবাই জিজ্ঞাসা করল কেন ওনাকে ধরে নিয়ে যান। তখন পুলিশ বললো উনি মার্ডার কেসের আসামী। তখন সবাই হতাশ।তারপর পুলিশ সব খুলে বলল।আসলে উনার আগের স্বামী দুই বিয়ে করেছে। মানে চাচির ঘরে দুই মেয়ে আর তার সতীন এর ঘরে এক ছেলে। ছেলেটা অনেক বড়। তাই চাচি তার সতীনের ছেলেকে মেরে ফেলেছে নিজ হাতে। ছেলেকে মারার পর থেকেই চাচি পলাতক। তখন পুলিশ বললো আপনি কেন এই মহিলাকে বিয়ে করেছেন।যে মেয়ে তার সতীনে ছেলে মানে নিজের ছেলের মতো তাকে মার্ডার করতে পারে। আপনাকে মার্ডার করতে কতক্ষণ। ।আসলে চাচা তখন বললো আমি কিছুই জানি না। আমি যদি জানতাম তাহলে এমন মার্ডার কেসের আসামিকে কখনো বিয়ে করতাম না। তারপর সব কথা শোনে মহিলাকে পুলিশ নিয়ে গেল।আসলে মহিলাটি সব কাজ করত ঠিক কিন্তু অনেক ডেঞ্জার ছিল। তাকে দেখলেই বুঝা যায় সে কেমন মহিলা।
সত্যি মহিলা কিন্তু এই বাড়ির একজনকে ও মেরে সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যেতে পারত।মহিলার ভাবে অনেকটা বোঝা গেলেও কেউ কিছু বলত না।আসলে কথায় আছে না ভাবিয়া কাজ করতে হয়। হঠাৎ করেই পরিচিত হওয়া মানুষকে নিয়ে কখনো সংসার করা যায় না। আগে সব দেখে শোনে তারপর বিয়ে করতে হয়। সত্যি চাচার জীবনে মনে হচ্ছে আর বউ মিলবে না।পরপর তিনটা বিয়ে করেছে।যাইহোক আমরা এমন ভুল যেন কেউ না করি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
ঠিক কথা আপু। পাপ ছাড়ে না বাপকেও। পাপ করলে পাপের শাস্তি ভোগ করতে হবে এই দুনিয়াতে। চাচার উচিত ছিল বিয়ে করার ক্ষেত্রে মহিলার ডিটেলস সবকিছু জেনে নেওয়া কিন্তু বর্তমান সমাজে যে সংসারে মহিলা কাজ করে না সে সংসারে উন্নতি হবে কিভাবে। চাচা সত্যিই অনেক বেখেয়ালি। হঠাৎ একটা মেয়ে আসলো তাকে বিয়ে করে নিয়ে গেল। এগুলো কি আসলেই ঠিক এবং সে মার্ডার কেসের আসামি তাকে না জানিয়ে বিয়ে করা সত্যিই বোকামি। অবশ্যই আপু মহিলাটা একসময় নিজের স্বার্থের জন্য সবাইকে মেরে সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যেত। সত্যি চাচা অনেক বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং এখান থেকে আমাদের একটা শিক্ষা নেওয়া উচিত যে কারো বিষয়ে কিছু না জেনে ওটা কোন ডিসিশন না নেওয়া এবং বিয়ে করার ক্ষেত্রে অনেক বিস্তারিত জেনেই বিয়ে করা। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি গুছিয়ে লিখেছেন। বেশ ভালো লাগলো
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাইয়া আমাদের সবারই উচিত জেনে শুনে তারপর সম্পর্কে গড়ে তোলা।আসলে মামুষ চেনা বড় দায়।ধন্যবাদ ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি আপনার লাস্টের দিকের একটা কথার সঙ্গে একমত পোষণ করছি সেটা হচ্ছে যে, হঠাৎ করে পরিচিত হওয়া মানুষের সঙ্গে কখনো সংসার হয় না এই কথাটা আসলেই সত্য। আপনার চাচার কপালে তো দেখছি অনেকটাই দুঃখ। প্রথম বউটা মারা যাবার পরে তার কপালে প্রায় দুঃখ নেমেই এসেছে আর যাকে বিয়ে করেছে সে তো দেখছি মার্ডার কেসের আসামি। বর্তমান সময়ে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মুখোশধারী তারা পর্দার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখে,এই মহিলাটি হয়তোবা ঠিক তেমনি ছিল কিন্তু কেউ সেটা বুঝতে পারিনি। শেষ পর্যায়ে এসে যে বড় একটা বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে এটাই অনেক বড় কথা। ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি বলেছেন ভাইয়া এই মহিলাটি আত্মাগোপন করে থাকতে চেয়েছিল। আসলে চাচার জন্য অনেক খারাপ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মহিলা তার আগের সৎ ছেলেকে মেরে আত্নগোপন করার জন্যই আপনার চাচাকে বিয়ে করেছিলো। ভাগ্যিস আপনার চাচাও তার পরিবারের কোন কিছু হয়নি।আসলে বর্তমান যুগে মানুষ চেনা বড়ো দায়।কার মনে কি আছে তা বোঝা সম্ভব নয়। যেমন আপনার ওই চাচিও ভালো মানুষ সেজে ছিলেন কিন্তুু ভিরতে সে একজন খুনি।ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু বর্তমান মানুষ চেনা অনেক কঠিন, ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই হঠাৎ করে কারো সাথে পরিচয় হয়ে তার সাথে সংসার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। আগে তার ব্যাপারে কিছু জেনেই বুঝে তারপর সংসার করার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আসলে উনি হয়তো পালিনোর জায়গা খোঁজার জন্যই ওই চাচাকে বিয়ে করেছিল যেন উনার ঘরে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। তবে জানিনা মূল ঘটনার কি কেনই বা উনার সতীনের ছেলেকে মেরেছিল তাই খুব একটা মন্তব্য করতে পারলাম না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই ঘটনাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাইয়া ঘটনা যাইহোক তবে কোন ভালো মানুষ খুন করতে পারে না কাউকে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন ভালো মানুষ কখনোই কাউকে এত সহজে খুন করতে পারে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit