কাঁঠালের বিচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভুনা রেসিপি

in hive-129948 •  20 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

কাঁঠালের বিচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভুনা রেসিপি

1000013648.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা রেসিপি নিয়ে। এখন চলছে ফলের মৌসুম।এখন বাজারে অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে আম,জাম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি ফল।আর কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। তবে কাঁঠাল জাতীয় ফল হলেও আমার মনে হয় আম খেতে সবাই পছন্দ করে। আর কাঁঠাল তেমন না খেলেও কাঁঠালের বিচি খেতে অনেকেই পছন্দ করে। আর কাঁঠালের বিচির যেকোন তরকারি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে কাঁঠালের বিচি দিয়ে চচ্চড়ি করলে অনেক ভালো লাগে। আবার কাঁঠালের বিচি দিয়ে মাংস, মাছ ও ডিম যাই রান্না করি না কেন অনেক মজার হয়।আর আমার নিজের কিছু হাঁস আছে প্রতিনিয়ত বেশ ভালোই ডিম দেয়। যাইহোক তাই ভাবলাম কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডিম ভুনা করি। যাইহোক রেসিপি কিন্তু অনেক মজা হয়েছিল।আপনারা চাইলে এভাবে রান্না করতে পারেন। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000000391.png

1000013712.jpg
১.কাঁঠালের বিচি
২.হাঁসের ডিম
৩.আদাবাটা ও রসুনবাটা
৪.হলুদ, মরিচ, ধনের ও জিরার গুঁড়ো
৫.তেল ও লবন

1000000390.png

ধাপ-১

1000013604.jpg1000013606.jpg

প্রথমে আমি হাঁসের ডিম ও কিছু কাঁঠালের বিচি নিয়ে পানি দিয়ে সিদ্ধ দিয়েছি। তারপর ঢাকনা দিয়ে বেশ কিছু সময় ঢেকে সিদ্ধ করে নিয়েছি।

ধাপ-২

1000013608.jpg1000013609.jpg

সিদ্ধ হয়ে গেলে ডিম ও কাঁঠালের বিচি গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৩

1000013612.jpg1000013610.jpg

এখন ডিম গুলোকে হলুদ ও লবন দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৪

1000013614.jpg1000013615.jpg

তারপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম।তেল গরম হয়ে আসলে মাখিয়ে রাখা ডিম গুলো দিয়ে দিলাম।

ধাপ-৫

1000013616.jpg1000013617.jpg

ডিম গুলো দিয়ে দুপাশ ভালো করে ভেজে তুলে নেব। তারপর সেই তেলের ভিতর আর একটু তেল দিয়ে দেব।

ধাপ-৬

1000013618.jpg1000013621.jpg

আবার তেল গরম হলে কেটে রাখা পিঁয়াজ কুঁচি গুলো দিয়ে একটু ভেজে নেব। তারপর কাঁঠালের বিচি গুলো দিয়ে দেব।

ধাপ-৭

1000013622.jpg1000013623.jpg

পিঁয়াজ ও কাঁঠালের বিচি গুলো ভাজা হয়ে গেলে আদা ও রসুনবাটা দিয়ে দেব। তারপর সকল মসলা দিয়ে কষিয়ে নেব।

ধাপ-৮

1000013624.jpg1000013628.jpg

ডিম গুলো দিয়ে আর একটু কষিয়ে সিদ্ধের জন্য পানি দিয়ে দেব।

ধাপ-৯

1000013629.jpg1000013632.jpg

পানি ফুটে আসলে একটু জিরার গুঁড়ো দিয়ে দেব।জিরার গুড়ো দিয়ে আরও কিছু সময় রান্না করে নামিয়ে নেব।

পরিবেশন

1000013633.jpg

এখন বাটিতে তুলে গরম গরম পরিবেশন করবো।অনেক মজা হয়েছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কাঠালের বিচি খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার এটা খেতেও অনেক মজা লাগে।আপনি আজ দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইলো।

জি ভাইয়া অনেক পুষ্টিকর খাবার ডিম গুলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

এমন সুন্দর রেসিপি গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। কাঁঠালের বিচি আমি খুবই পছন্দ করি। আর সে কাঁঠালের কিছু যদি ডিমের সাথে এমন সুস্বাদু ভাবে রান্না করা যায় তাহলে তো খুবই ভালো লাগে। আশা করি আপনার এই রেসিপিটা পরিবারের সবাই অনেক অনেক পছন্দ করেছে।

জি ভাইয়া সবাই পছন্দ করবে,ধন্যবাদ আপনাকে।

কাঁঠালের বিচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভুনা রেসিপিটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আসলে এই সময়ে কাঁঠালের বিচি দিয়ে যে কোন সবজি রান্না করলে খেতে এত দারুন লাগে। আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমি অবশ্যই বাসায় তৈরি করব। কাঁঠালের বিচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভুনা রেসিপিটি অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে, খেতে ইচ্ছা করছে। খুব সুন্দর ভাবে উপকরণ এবং ধাপগুলো উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জি ভাইয়া এভাবে একদিন অবশ্যই তৈরি করবেন, অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লাভোনীয় একটা রেসেপি শেয়ার করেছেন ।আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডিম ভুনার মজাদার একটি রেসিপি । এই রেসিপি গুলো খেতে খুবই স্বাদ হয়। তাছাড়া আপনার এই রেসিপির কালার দেখেই মনে হচ্ছে খেতে অনেক স্বাদ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি তৈরি করে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য।

জি ভাইয়া অনেক স্বাদ হয়েছিল, ধন্যবাদ আপনাকে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডিম ভুনার সুস্বাদু রেসিপি প্রস্তুত করেছেন।
কাঁঠালের বিচির রেসিপি খেতে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে।
ডিম দিয়ে আলু দিয়ে কাঁঠালের বিচি দিয়ে রেসিপি প্রস্তুত করে খেয়েছিলাম বেশ কয়েকদিন আগে।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপিটিও দেখতে খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে।
নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল খেতে।

জি ভাইয়া খেতে অনেক মজার ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।

ঠিক বলেছেন আপু কাঁঠালের বিচি যে কোন রেসিপি ভীষ ন ভালো লাগে।চচ্চড়িতে সত্যি বেশি ভালো লাগে কাঁঠালের বিচি।আপনি চমৎকার সুন্দর ও লোভনীয় করে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডিম রান্না করেছেন। ভীষণ লোভনীয় হ'য়েছে আপনার রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার ভাবে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

সত্যি কিন্তু কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডিম বা মাংস সব কিছুই বেশ ভালো লাগে। যা আপনার আজকের রেসিপি দেখে বেশ দারুন বুঝা যাচ্ছে। আপনি কিন্তু দারুন একটি রেসিপি শেয়র করেছেন। আপনার শেয়ার করা রেসিপি দেখে তো বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

জি আপু কাঁঠালের বিচি দিয়ে মাংস কিংবা ডিম খেতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু আলু দিয়ে হাঁসের ডিম রান্না করে খেয়েছি কিন্তু কখনো এভাবে কাঁঠালের বিচি দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি টা দেখতে তো ভীষণ সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়েছে আপু। খেতে মনে হয় খুবই মজা হয়েছিল। আপনার নিজের পোষা হাঁসের ডিম রান্না করা আজকে শেয়ার করেছেন আপু ধন্যবাদ।

এভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন অনেক মজা লাগে, ধন্যবাদ আপু।

আপু রেসিপিটি কিন্তু সত্যি বেশ অসাধারণ হয়েছে। কাঁঠালের বিচি দিয়ে যদিও কখনও এমন করে ডিম রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবুও আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি দেখে তো রেসিপির প্রেমে পড়ে গেলাম। বেশ সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপনাও করেছেন।

আপু এভাবে একদিন অবশ্যই তৈরি করবেন অনেক মজার। ধন্যবাদ আপু।

আপু আপনি কাঁঠালের বিচি দিয়ে সুস্বাদু একটি ডিম ভুনা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কাঁঠালের বিচি দিয়ে যে কোন সবজি বা যে কোন রান্না করলে আসলেই খেতে ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জি আপু খেতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।

আপনি আজকে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ডিম অনেক ভাবে রান্না করে খাওয়া হয়েছে। তবে কাঁঠালের বিচি দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করে দেখানোর জন্য।

এভাবে একদিন অবশ্যই তৈরি করবেন অনেক মজার, ধন্যবাদ ভাইয়া।

ব্যক্তিগতভাবে আমি হাঁসের ডিম ভুনা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। তবে কাঁঠালের বিচি আমার কাছে খেতে খুব একটা বেশি ভালো লাগে না আর আমি কখনো খাইনি। তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে রান্না করে যদি কখনো পেতে পারতাম তাহলে হয়তো বা বেশ ভালই লাগতো। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

জি ভাইয়া অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

কাঁঠালের বিচি এবং হাঁসের ডিম দুটোই আমার প্রিয় ।আপু আপনি এত সুন্দর করে কাঁঠালের বিচি দিয়ে হাঁসের ডিম রান্না করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক ভালো হয়েছিল। যদিও কখনো কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডিম খাওয়া হয়নি। তবে আপনার কাছে এই নতুন রেসিপি শিখলাম আপু।

আমি আলু দিয়ে ডিম রান্নার রেসিপি খেয়েছি অনেক মজা লাগে তবে কাঁঠালের বিচি দিয়ে কখনো ডিমের রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। রেসিপির ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

কাঁঠালের বিচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভুনা রেসিপিটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে খেতেও অনেক মজা হয়েছে। আসলে আমি আলু দিয়ে ডিম ভুনা খেয়েছি তবে কাঁঠালের বিচি দিয়ে খাওয়া হয়নি। আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমি তৈরি করে খাব। আপনি রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

কাঁঠালের বিচি দিয়ে কখনো এভাবে হাঁসের ডিম রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রান্নার পদ্ধতি গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছে। খুবই সুন্দরভাবে ধাপগুলো তুলে ধরেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।