আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। সত্যি আমরা জীব আর যাদের জীবন আছে তাদেরকে জীব বলে।তবে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আমরা সবাই যতই ভাবি মৃত্যু বরণ করবো কিন্তু সেটা মুখের কথা আসলে আমরা কেউ চায় না আমাদের মৃত্যু হোক।আর আমরা মৃত্যুকে অনেক ভয় পায়। আমাদের যখন অসুখ হয় তখন মনে হয় মৃত্যু আমাদের নিকটে।আর সুস্থ থাকলে আমরা কখনো মৃত্যু নিয়ে ভাবি না।তবে আমরা না ভাবলে কি হবে আমাদের যার মৃত্যু যখন লিখা আছে ঠিক তখনি হবে।তাই আমাদের সবার ভাবা উচিত মৃত্যু অনিবার্য। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আমার এক আন্টি বেশ কিছু দিন ধরে অনেক অসুস্থ। তবে নিজের কাজ নিজে করতে পারে।তারপর কয়েক ডাক্তার দেখিয়েছে কিন্তু কোন রোগ ধরা পরেনি।প্রায় মাস খানেক হবে তার মেয়ের বাসায় এসেছে ডাক্তার দেখানোর জন্য। তারপর ডাক্তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষা দিয়েছে। আসলে কিছু কিছু পরীক্ষা আছে সাথে সাথে রিপোর্ট দেয় না প্রায় এক সপ্তাহ লেগে গেছে রিপোর্ট দিতে। এক সপ্তাহ পরে রিপোর্ট পেয়েছে তার রিপোর্ট মোটেও ভালো ছিল না। রিপোর্টে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তার তিন ছেলে মেয়ে ছোট ছেলে এখনো বিয়ে করেনি।আর আংকেল এখনো অনেক ইয়ং। ডাক্তার বলেছে একেবারে লাস্ট পর্যায়ে ধরা পড়েছে রোগ বড়জোর তিন মাস বাঁচতে পারে।

তারপর আঙ্কেল ও তার ছেলেমেয়েরা মিলে তাকে ঢাকায় নিয়ে গেল।আসলে ক্যান্সার অনেক ভয়ানক তারপর অনেক টাকা পয়সার দরকার। আঙ্কেলের অবস্থা মোটামুটি ভালো। তবে আন্টি যখন জানতে পারলো যে সে অনেক অসুস্থ সে মুখে বলে আমি আর বাঁচবো না। তবে যাকে দেখে তাকেই বলে আমি মৃত্যুকে অনেক ভয় পাচ্ছি। কোথা গেলে আমি একটু নিরাপদে থাকতে পারবো।আমি পৃথিবী ছেড়ে যেতে চায় না।আসলে সে এমনিতে টের পেয়েছিল সে আর বাঁচবে না।এভাবে কয়েক দিন চলে গেল।আবার ঢাকায় গিয়ে সকল পরীক্ষা নিরিক্ষা করানো হলো।সেখানেও একই অবস্থা রিপোর্ট পেতে দেরি হলো।আসলে কথায় আছে শেষ অবস্থায় যেখানে যায় না কেন সময় শেষ হয়ে যায়।

আন্টি যতক্ষণ কথা বলতে পেরেছে শুধু বলছে আমাকে বাঁচাও। আসলে আন্টিকে যখন দেখেছি তখন সে আমাকে ধরে এমন ভাবে বলেছে বলার মতো নয়।আসলে আন্টির কথা শোনে যে কারো দুচোখে জল আসা স্বাভাবিক। তখন মনে হলো আমরা মুখে যতই বলি মৃত্যু অনিবার্য কিন্তু কেউ আমরা পৃথিবী ছেড়ে যেতে চায় না। আন্টিকে ডাক্তার দুই তিন মাস সময় দিয়েছিল কিন্তু আন্টি এক মাস না যেতেই হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো।সত্যি আন্টিকে আমি নিজে দেখেছি বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে।কিন্তু মৃত্যু তার পিছু ছাড়েনি।আরো তারাতাড়ি সে মৃত্যু বরণ করেছে।সবাই তার কাছে থাকা সত্বেও মৃত্যুকে ঠেকাতে পারিনি। আসলে আন্টি কেন আমাদের সবার এভাবে পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।দুদিন আগে আর পরে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।