আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমার কাছে গল্প লিখতে ও পড়তে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করি। আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। তবে আজ এসেছি একটা কাল্পনিক গল্প নিয়ে । আসলে আমার বাংলা ব্লগ এমন একটা জায়গায় যেখানে আমাদের মনে কথা গুলো প্রকাশ করা যায়।আসলে মা কথাটি অনেক ছোট কিন্তু এর গভীরতা অনেক। মা হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জিনিস। মায়ের সাথে পৃথিবীর আর কোন কিছুর তুলনা হয় না। পৃথিবীতে একমাত্র নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসলে শুধু মাই ভালো ভাসে অন্য আর কেউ না। তাই আমাদের সবারই উচিত মায়ের প্রতি যত্ন নেওয়া। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আবির তার মায়ের একমাত্র সন্তান। আবির যখন তার মায়ের ছয় মাসের পেটে তখন আবিরের বাবা মারা যায়।আবিরের পৃথিবী বলতে তার মা। আবিরের বাবার বাড়ি মোটামুটি ছিল। তবে তার বাবার বাড়িতে অনেক বছরের পুরানো বিল্ডিং রয়েছে। যদিও বিয়ের পরে আবিরের মাকে তার নানা বাড়িতে নিতে চেয়েছিল কিন্তু আবির মা জানত এই বিল্ডিং এর একটা রহস্য আছে। তাই আবিরের মা আবিরকে নিয়ে শশুর বাড়িতে থেকে যায়।এভাবে আবির তার বাবার বাড়িতে বেড়ে উঠছে।আবিরের মা অনেক কষ্টের করে আবিরকে মানুষ করছে। আবির লেখা পড়া করে তেমন কিছু করতে পারছে না। এদিকে আবির এর মা আবিরকে বাড়িতে থেকে কোথাও যেতে দেবে না। আসলে আবিরের মা আবিরের বাবার কাছ থেকে তাদের বাড়ির ভিতরের রহস্য জেনেছে।তাই সে কিছুতেই বাড়ি ছাড়বে না রহস্য না জেনে।

যাইহোক আবির বাড়িতে থেকে তেমন কিছু করতে পারছে না। তাই আবির এর ইচ্ছে বাড়ির বাইরে যাবার কিন্তু আবির মা তাকে যেতে দেবে না।এভাবে অনেক দিন চলে গেল। আবির বাড়ি থেকে ছোট একটা জব করে। তবে আবির আর তা মা অনেক কষ্ট করে চলে। যেহেতু ছেলে বড় হয়েছে তাই আবিরকে তার মা বিয়ে করাবে। একদিন আবির তার মাকে জিজ্ঞেস করলো তুমি আমাকে বাড়ি ছেড়ে যেতে দাও না কেন। তখন তার মা উত্তরে বললো বাড়িতে এমন কিছু আছে তা না দেখে আমরা কোথাও যাব না ।তবে আবির আবার কথা ধরে রাখতে পারতো না। একথা আবির সবাইকে বলে দিল। তখন অনেকে এসে জিজ্ঞাসা করলো বাড়িতে কি আছে এমন আপনারা বাড়ি থেকে কোথাও যাবেন না।এ কথা শোনে আবির এর মা অনেক কষ্ট পেল। তারপর সবাকে মিথ্যা বললো বাড়িতে ভূত আছে এটা একটা ভূতরে বাড়ি।

তারপর আবিরের মা আবিরকে অনেক রাগ করলো।তখন মনে মনে বুদ্ধি করলো আমার ছেলেকে দিয়ে একাজ হবে না।ছেলের মাথায় বুদ্ধি কম। তাই তারাতাড়ি ছেলেকে বিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমার স্বপ্নের জিনিস স্বপ্নই থেকে যাবে। এই বলে মেয়ে দেখে ছেলের বিয়ে ঠিক করে ফেললো। তারপর ভালো মতো ছেলের বিয়ে সম্পূর্ণ হলো।তবে বিয়ে দিন থেকে ছেলের বউকে ছেলের সাথে থাকতে দেয় না। আসলে আবিরের বাসর ও হয়নি। সন্ধ্যা হলে আবির এর বউকে তার মা তার রুমে নিয়ে যায়।এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল। তখন আবির মনে মনে ভাবতে লাগলো আসলে মা কি বোঝে না ছেলে বিয়ে করলে বউকে ছেলের ঘরে দিতে হয়। এদিকে আবির এর মা তার বউকে নিয়ে প্রতি দিন রাতে অন্য কাজ করছে। আসলে তার মায়ের উদ্দেশ্য সফল করবে তার চেষ্টা করছে।আবির তার বউকে একদিন জিজ্ঞেস করল তুমি রাতে আসো না কেন। তখন তার বউ উত্তর দেবার আগে আবিরের মা বললো আমি ওকে আসতে দেয়নি। কিন্তু আবির ভাবলো যে করেই হোক আমি আজ রাতে দেখবো এরা দুজন কি করে।[চলবে]

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।